ইংরেজি বা ইংলিশ স্পোকেন নিয়ে আর ভয় নয়। আমরা আপনাদের জন্য ইংরেজি শেখার দারুন সব টেকনিক এই আর্টিকেলে প্রকাশ করেছি।
ইংরেজি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ন। যে কোনো চাকরীর ভাইবা পরীক্ষায় গেলে ইংরেজি জানা টা আমাদের কাছে অনেক বেশি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায় এবং ইংরেজি জানা থাকলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। তাই ইংরেজি শিখতে চাইলে ও ইংরেজিতে পারদর্শী হতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইংরেজিতে কথা বলার সময় তোমাদের pronunciation
বা উচ্চারণ
নিয়ে কোন চিন্তা করা যাবে না। কেননা তোমাদের উচ্চারণের দিকে
গুরুত্ব না দিয়ে বরং কী বলছো সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে । ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে । ইংরেজি জানে এমন ব্যক্তি সব জায়গায় সম্মানিত হয়। যে যতই
শিক্ষিত হোক না কেন, যদি ইংরেজি না জানে তাহলে তাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না । যেকোনো সম্মানজনক চাকরি পাওয়ার
অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ইংরেজি ভাষা ।
তুমি যদি কোন চাকরির ইন্টারভিউতে
দ্রুত ইংরেজিতে কথা বলতে পারো তাহলে চাকরিটা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে । স্বামী বিবেকানন্দ ভালোভাবে
ইংরেজি বলতে পারতেন না । তাই তিনি জঙ্গলে গিয়ে গাছপালা, পশুপাখি নিয়ে ইংরেজিতে কথা বলতেন
। ফলে তিনি
একসময় দুর্দান্ত ভাষ্যকার হয়ে উঠেন ।এভাবে চর্চার মাধ্যমে টানা তিন
ঘন্টা ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । তাই প্রথম প্রথম ইংরেজিতে কথা বলা
চর্চা করার জন্য নির্জন বা নিরিবিলি, শান্ত জায়গা বেছে ইংরেজিতে কথা বলা চর্চা করতে হবে ।
তারপর সবার সামনে যেখানে-সেখানে, যার-তার সামনে কথা বলতে পারবে । ভুল সবাই করে । আর ভুল
থেকেই শিক্ষা নিতে হয় । ভুল হবে বা ভুল হয় বলে ইংরেজি বলা বন্ধ করে রাখলে ইংরেজিতে
কথা বলা যায় না বরং বোকা হয়ে থাকতে হয় । কেননা ভুল হয় তাই সাহস করে বলি
না, এমন চিন্তাই ইংরেজিতে কথা বলতে বাধা দেয় । তাই একটু একটু ভুল হলেও বলতে হবে
এবং যেখানে ভুল হয় সেখানটায় ঠিক করে নিতে হবে । ইংরেজিতে
কথা বলাটা অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে -যেমন ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করা আমাদের একটা না
বলা অভ্যাস । সেই রকম ইংরেজি বলা অভ্যাস করলে, না বেশি ভেবেই বলা যাবে ।
কথা বলার সময় মনে মনে অনুবাদ
করার চেষ্টা করা যাবে না । সম্পূর্ণ বাক্য বলে আবার মনে মনে সেই বাক্যের শব্দের অর্থ ভাবা যাবে না । প্রথমে মনে মনে বাংলায় চিন্তা
করলেও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বাংলা বন্ধ করে ইংরেজিতে কথা বলতে চেষ্টা করতে
হবে । যদি এক্ষেত্রে নিয়ম জানা থাকে তাহলে মনে মনে বাংলায় না
ভেবেই ইংরেজিতে কথা বলা যায় । যদি না পারা যায় তাহলে তা এখানে শেখানো
হবে । ইংরেজিতে যা যা শিখবে তা নিজের বন্ধুর সাথে বা
অপরিচিত কোন ব্যক্তির সাথে দুই থেকে তিনবার দিনে চর্চার অভ্যাস করতে হবে ।
প্রথম প্রথম ইংরেজি বলতে না পারলে
জানা ইংরেজি বাক্য কথাবার্তায় মাঝে মধ্যেই.ব্যবহার করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে পরবর্তীতে
কথাবার্তায় ইংরেজি বাক্য বেশি প্রয়োগ করছো কিনা ! নতুন কিছু শিখে প্রয়োগ করার আগে
পূর্বের ক্লাসে আলোচনার বিষয় গুলো পুনরাবৃত্তি করতে হবে ।
ইংরেজিতে এগোতে হলে ইংরেজি বলার
কোনো বিকল্প নেই এবং ওয়ার্ড মিনিং ও স্পোকেন গ্রামার অবশ্যই ভালোভাবে
জানতে হবে । তাছাড়া স্পোকেন করার নিয়ম কানুন জানতে হবে । অপরের ইংলিশ বোঝার জন্য বেশি বেশি
