হ্যাকিং কি - হ্যাকিং কি ভাবে শিখব
হ্যাকিং বিষয়টি শুধু যে খারাপ তা না। আপনি কি জানতে চান হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং কি বা হ্যাকিং কি ভাবে শিখব এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। ইথিক্যাল হ্যাকিং কি, হ্যাকিং কিভাবে শিখব ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমরা প্রায়ই শুনে থাকি আমাদের পরিচিতজনদের কাছ থেকে চ্যানেল হ্যাক হয়েছে, ফেসবুক হয়েছে, ইমেইল হ্যাক হয়েছে ইত্যাদি। এরকম অহরহ ঘটনা আমাদের আশেপাশে ঘটে থাকে। কিন্তু আসলে হ্যাক টা কি? আসুন বন্ধুরা আমরা এ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ হ্যাকিং কি - হ্যাকিং কিভাবে শিখব
- হ্যাকিং কি
- হ্যাকিং কি কত প্রকার
- ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার কি
- হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার কি
- গ্রে হ্যাট হ্যাকার কি
- মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং শিখুন
- ইথিক্যাল হ্যাকিং কি
- বাংলাদেশের সেরা হ্যাকার
- হ্যাকারদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়
- নৈতিক হ্যাকিং কি
হ্যাকিং কি
হ্যাকিং একটি জার্মানি শব্দ। হ্যাকিং বলতে বুঝায় ফাইল বা তথ্য চুরি বা পরিবর্তন করার জন্য নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা বা কম্পিউটার দ্বারা অনুমোদিত প্রবেশের অধিকার। এই কাজটা যারা করে থাকে তাদেরকে হ্যাকার বলে। কম্পিউটার হ্যাকিং করার জন্য রুটকিট, কীলগার, ট্রোজান ইত্যাদি ধরনের প্রোগ্রাম হ্যাকাররা ব্যবহার করে থাকে।
আরো পড়ুন শাওমি মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস ২০২২ - শাওমি মোবাইল দাম বাংলাদেশ
হ্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত বা আর্থিক সকল ডকুমেন্ট নিজের আওতায় নিতে পারে। হ্যাকিং যে শুধু কোন ওয়েবসাইট বা কম্পিউটার হতে পারে তা না। মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র, ডিজিটাল যন্ত্র অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে এগুলো সবই হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। সাধারণত হ্যাকাররা এইসব ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ত্রুটি বের করেই তা দিয়েই সকল ইনফরমেশন হ্যাক করে থাকে।
হ্যাকিং কি কত প্রকার
হ্যাকিং কি ও হ্যাকিং কিভাবে শিখব এই আর্টিকেলে আমরা এবারে জানবো হ্যাকিং কি কত প্রকার। আমরা অনেকেই হ্যাকিং কি কত প্রকার ইত্যাদি এই তথ্য গুলো জানিনা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো। সাধারণভাবে বলতে গেলে তথ্য চুরি বা পরিবর্তন করার জন্য নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা অথবা কম্পিউটার দ্বারা প্রবেশের অধিকার অনুমোদিত করাকে বুঝায়। হ্যাকিং এর প্রকারভেদ।
সাধারণত তিন প্রকারের হ্যাকার রয়েছে। যেমন
- ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার
- হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার
- গ্রে হ্যাট হ্যাকার
হ্যাকিং কি ও হ্যাকিং কিভাবে শিখব আর্টিকেলটিতে আসুন এবারে আমরা এই তিন ধরনের হ্যাকার কি বা কারা তা নিয়ে আলোচনা করি।
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর বিপরীত। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার কে ইথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা তাদের প্রযুক্তি বা দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করে। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররাও ব্ল্যাক হ্যাট হকারদের মত একই ধরনের কলা কৌশল ব্যবহার করে থাকেন।
তবে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা মালিকের অনুমতি নিয়ে নেটওয়ার্ক সিস্টেম এ প্রবেশ করে। তবে এসব হ্যাকারদের উদ্দেশ্য খারাপ থাকে না। ওরা কাজ করে মালিকের ডিজিটাল সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য।একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল পয়েন্টগুলি মেরামত এবং কোন সিস্টেমকে ক্র্যাক করার চেষ্টা করবে কিন্তু সেটা অবশ্যই তার মালিকের অনুমতি নিয়ে। সেজন্য এটাকে নৈতিক হ্যাকার নামে আখ্যায়িত করা হয়।
গ্রে হ্যাট হ্যাকার
হ্যাকিং কি ভাবে শিখব আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানব গ্রে হ্যাট হ্যাকার কি। গ্রে হ্যাট হ্যাকার এরা এমন এক ধরনের হ্যাকার যারা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। ইচ্ছে করলে এরা মালিকের সকল তথ্য নিজের কাজে লাগাতে পারে বা ক্ষতি করতে পারে আবার মালিকের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারে।
মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং শিখুন
হ্যাকিং কি ও হ্যাকিং কি ভাবে শিখব এ আর্টিকেলটিতে এবারে জানব মোবাইল দিয়ে কিভাবে হ্যাকিং করা সম্ভব। এককথায় এর উত্তর হবে মোবাইল দিয়ে হ্যাকিং করা সম্ভব নয়। আপনি যদি ভাল মানের একজন হ্যাকার হতে চান তাহলে অবশ্যই প্রোগ্রাম সম্পর্কে আপনার খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে হবে। আপনাকে LINUX শিখতে হবে।
