পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
আসসালামু আলাইকুম! পাইলসের সমস্যা একট জটিল সমস্যা। এই পোস্টে পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় ও পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ।
পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে ধারণা পেতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও আরো যেসব বিষয়ে জানতে পারবেন তা হলো পাইলস এর ঔষধি গাছ ও পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা এবং পাইলসের ঔষধ সম্পর্কে। পাশাপাশি পাইলস এর ছবি ও পাইলস এর মলম নিয়েও জানতে পারবেন। তো যারা পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সেটি সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তারা সম্পূর্ণ পোস্টের সাথে থাকুন। তো চলুন পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সহ অন্যান্য বিষয়ে জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়
- পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ - পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
- পাইলস এর ছবি
- পাইলসের ঔষধ - পাইলস এর ঔষধি গাছ
- পাইলস এর মলম
পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়
পায়ু পথের যেসব রোগ হয় তার মধ্যে পাইলস একটি। এটি একটি জটিল সমস্যা। বর্তমানে পাইলস রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাইলস সাধারণ পায়ুপথে হয়ে থাকে। এটি হওয়ার কারণ গুলি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগা, দীর্ঘ সময় ধরে পায়খানা করার সময় বসে থাকা, পুরনো ডায়রিয়া, কায়িক শ্রম কম করা, ভারি জিনিস পত্র বহন করা ইত্যাদি। অনেকে পাইলস হওয়ার পরেও বুঝতে পারে না। পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা তাই সবার একান্ত জানা দরকার যে পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ প্রেশার লো হলে ১৫টি করণীয়
পাইলস এর ফলে পায়ুপথের মধ্যে বা ভেতরে অর্শরোগে ব্যথা অনুভূতি হয়। আবার পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে চুলকানি হয়ে থাকে। কোনো খানে বসলে ব্যথা লাগে, পায়খানার সাথে রক্ত দেখা যায়। আবার শৌচ করা টিস্যুতে রক্ত লেগে থাকে। তাছাড়াও মলমূত্র ত্যাগের সময় ব্যথা পাওয়া যায়। পায়ুর চারিদিকে তোকা তোকা অনেক ফোলা দেখা যায়। এসব সমস্যা গুলো দেখলে বুঝবেন যে এটি পাইলসের সমস্যা। এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় তা সম্পর্কে। এছাড়াও পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা তা জানতে পরের পাঠটি পড়ুন।
পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ - পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
কর্ম ব্যস্ততা ও নানা কারণে মানুষ ভুগছে নানান রোগে। এর মধ্যে যারা বেশি ভুগছে তার মধ্যে অন্যতম হলো পাইলসের রোগীরা। এর মূল কারণে রয়েছে খাদ্যভাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন। পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে সবার ধারণা থাকে না। ফলে অনেক পাইলস রোগীরা এ সমস্যা কে জটিল করে ফেলে। পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে সবার জেনে রাখা দরকার। যাতে এ সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পাঠটি ভালো ভাবে পড়লে পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন জেনে নিই পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে বিষয়ে।
- যে খাবারে ফাইবার তেমন একটা থাকে না, সে খাবার গুলো না খাওয়াই ভালো। রিফাইবারিতে যেসব শস্য দানা উৎপাদন হয় সেগুলো খেলে এ সমস্যা বেড়ে যায়।
- দুধ এবং চিজের মতো খাবার গুলো কম খাওয়া উচিত। কেননা এসব খাবার পাইলসের সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে দেয়।
- যাদের অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা এটিকে এড়িয়ে চলতে হবে। সাধারণত বাজারে বিক্রি করা মাংস গুলো পাইলস এর সমস্যা কে প্রকোপ করে তোলে।
- অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার পাইলস সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই যে খাবার গুলো তেলে ভাজা হয় সেসব খাবার গুলো পাইলস রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে।
- যারা ধূমপান বা মদ্যপানে আসক্ত, তাদের এ অভ্যাস ছাড়তে হবে। এগুলো যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর তেমনি পাইলসের সমস্যার জন্যেও দায়ী।
- পাইলসে ভুগলে চা ও কফি জাতীয় পানীয় গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এসব পানীয় গুলো পাইলসের সমস্যা কে প্রকোপ করে। যারা পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তা জানতে চেয়েছিলেন তারা হয়তো এটি দেখলে অভাক হবেন। কেননা চা কফি এগুলো সবার অভ্যাস জনিত খাবার। কিন্তু এ সমস্যা হতে বাঁচতে এড়িয়ে চলতে হবে।
- বেকারীর খাবার কম খাওয়া ভালো। কেননা এগুলো ভালো পরিবেশে তৈরি হয় না। আর ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরিকৃত এসব খাবারে ফাইবার কম থাকে। তাই এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
- পাইলস হলে আমিষ জাতীয় খাবার তথা ডিম খাবেন না। এতে এ সমস্যা বাড়ে। যাদের মনে প্রশ্ন আসে যে পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা তাদের উদ্দেশ্য বলছি যে পাইলস হলে ডিম এড়িয়ে চলুন।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কে। যারা পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ ও পাইলস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা এই বিষয়ে জানতেন না তারা এই পাঠটি পড়ে এসব বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন। পাশাপাশি পাইলস এর ছবি ও পাইলসের ঔষধ এবং পাইলস এর ঔষধি গাছ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টের সাথে থাকুন।
পাইলস এর ছবি
পাইলস রোগটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হলেও অনেকে পাইলস হলে বুঝতে পারি না। সাধারণ পাইলস পায়ুপথে হয়ে থাকে। তো যারা পাইলস হলে বুঝতে পারে না তাদের জন্য পাইলস এর ছবি দিয়ে ধারণা দিবো। যাতে পাইলস হলে সহজেই বুঝতে পারেন। নিচে পাইলস এর ছবি দেয়া হলে যা থেকে আপনি সহজে পাইলস চিহ্নিত করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কেউ দোয়া করলে উত্তরে কি বলতে হয়
এসব ছবি গুলো দেখে আপনারা খুন সহজে ধারণা নিতে পারবেন যে পাইলস হলে কি রকম হয়। এছাড়াও পাইলসের ঔষধ ও পাইলস এর ঔষধি গাছ পাইলস এর মলম সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টের সাথেই থাকুন।
পাইলসের ঔষধ - পাইলস এর ঔষধি গাছ
পাইলস একটি জটিল সমস্যা। তাই আমাদের এ সমস্যা হতে বাঁচতে পাইলসের ঔষধ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। সাথে পাইলস এর ঔষধি গাছ সম্পর্কেও জানতে পারবো। পাইলস এর ঔষধ হিসেবে ডি পাইলস নামক ঔষধটি নিতে পারেন। এটি রক্ত পড়া কমানো থেকে শুরু করে ব্যথা ভাব কমানো সহ নানান কাজে সহায়তা করে। এছাড়া পায়ুপথে সাপোজিটরি প্রবেশ করিয়ে এ সমস্যা হতে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া পাইলস এর ঔষধি গাছ এর মধ্যে পাথরকুচি পাতা ভালো কাজ করে। এর রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া বন তুলসি নামক গাছের পাতাও এ রোগের মহৌষোধ।
পাইলস এর মলম
পাইলস রোগের প্রতিরোধে ঔষধের পাশাপাশি পাইলস এর মলমও রয়েছে। যা এ সমস্যা থেকে অনেকটা স্বস্তি দিবে। পাইলস এর মলম মধ্যে স্টেরয়েড মলম রয়েছে। যা আপনাকে চুলকানি ও ব্যথা নিরসনে সহায়তা করবে। এছাড়াও এ্যনুষ্ট্যাট নামক মলম রয়েছে যা আপনাকে সাময়িক আরাম দিবে। তবে মলম লাগানোর পাশাপাশি সঠিক নিয়মে চললে অপারেশন ছাড়াও এ রোগ ভালো হয়। আর তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে ভালো ডাক্তারের কাছে অপারেশন করাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - এ থেকে মুক্তির উপায়
আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url