ইংরেজি শুনতে হবে । তার জন্য প্রথম প্রথম বন্ধুদের ইংরেজি বেশি শুনতে হবে আর তারপর
কোন ইংরেজি প্রোগ্রাম বা নিউজ শুনতে হবে। নিজের লিসেনিং পাওয়ার বৃদ্ধি
করতে নিজের ইংরেজি বলাটাও সহায়তা করে । কথা বলার দ্রুততা বাড়াতে হলে
একটাই সূত্র “বলতে হবে ” । বলার মাধ্যমেই জিহ্বার আড়ষ্ঠতা কাটাতে হবে ।
আমরা যেমন
বাংলাতে একই ভাষা বারবার ব্যবহার করি যেমন - আমি এখন খাব / ঘুমাবো / পড়বো এ
ধরনের বাক্য যা ইংরেজিতে দৈনিক ব্যবহার করবে যার ফলে বলার দ্রুততা অটোমেটিক্যালি
বাড়বে ।সারাদিনে
1 থেকে 2 মিনিট / তিন থেকে পাঁচ মিনিট করে
দিনের মধ্যে কয়েকবার যতটুকু পারা যায় ইংরেজিতে বলতে চেষ্টা
করতে হবে ।
তোমাদের ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে কি
অবস্থা তা বোঝার জন্য অন্তত দশমিনিট সময় ঠিক করে বন্ধুদের মধ্যে বাংলা না বলে
ইংরেজিতে কথা বলার সিদ্ধান্ত নাও এবং দেখো কত মিনিট বন্ধুরা মিলে কথা বলতে পারছো । তাহলেই
বুঝতে পারবে তোমাকে ইংরেজি বলা শিখতে হবে নাকি, থাক পরে শেখা যাবে এই অজুহাতে সেই সময়টাকে পার করবে
।
যদি জীবনে
কিছু করতে চাও তাহলে ইংরেজি বলা শিখতে হবে । আর যদি ওই নির্ধারিত 10 মিনিট বা তার বেশি কথা বলতে পারো
এবং যদি বিশ্বাস থাকে আমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারব তাহলে বোধ করি তোমার ইংরেজি অনেকটাই শেখা আছে। ইংরেজিতে এগোতে হলে তোমাকে ইংরেজি
জানে এমন বন্ধু জোগাড় করে তাদের সাথে কথা বলতে হবে । অথবা যারা শিখছে তাদের বন্ধু
বানিয়ে তাদের সাথে চর্চা করতে হবে ।
তাহলেই তুমি কিছু না কিছু শিখবে এবং
এগিয়ে যাবে । ইংরেজিতে এগোতে হলে ইংরেজি বিষয় পড়তে হবে
। কেননা এর
মাধ্যমেও চর্চা হবে এবং কনফিডেন্স বাড়বে । তাই জোরে জোরে (loudly)
ইংরেজি
পড়তে হবে । আমি ইংলিশ বললে অন্যরা ইংলিশ শিখে
নেবে এই ধারণা বা চিন্তা মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। স্পোকেন করার সময় মুখে মৃদু হাসি
রাখা জরুরি । ইংলিশ বলতে পারলে একদিনো বাদ না
দেওয়াই ভালো ।
কিভাবে ইংরেজিতে পরিচয় দিতে হয়।অন্যের সাথে পরিচিত হতে হয়ঃ
ইংরেজি শেখার একটি সহজ লজিক হলো —
আমাদের বেশি ইংরেজি পড়ার মাধ্যমে
ইংরেজি পড়ার ক্ষমতা
আমাদের বেশি ইংরেজি লেখার মাধ্যমে
ইংরেজি লেখার ক্ষমতা
আমাদের বেশি ইংরেজি শোনার মাধ্যমে
ইংরেজি শোনার ক্ষমতা
এবং আমাদের বেশি ইংরেজি বলার
মাধ্যমে ইংরেজি বলার ক্ষমতা বাড়ে ।
তাছাড়া আমাদের বেশি ইংরেজি
গ্রামার চর্চার মাধ্যমে গ্রামার সম্পর্কে ধারণা বাড়ে ।
অতএব বলা যায়, আমরা পড়তে পারি, লিখতে পারি কিন্তু শুনে বুঝতে
পারিনা এবং বলতে পারিনা ।
কারণ আমরা ইংরেজি কম তো দূরের কথা
ইংরেজি শুনিইনা । ইংরেজি একটু একটু বলা তো দূরের কথা ভয়ে বলতে সাহস করি না । তাই ইংরেজি
বলা এবং শোনার ক্ষেত্রে অনেকটা বোবা ও ঠাসা । এক কথায় ভালোভাবে ভাবলে দেখা
যাবে ইংলিশ বলি ওশুনি কম, তাই বলতে পারিনা ও শুনে বেশি বুঝতে পারিনা ।
ভয় লজ্জা মানসম্মানের ব্যাপার
যদি ভুল ইংরেজি বলি এসব বাদ দিয়ে বা ঝেড়ে ফেলে সব জায়গাতে ইংলিশ বলার চেষ্টা
করতে হবে । কথায় আছে , ‘‘বলা সহজ করা কঠিন’’ । অর্থাৎ, প্রথম কথা- ‘বলা সহজ ’।
সুতরাং
ইংরেজি বলতে লাগলে সহজ হয়ে যাবে । তখন- ‘ করা কঠিন ’----
কথাটি আর
কার্যকর হবে না । ইংলিশ বলা কঠিন কথাটি মিথ্যেই পর্যবসিত হবে ।
প্রশ্ন
হচ্ছে তাহলে বলব কি করে ? যা এখানে শেখানো হয় । মুখের জড়তা / আরষ্টতা / তালা খোলার জন্যে জোরে জোরে ইংলিশ বলতে হবে অন্তত যেন অন্যেরা স্পষ্ট শুনতে
পাই । ইংলিশ বলার জন্য প্রথমত নিজের
চেষ্টা আগ্রহ ও ইচ্ছা থাকতে হবে এবং যা শিখবে তা বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার
করতে হবে । নইলে শেখা আর না শেখার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না ।
ইংলিশ বলার জন্য কোন অজুহাত নয়
অর্থাৎ পরিবেশের কারণে হয় না, অনেকদিন থেকে পড়া হয়না, অনেকদিন থেকে চর্চা করা নেই, অনেকদিন থেকে একটুও কিছু ইংলিশ
দেখিনি, অমুক স্যারেরাই পারেনা আর আমি, এখন তো আর ইংলিশ বলতে ইচ্ছা হচ্ছে
না যখন বলতে হবে তখন তখন দেখা যাবে — এ ধরনের অজুহাত না দেখিয়ে জাস্ট
বলতে হবে । যখন অন্যের সামনে ইংলিশ বলবে তখন
ভেবে নিতে হবে অন্যরা খুব ভালো ইংলিশ বলে ও বুঝে ।
তাই সর্বদা সচেতন বা মনোযোগী থেকে বা জেনে ও বুঝে ইংলিশ বলতে হবে ।ইংলিশ বলার অভ্যাস বাড়ি থেকেই শুরু
করতে পারলে ভালো হয় । তোমার এক মিনিট থেকে 5 মিনিট বা 5 থেকে 15 মিনিট একদিন অবশ্যই সারাটা দিন
বলার শক্তি ও আত্মবিশ্বাস এনে দিবে নিঃসন্দেহে । ইংলিশ বলার জন্য নিজের যেসব
ওয়ার্ডমিনিং জানা আছে তাই দিয়েই যত পারা যায় সেন্টেন্স বলতে থাকতে হবে । যে যত word-meaning
জানবে সে
ততো বেশি ইংলিশ বলতে স্বস্তি বা আরাম বা সহজবোধ্যতা বোধ করবে ।
এখানে স্পোকেন ইংলিশের অর্থাৎ
স্পোকেন ক্লাসের একটি রুল বা শেখানোর টেকনিক এর ওপর কয়েক ঘন্টা করে প্রথমে চর্চা করতে হবে । স্পোকেন গ্রামারের কোন একটি রুল
শিখে তার উপর কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘন্টা প্রতিদিন চর্চা করতে হবে । একটু বলতে সক্ষম হওয়ার পর কোন
কারণে হতাশ হয়ে রুল বা পন্থা থেকে হঠা যাবে না । বরং আরো বেশি করে চর্চা করতে হবে ।
যদি দেখো যেখানে কিছুই বলতে পারতে
না, সেখানে কিছু ইংরেজিতে বলতে পারছ তাহলেই বুঝবে স্পোকেনে এগিয়ে যাচ্ছো
। স্পোকেন করার সময় বা স্পোকেন
করার জন্য নিজের মনের নেগেটিভ অবস্থা অবস্থাকেই কোনোক্রমেই প্রাধান্য দেওয়া
যাবে না । বরং কি সমস্যা হচ্ছে তার সমাধান নিজেকেই বের করে নিতে হবে অথবা
এই বইয়ের নির্দেশনাগুলো পড়লেও অনেক অনেক সমস্যার সমাধান হবে এবং বিশ্বাস ও
আত্মবিশ্বাস আসবে ।
যতক্ষণ ইংরেজি বলতে স্বাদ বা
আনন্দ না পাচ্ছ ততক্ষণ বলার আগ্রহ বা কনফিডেন্স খুব একটা আসেনা । যা আসে তা
হচ্ছে- ”আমিও ইংরেজি বলতে চাই” এই স্বপ্নটাই আসে । তাই বলতে
চাইলে এখান থেকে কিছু শিখতে পারলেই আগ্রহ ও কনফিডেন্স পাবে ।
বাংলা কথা বলতে বলতে মাঝেমধ্যে
ইংরেজি কয়েকটি বাক্য করে বলতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ার সাথে সাথে চর্চা হয়ে
যায় এবং তোমার প্রতি অন্যের পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা জাগ্রত হয় অর্থাৎ পার্সোনালিটির ডেভলপমেন্ট হয় । এটা একটা বড় সমস্যা অন্যের ইংরেজি
বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষীর ইংরেজি শুনে বুঝতে না পারা । এটির জন্য যা করতে হবে তা হল
স্পোকেন ওয়ার্ড মিনিং জানতে হবে এবং ইংলিশ বলা অন্যের সাথে চর্চা করতে হবে ।
মন, কান, মস্তিষ্ক, জিহ্বা ও মুখকে বেশি বেশি ইংরেজি
বলা ও শোনার মাধ্যমে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে । প্রথম প্রথম হয়ত একটু বিরক্ত
লাগতে পারে । তবে বুঝতে পারলে ও একটুও বলতে পারলে আনন্দ লাগবে ও
আমিও ভবিষ্যতে ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারব এই বিশ্বাস বা আত্মবিশ্বাসটা ভেতরে আসতে
বাধ্য হবে । ইংলিশ স্পোকেন অভ্যাস, চর্চা, বলা কিছু নিয়ম কানুন জেনে
প্রয়োগ করা ছাড়া কিছুই নয় । ইংলিশ মুভির সাব-টাইটেল দেখেও অনেক ইংরেজি
শেখা যায় এবং শোনে বোঝার ও অনুধাবন করার ক্ষমতা বাড়ানো যায় । ইংলিশ সম্পর্কে আমাদের ভেতর থেকে
সকল প্রকার জড়তা কাটানোর একমাত্র উপায় হল ইংলিশ বলা ।
ইংলিশ বলতে