এছাড়াও যে সাইট আপনি হ্যাক করতে চাচ্ছেন সেগুলো সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হবে যা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়। আপনাকে অবশ্যই পিসি অথবা ল্যাপটপ দিয়ে এই কাজগুলো করতে হবে। চাইলে বাংলাদেশ সাইবার হ্যাকার এ যোগ দিতে পারেন।
ইথিক্যাল হ্যাকিং কি
আমরা অনেকেই জানিনা ইথিক্যাল হ্যাকিং কি। হ্যাকিং কি, হ্যাকিং কি ভাবে শিখব এ আর্টিকেলে আমরা এবারে জানবো ইথিক্যাল হ্যাকিং কি? কম্পিউটারের সিস্টেম বা ওয়েবসাইটের দুর্বলতা বা ত্রুটি গুলো খুজে বের করে সেগুলোর সমাধান করে দেওয়া এবং কম্পিউটারকে আরো বেশি secure করে তোলা কে ইথিক্যাল হ্যাকিং বলে।
যারা হ্যাক করে তাদেরকে বলা হয় হ্যাকার। ইথিক্যাল হ্যাকাররা সাধারণত ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এবং হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। ইথিক্যাল হ্যাকার ইচ্ছা করলে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর কাজ করতে অর্থাৎ নিজের স্বার্থের জন্য মালিকের সকল ইনফরমেশন নিজের আয়ত্তে নিতে পারবে কিন্তু ইথিক্যাল হ্যাকার তা করবে না। তারা যেকোনো সিস্টেম, ওয়েবসাইট বা অ্যাপ হ্যাক করবে মালিকের অনুমতি নিয়ে এবং সেগুলো সিস্টেমকে হাই সিকিউরিটি প্রদান করার জন্য।
আরো পড়ুন নগদ একাউন্টে পিন ভুলে গেলে করণীয় কি কি জানুন
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় দেশ বিদেশের বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের ওয়েবসাইট গুলো ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ইথিক্যাল হ্যাকার দের কাছে আশ্রয় নেয়। ইথিক্যাল হ্যাকার রা কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেম বা ওয়েবসাইট এর দুর্বলতা বা ত্রুটি গুলো বের করে সেগুলোর সমাধান করে দেয় এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করে।
বাংলাদেশের সেরা হ্যাকার
যার ছদ্মনাম হচ্ছে Tiger M@te. ঘটনাটি 2011 সালের। InMotion Hosting এর প্রায় সাত লাখ ওয়েবসাইট একসাথে হ্যাক করে হ্যাকারদের সাইট Zone H এ। যা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে আপনি যদি এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে গুগলে Tiger M@te লিখে সার্চ দিলে জানতে পারবেন।
হ্যাকারদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়
আমাদের দেশে পেশাদার হ্যাকার এর সংখ্যা অনেক কম। হ্যাকারদের সাথে যোগাযোগ করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে যোগ্য হ্যাকার কে খুঁজে বের করা। একসময় ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে হ্যাকারদের অ্যাক্টিভিটি বেশি দেখা যেতো। এখন ভালো মানের হ্যাকার দের ফেসবুকে পাওয়া কষ্টকর। তাই ফেসবুকে খোজ করা বৃথা।
আরো পড়ুন ভিপিএন কি? ১০ টি সেরা VPN ব্যবহারের নিয়ম 2022
আপনি চাইলে টুইটারে হ্যাকার খুঁজে পেতে পারেন কারণ টুইটারে তুলনামূলক বেশি অ্যাক্টিভিটি মানুষ দেখা যায় যারা হ্যাকিং নিয়ে কাজ করে। কোন ভাল জব বা সিকিউরিটি এচিভমেন্ট আছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখে নেবেন। হ্যাকার খুঁজে পাওয়ার আরেকটি পথ হচ্ছে লিংকডইন এই সাইটে সার্চ অপশন ব্যবহার করে ভাল জব করছে এরকম হ্যাকার খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
নৈতিক হ্যাকিং কি
হ্যাকিং কি ভাবে শিখব আর্টিকেলটি তো এবারে আমরা জানবো নৈতিক হ্যাকিং কি। হ্যাকিং যে শুধু খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয় তা না। হ্যাকিং এর মাধ্যমে আমাদের নানা উপকরণ হয়ে থাকে। হ্যাকিং মানেই আমাদের কাছে নেগেটিভ কিছু। বিষয়টি আসলে সেরকম নয়। Ethical শব্দের অর্থ হচ্ছে নৈতিক। অর্থাৎ ইথিক্যাল হ্যাকিং হচ্ছে নৈতিক হ্যাকিং।
যা উক্ত আর্টিকেলটির পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। নৈতিক হ্যাকাররা সাধারণত হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এবং ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার এর মাঝে মাঝে অবস্থান করে। এরা চাইলে ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার এর কাজ করতে পারবে কিন্তু তারা করবে না। নৈতিক হ্যাকাররা বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে ঠিকই কিন্তু মালিকের নির্দেশ করে থাকে।
হ্যাকার শব্দটি আমরা শুধু খারাপ ভাবে ব্যবহার করে। কিন্তু তিন প্রকারের হ্যাকার এর মধ্যে ইথিক্যাল হ্যাকার যেটি বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইট, কম্পিউটার সিস্টেম নিরাপত্তা প্রদানের জন্য তাদের আশ্রয় নিতে হয়। অন্যদিকে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা বিভিন্ন ওয়েবসাইট কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি করে থাকে। আমার মনে হয় আমি আপনাদেরকে হ্যাকার সম্বন্ধে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। ভালোভাবে বুঝতে প্রয়োজনে আর্টিকেলটি আরেকবার পড়ুন।23261
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url