না পারলে বিশাল বা কঠিন বা অনেকটা আঙ্গুর ফল টক গল্পের মত ।ইংলিশ বলাটা কঠিন নয়, বলতে লাগাটাই কঠিন । ইংলিশ সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন
অহেতুক বা নেগেটিভ ভাবনাটাই ইংলিশকে বা ইংলিশ স্পোকেনকে কঠিন করে তুলে । ইংলিশ বলতে হলে একটি “ সিস্টেমেটিক ওয়ে” দরকার যা এখানে শেখানো হয় ।
ইংরেজি ওয়ার্ড মিনিং জানা আছে
অনেক কিন্তু অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্পোকেন করার সময় প্রয়োজনীয় ওয়ার্ড বলতে পারেনা
। হয় থেমে
যায় আর না হয় আ…..আ….আ ইত্যাদি প্রকাশ করে । এর প্রধান
কারণ হলো ইংলিশ বলার চর্চা না করা এবং না গুছিয়ে বলতে পারা । দ্রুত বলতে হলে বা fluency
আনতে হলে
ডায়লগ এর মাধ্যমে কনভারসেশন করতে হবে । কোন একটি বিষয় ভিত্তিক দশ-বিশটি ডায়লগ এর মাধ্যমে
কনভারসেশন করতে পারলে অনায়াসে fluency আনা সম্ভব ।
বাংলা ইংলিশ মিশ করেও ইংলিশে আগ্রহ বাড়ানো যায় । যেখানে
ইংলিশ ওয়ার্ড মনে পড়ছে না সেখানে বাংলা ওয়ার্ড ব্যবহার করেই বন্ধুদের মধ্যে কথা চালিয়ে যাও । পরে যে ওয়ার্ডটি জানা ছিল না তা জেনে
নাও । স্পোকেন ইংলিশ প্রতিটি ব্যক্তির
মন মানসিকতার উপর অনেকটা নির্ভর করে । চেষ্টা করতে হবে যতটা পারা যায়
বাংলা বা ইংলিশে সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে । যাতে নিজের কাছে অন্তত ভদ্র শিক্ষিত মার্জিত ও শান্তশিষ্ট মনে হয় ।
এতে করে অন্যের কথাবার্তা সহ্য
করার ক্ষমতা বাড়বে এবং নিজেও মনে শান্তি পাবে । যার ফলে সামান্য ইংলিশ বলতে
পারলেও মনে আনন্দ অনুভূত হবে ।ইংলিশ পড়ার ক্ষেত্রে মনকে শান্ত
রাখতে হবে এবং মনোযোগী হতে হবে । নইলে কি পড়ছি, আর কি ভাবছি, আর কোন দিকে কান আছে বোঝা মুশকিল । নিজের
পড়ার টেবিল ও ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে । এতে করে মনে প্রশান্তি ভাব আসবে । জানোই তো, মনে আনন্দ থাকলে কঠিন বিষয়ও একটু
একটু শুনতে ভালো লাগে । তাছাড়া গেট আপ ইংলিশ স্পোকেনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
যে সময় পড়লে দ্রুত ক্যাচ করবে, সে সময় ইংলিশ পড়তে হবে । এজন্য খুব
সকালে বা ভোরে কঠিন পড়া বা Spoken চর্চা করা যেতে পারে । ইংলিশ বলা দেখে কেউ হাসলো বা কেউ
কি ধরনের কথাবার্তা বলল সেদিকে লক্ষ্য না দিয়ে নিজের মত করে যতটা পারা যায় ইংলিশ
বলতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । ইংলিশ বলার ক্ষেত্রে লজ্জা, ভয়, দ্বন্দ্ব, হতাশা, অনিচ্ছা, লোকচক্ষুর ভীতি,
অপমানিত
হওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না ।
মুখস্থ করে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত
করা কখনোই কারো পক্ষে সম্ভব নয় । যদি মুখস্ত করে কেউ তা শিখতে চাই
তবে তার সে কথার ভাব তা কেউই সহজে বুঝতে পারবে না । তাছাড়া মুখস্ত করে কোন ইংলিশ
বললে মনের মধ্যে ভয় কাজ করে না জানি এরপর কি বলবো আর কিবাই অপর ব্যক্তি বলবে, আর কিবাই উত্তর দিব । এসব নানা কথা
মনের মাঝে উঁকি দেয় । ফলে কখন যে যন্ত্রণার মাঝে একে অন্যের সাথে কথা শেষ করে মনের
মাঝে জ্বালা আওড়াতে-আওড়াতে বিদায় নিতে হয় ।
ইংরেজিতে কিভাবে দ্রুত কথা বলতে হয়ঃ
আমরা চিন্তা করি, ভাবি কিন্তু সে ভাবনা বা চিন্তাকে
সুশৃংখলভাবে সুন্দর ভাষায় বলতে বা লিখতে পারিনা কারণ আমাদের ভাবনা কোন নির্দিষ্ট
নিয়ম মেনে আসেনা তাই মুখস্থ করে কাজ হয় না
অনেকটা প্রশ্ন পরীক্ষায় কমন না
আসার মত । যেভাবে আসে সেভাবে বলা বা লেখা যায় না সেই ভাবনা বা চিন্তাকে
ছেঁকে সুশৃংখল ও সুন্দরভাবে সাজিয়ে যদি প্রকাশ করা যায় তাহলে তা শুনতে বা পড়তে ভালো লাগে । এটা এমনি এমনি হয় না । এজন্য প্রয়োজন অনুশীলনের, অভ্যাসের । যে কেউ যদি অভ্যাস করে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই সে
যখন-তখন, যেখানে-সেখানে যে কোন বিষয়ের উপর কিছু বলতে বা লিখতে পারবে ।
ইংলিশ সম্পর্কে আমাদের আতঙ্ক বা
নেগেটিভ ভাবনায় ইংলিশকে কঠিন করে দেয় ।তাছাড়া
ইংরেজি সহজ । এর জন্য
চাই পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, চর্চা এবং পদ্ধতিগতভাবে শেখা ।
ইংলিশ জানার ক্ষেত্রে প্রথমত
গ্রামার/ স্পোকেন গ্রামার জানতে হবে । দ্বিতীয়তঃ প্রচুর প্রয়োজনীয়
ওয়ার্ড মিনিং জানতে হবে । তাই বলে ডিকশনারি মুখস্ত করতে লেগোনা । তৃতীয়তঃ স্পোকেন নিয়ম
জেনে বলতে
হবে ।
নিজের রুমে থাকার সময় যখন যা মনে
আসবে তাই ইংলিশ স্পোকেন করতে হবে । যতক্ষণ পর্যন্ত পারা যায় ততক্ষণ
পর্যন্ত চালাতে হবে । দরজা বন্ধ করেও এই চর্চা চালাতে পারো ।
ইংলিশ বলাটাকে পুরোপুরি এনজয়
করতে হবে । আমি ইংরেজি বলতে পারি না এ কথা না
বলে যতটুকু ইংলিশ বলা যায় ততটুকু বললেই লাভ । তাতেই এগোনো যাবে । জানোই তো
খিদে লাগলে কি করতে হয় । তবে ইংরেজি শিখতে কি করতে হবে, সেটা বোধ করি আর বোঝাতে হবে না ।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ইংলিশ
পড়তে হবে ও চর্চা করতে হবে । ইংলিশ লেখার এবং বলার মাধ্যমেই
ভেতরের সুপ্ত জ্ঞান প্রকাশিত হবে । অর্থাৎ ইংলিশ শেখার জন্য নিজের
থেকেই তা বানিয়ে লিখতে হবে এবং ইংলিশ বলতে হবে । স্পোকেন করার সময় স্পষ্ট ভাবে
উচ্চারণ করতে হবে । স্পষ্ট ভাবে কথা বলার জন্য যদি একটু জোরে কথা বলতে হয় তবে তাই
বলতে হবে ।
নতুবা অ্যা…অ্যা স্বভাব থেকে যাবে । ইংলিশ সাহস করে বলা চাই । বাদবাকিটা
আপনা আপনি হয়ে যাবে । যদি স্পোকেন নিয়মকানুন গুলো কিছুটা অন্তত জানা থাকে । ইংরেজি কারো
সামনে বলবো কি বলবো না/ না থাক না বলাই ভালো/ বললে হয়তো যে ব্যক্তির সামনে বলবো
সে হয়ত রাগ করবে/ হয়তোবা বলতে লেগে আটকে যাব/ হয়তোবা যার সামনে বলব সে অপমান
করবে/ হয়তোবা চালিয়ে যেতে পারবো না/ লজ্জায় পড়তে হতে পারে ইত্যাদি ভাবলে কখনোই
ইংরেজি বলা হবে না । অন্যান্য ভাষার থেকে ইংরেজিতে দ্রুত
কথা বলা যায় ।
বিশ্বাস না হলে কোন ইংলিশ মুভিতে লক্ষ্য করে দেখো তারা কিভাবে
দ্রুত ইংলিশ বলে । যখন তোমরা ইংলিশ বলার চর্চা করতে
থাকবে বা বলতে থাকবে তখনই যেখানে-সেখানে ইংলিশ বলার সাহস বাড়বে, আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাস বাড়বে । তাছাড়া না
বললে সর্বদা মনে হবে আমি বলতে পারব না । নিজেকে অযোগ্য বলে মনে হয় । ইংরেজিতে যে যতই দুর্বল হোক কিংবা সফল হোক না কেন
তাতে কারো কিছুই যায় আসে না । যে ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে ও বাহিরে
ইংরেজি বলে সেই এগিয়ে যাবে । কথার পিঠে পিঠে ইংলিশ বলতে চেষ্টা
করতে হবে । এটার জন্য চর্চা প্রয়োজন ।
ইংলিশে কথা বলার প্রচন্ড আগ্রহই
ইংলিশে কথা বলতে সাহায্য করবে । যারা ভালো ইংলিশ জানে/ বুঝে/ পারে
তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে । তাহলেও স্পোকেন ইংলিশে অনেক কিছু
শিখতে পারবে । ইংলিশ
দ্রুত বলতে না পারলেও ধীরে ধীরে বলতে হবে । তবেই ভবিষ্যতে দ্রুত বলা যাবে । ইংলিশ না বললে মনে হবে–‘আমি বলতে পারব না’ ।তাই
প্রতিদিন কিছু না কিছু ইংলিশ বলতে হবে । ইংলিশ স্পোকেন প্রতিদিন অন্তত
বাসায় চর্চা হচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে । স্পোকেন ইংলিশটা একটা
প্র্যাকটিক্যাল বিষয় । তাই এটাকে বাস্তব জীবনে বলার
মাধ্যমে প্রয়োগ না করলে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া দুষ্কর ।স্পোকেন ইংলিশ আমি জানলাম-বুঝলাম, কিন্তু প্রয়োগ করলাম না তাহলে, জেনে ও বুঝে কি লাভ হল ! আমি
শিক্ষিত হলাম কিন্তু শিক্ষনীয় বিষয় প্রয়োগ না করে মূর্খ প্রমাণ দিলাম । ব্যাপারটা
কি এরকম নয় ?
ইংরেজি শিক্ষার আগ্রহ আছে, কিন্তু উদ্যোগ নাই, ইংরেজি বলতে চাই কিন্তু চর্চা
করতে ভালো লাগেনা, বিরক্তি লাগে । ইংরেজি বলার সাহস আছে কিন্তু ভয়
ও লজ্জা লাগে, ইংরেজি শিখতে চাই কিন্তু মনের মধ্যে অনেক বাধা উঁকি দেয় । এসব রোগের
সমাধান কি? সমাধান তোমরা নিজেই । স্পোকেন যারা ভাল পারে তাদের
সাথেই মিশতে হবে । যারা স্পোকেনে দুর্বল তাদের সাথে কম সময় কাটাও, তাই বলে তাদের অবহেলা করবে না । প্রতিদিন ইংলিশ বলো আর জীবনে জয়ী
হও । স্পোকেন ইংলিশে যা বলব তাতেই
স্পষ্টতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সত্যতা জানা থাকে । এটা যেন সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য
হয় ।
কিভাবে বিভিন্ন মিটিংয়ে, কোচিং, স্কুল-কলেজে ইংরেজিতে উপস্থাপন করতে হয়ঃ
ইংরেজি বলার জন্য প্রয়োজনীয়
পদ্ধতিগুলো বারবার রিভাইস করে মনে রাখতে হবে সারাটি জীবন ।স্পোকেন ইংলিশ শোনার সময় বা বলার
সময় অত্যন্ত শান্ত ভাব নিয়ে মনোযোগী হয়ে শুনতে হবে ও বলতে হবে । ইংলিশের প্রশ্নের উত্তর সর্বদা ঠিক ঠিক দিতে হবে এবং এক্সপ্রেশনের বলার ভঙ্গি
হবে স্পষ্ট / ক্লিয়ার কাট । ইংলিশ স্পোকেন করার সময় নিজের
কথাবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আশেপাশের সবাইকে ওয়েল ইংলিশ নোয়িং পার্সন
মনে করতে হবে ।
তাই স্পোকেন ইংলিশ সচেতন ভাবে বলা চাই । যেন কেউ ভুল ধরতে না পারে । স্পোকেন একটি আর্ট । তাই যখন politeness,
rudeness, joyfulness, wrath ইত্যাদি যথাসময়ে স্পোকেনের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে । ইংলিশ জানার ও বলার মাধ্যমে ভয়/
লজ্জা/ জড়তা কেটে যাবে । ইংলিশ বলতে চেষ্টা করলেই কেবল
কিছু-না-কিছু ইংলিশ মন থেকে বা মুখ থেকে বের হবে। অর্থাৎ ইংলিশ বলতে লাগলেই কেবল তা
বলা যায় । তবে অবশ্যই স্পোকেন সম্পর্কে কিছু
না কিছু জানতেই হবে । মনকে ছোট
বা সংকীর্ণ করলে বা নেগেটিভ চিন্তা বেশি করলে ইংলিশ বলা কঠিন । অনেক সময় বের হতে চাইবে না । একটু একটু বলতে থাকলে সাহস ও কনফিডেন্স বাড়বে ।
তখন ইংলিশ বলাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে । ভালো ইংলিশ বলাটা ভালো
পার্সোনালিটি গড়ে তোলার মাধ্যম । ইংলিশ স্পোকেন করতে গেলে কি কি
সমস্যা হয় তার সমাধান হিসেবে নিজে করতে না
পারলে ডাইনামিক ইংলিশ কর্ণারকে দিয়ে সমাধান নিতে পারো স্পোকেনে নিজের মতো করে কথা বলতে হবে এবং
বুঝতে হবে । তাড়াহুড়ো করে বলতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাই যেভাবে
বললে নিজের সুবিধা হয় সেভাবেই বলতে হবে। ইংলিশ বলা, লেখা, পড়া ও শোনার মাধ্যমেই ইংলিশে
ব্রেন শার্প হবে । অর্থাৎ ইংলিশে দক্ষতা বাড়বে ।
আমি ইংলিশ বলতে পারি /জানি বলে ’ইংলিশ বলা‘ থেকে কোনক্রমেই বিরত থাকা যাবেনা । তাহলে সব
সমস্যা ভেতরেই থাকবে । সমস্যা আবিষ্কার করে সমাধান দেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না । মনে রাখতে হবে ইংলিশ পড়তে চাওয়া, বলতে চাওয়া, বুঝতে চাওয়া প্রায় প্রতিটি
ব্যক্তিরই একটি লালায়িত স্বপ্ন । কিন্তু সবাই এটি অর্জন করতে/ পূরণ
করতে পারেনা । কেননা তারা প্রয়োজনীয় প্রয়োগ ঘটাতে ব্যর্থ হয় । স্পোকেন করার সময় প্রথমে বাংলা
ভেবে তারপর তার ইংলিশ ভেবে কথা বলা কখনোই সম্ভব নয় । তা করতে গেলে একটি বাক্য বলতেই
বেশ কয়েক মিনিট সময় লাগবে । তাহলে কিভাবে কথা হবে । তাই ইংলিশে
ভেবে ইংলিশে উত্তর দিতে হবে । প্রশ্ন শোনার পর আসলে কি বলা উচিত
সেটা ইংলিশে বলতে লাগলে বাকিটা হয়ে যাবে । এর জন্য স্পোকেন এর ধরন জানাটা
জরুরী ও চর্চা আবশ্যক ।
ইংলিশ
শোনার সময় না বোঝার কিছু কারণ রয়েছে । যেমন—
- ওয়ার্ড মিনিং না জানা ।
- উচ্চারণ সঠিক না জানা ।
- স্পোকেন গ্রামার না জানা ।
- স্পিকিং না করা ।
- মনোযোগ দিয়ে না শোনা ।
- নিয়মিত ইংলিশ না শোনা ।
কিভাবে ইন্টারভিউ ইংরেজিতে দিলে ভালো হয়ঃ
গোটা বিশ্বের ইংলিশ একই । শুধু
গ্রামার, উচ্চারণ ও স্পোকেন কলা-কৌশল জানা জরুরী । তাই বলার সময় কোনও
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করার দরকার নেই যে আমি যা বলছি তা ঠিক হচ্ছে কি হচ্ছে না । কলাকৌশল
ঠিক রেখে কথা বললে জানতে হবে নিঃসন্দেহে ঠিক আছে । ইংলিশ জানার উপরেই ইংলিশ বলাটা
নির্ভর করে । মনে রাখতে হবে ইংলিশ একটা ভাষা ।
আর এ
ভাষাকে রপ্ত করার সহজ বিষয় নয় । তাই এই ভাষায় বেশি বেশি কথা বলার
বিকল্প নেই । যত কথা বলবে ততই শিখবে । ইংলিশ স্পোকেন করলেই ইংলিশ বলার সময় প্রয়োজনীয়
ওয়ার্ড মাথায় আসে যদি সেই প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডের অর্থ জানা প্রতিদিন কতটা ইংলিশ বলছি তার ওপর
নির্ভর করে ইংলিশ Fluency । তাই যতই ইংলিশ বলা যাবে ততই
Fluency (দ্রুততা)
বাড়বে । ইংলিশ বলার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করা যাবেনা । কেননা তা দুর্বলতার প্রকাশ । এমনকি এগুলো ভাইভা বোর্ডেও করা যাবে না ।
- চোখ বড় বড় করা ।
- কথা বলার সময় অ্যা….অ্যা বা গোংড়ানো ।
- কথা বলার সময় আটকা আটকা ভাব ।
- এদিক-ওদিক তাকানো ।
- অত্যন্ত বেশী নড়াচড়া করা ।
- মাথা নামিয়ে ফেলা ।
- চোখে চোখ রেখে কথা না বলা ।
- নার্ভাস ফিল করা ।
- বারবার একই ওয়ার্ড/ এক্সপ্রেশন বলা ।
- তোতলামি করা ।
- কথা বলার সময় মনে মনে ভয় পাওয়া ।
- প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডস না জানা ।
- অহেতুক রেগে যাওয়া ।
- আমি পারি না তাই অন্যরাও পারে না বা জানে না – এমনটা ভাবা ।
- কথা বলার সময় বেশি ঘমা ।
- লজ্জা ভাব প্রকাশ পাওয়া ।
- নিজের উপর বিশ্বাস না থাকা ।
কিভাবে সবার সাথে ইংরেজিতে কথা বলা যায়ঃ
যখন আমরা কোনো কাকে বেশি ভয় পায়, সন্দেহ পোষণ করি, পারবো কিনা ভাবি তখন সে কাজটা
করাটা কঠিন হয়ে পড়ে । কাজটি করলেও হয়তো ভালো হয় না । ইংলিশ স্পোকেন এর ক্ষেত্রেও তাই । তাই ইংলিশ – শেখার ক্ষেত্রে ইচ্ছা, আগ্রহ, সাহস, পরিশ্রম, ধৈর্য, প্রচেষ্টা, উদ্যম, সঠিক পদ্ধতি, গাইড-লাইন, অভ্যাস/ চর্চা, বিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি থাকতে
হবে । ইংলিশ বলার জন্য চাই সাহস । বলার সাহস । এটাই উপরে
উঠতে বা এডভান্সড লেভেলে যেতে নিজেকে সাহায্য করবে ।
ইংলিশ বলতে লাগলে ইংলিশ বলার
ক্ষমতা বাড়ে । এ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই । স্পিকিং কলাকৌশল না জানার জন্য । স্পোকেন করার সময় একটা শূন্যতা
কাজ করে । এটি হয় প্রয়োজনীয় ওয়ার্ড মিনিং ও স্পোকেন কলাকৌশল না জানার
জন্য । যদি তুমি ইংরেজি বলতে লজ্জা পাও
তাহলে তুমি কখনো ইংরেজি বলতে পারবে না ।. স্পোকেন
ইংলিশ ভালো পাড়তে হলে স্পোকেন গ্রামার ভালোভাবে জানা আবশ্যক । স্পোকেন করতে থাকতে হবে যতক্ষণ
পর্যন্ত না লক্ষ্যে পৌঁছা যায় । অন্যের ইংলিশ বুঝতে পারছি না বলে
স্পোকেন বন্ধ করা যাবে না । বরং আরো বেশি করে চর্চা বা
প্র্যাকটিস করতে হবে । ইংলিশ স্পোকেন করার জন্য প্রথমে
আগ্রহ বা ইচ্ছা থাকা লাগবে, যদি আগ্রহ বা ইচ্ছা না থাকে তাহলে কখনই ইংলিশ স্পোকেনে এগোনো
যাবে না / স্পিকিং করতে পারা যাবে না । ইংলিশ স্পোকেন শিখতে চাইলে
স্পিকিং টাইম বাড়াতে হবে । যেমন —--
আজ 10 মিনিট, আগামীকাল 15 মিনিট, এভাবে 30 মিনিট, এক ঘন্টা, 2 ঘন্টা করে স্পোকেন করতে হবে । তাহলে বলার
ক্ষমতা বেড়ে যাবে ।
ইংলিশ
হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল বিষয় । তাই যত পারা যায় বাস্তবে ইংলিশ
বলতে হবে । বাস্তবে ইংলিশ বলার উপর নির্ভর করবে স্পিকিং ইংলিশে পারদর্শিতা । সারাদিনে কখন, কোথায় কি করলাম তার ব্যাখ্যা বা
বর্ণনা সন্ধ্যাবেলা নিজে নিজে বাড়িতে ইংলিশে বলতে হবে । প্রতিদিন এভাবে চর্চা করতে হবে । আসলে স্পোকেন ইংলিশ একটি অসীম
বিষয় । আমাদের কখন, কোথায়, কোন উদ্দেশ্যে কি কথা বলতে হবে তা
একেবারেই অনির্দিষ্ট বা অজানা । তাই একটি বই বা কিছু বাক্য মুখস্ত
করে কিছুতেই অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলা সম্ভব নয় । আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন অবস্থানে
মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে কথাগুলো বলে থাকি তার প্রতিটি কথাই স্পোকেন ইংলিশ এর
সিলেবাস ।প্রথমে মুখ
দিয়ে ইংরেজি বের হতে চায়না । তার জন্য প্রচুর ইংরেজি বলতে হবে ।
প্রথমে সহজ ও টুকিটাকি ইংরেজি বলা শুরু করতে হবে । তারপর আস্তে আস্তে গভীরে প্রবেশ
করতে হবে । অন্যের ইংলিশ বোঝার একমাত্র উপায় হল যখন কেউ
ইংলিশ বলবে তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সে কি বলতে চাই তা বোঝা বা উপলব্ধি করা । এ ক্ষেত্রে
অন্যের ভুল ধরা যাবেনা । অন্যের স্পোকেনে ভুল না ধরে তা বুঝে
অর্থাৎ সে কি বোঝাচ্ছে সেটা উপলব্ধি করে নিজের মত প্রকাশ করতে হবে । অনেকে নিজে
নিজে ঘরে ইংলিশ ভালো বলতে পারে, কিন্তু সবার সামনে বলতে পারেনা । এর জন্য সবার সাথে এবং বাইরে
যেখানে সেখানে ইংলিশ বলতে হবে । প্রথমে আমাদেরকে আমাদের দেশের মতো
করেই ইংলিশ বলতে হবে । প্রথমেই ব্রিটিশদের মত বলা সম্ভব নয় যদি না সে রকম পরিবেশ / গাইডলাইন পাওয়া যায় । বাড়িতে
ইংলিশে জোরে জোরে স্পিকিং করতে হবে । বাংলাদেশের
বেশিরভাগ ছাত্ররাই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে । বেশিরভাগ ছাত্রই ইংলিশ স্পিকিং এ কাঁচা । এর জন্য
বাংলা মাধ্যম দায়ী নয় । দায়ী হচ্ছে —
- নিজেদের দোষ ।
- সঠিক গাইডলাইন এর অভাব এবং
- পরিবেশ একটা ব্যাপার ।
ছাত্ররাই
স্পোকেন ইংলিশ শিখতে চাই না । কারণগুলো হলো —
- ইংরেজিকে ভয় পায় ।
- অনেকে পড়াকে ভয় পায় ।
- সিলেবাসে স্পোকেন ইংলিশ নাই তাই অযথা পড়া যাবে না ।
- তারা সঠিক স্পোকেন শেখারনির্দেশনা পায়না ।
- উপরের লেভেলে পরে শিখবো বলে ফেলে রাখে । অবহেলা করে ।
- ‘‘ইংরেজি পারবনা’’ এই ভয়ে সবসময় থাকে ।
ইংরেজির
নিয়মকানুন মেনে চললে পাঁচ-ছয় মাস বা এক বছর শিখলেই ইংরেজি শেখা অনেকটাই সম্ভব । আর তা না
মানলে সারা জীবনেও সম্ভব নয় । ভবিষ্যতে
ইংলিশ আরো প্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে । যারা ইংলিশ শিখবে না তারাই
পিছিয়ে থাকবে। তাই স্পোকেন ইংলিশটা এখনই শেখা উচিত । এখন থেকে
ইংলিশ স্পোকেন শুরু করব ,এই মনোভাব
নিয়ে এগোতে হবে । স্পোকেন
ইংলিশ – ভবিষ্যতে স্কুল পর্যায়ে বলা আবশ্যক হতে পারে । তাই এখন
থেকেই শুরু করা ভালো । প্রতিদিনই
কিছু সময় কয়েকঘণ্টা স্পোকেন ইংলিশ এর পিছনে ব্যয় করা উচিত । যারা
স্পোকেন ইংলিশ – জানে/ জানবে তাদের এক্সট্রা স্কিল আছে বলে বিবেচিত হবে । প্রথমে স্পোকেন ইংলিশ চর্চার
মাধ্যমে শেখার পর টানা তিন মাস সারাদিন ধরে কথা বলা চর্চা করতে হবে ।
*** আপনি নিশ্চয়ই এই আইডিয়া গুলোর কোনো কোনোটি না মানার কারণে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন না
। তাই ইংরেজিতে কথা বলতে চাইলে অবশ্যই প্রতিটি সিক্রেট আইডিয়া-মনে রেখে
আপনার জীবনে প্রয়োগ
করতে হবে । তবেই আপনি সফলতা পেতে পারেন । যারা স্পোকেন ইংলিশ পারে তারাও
বোধ করি এসব সিক্রেট আইডিয়াগুলো অস্বীকার করবে না । মনে রাখবেন আর্টিকেলটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ
মনে না হলেও আইডিয়াগুলো ইংরেজি বা স্পোকেন ইংরেজি শিখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । কেননা স্পোকেন
ইংলিশ শেখার আগের বা বলতে শুরু করার আগের গোপন রহস্য এই গোপন আইডিয়াগুলোই । ***
আশা করি ‘‘ইংরেজি শেখার সহজ উপায় - কিভাবে ইংরেজিতে পারদর্শী হবো’’ পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ইংরেজি স্পোকেন ও শিক্ষা বিষয়ে ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url