অর্থাৎ এই বছর জন্মাষ্টমী পালন হবে ১১ ই ভাদ্র ১৪৩১ বাংলা রোজ- সোমবার। ১১ ই ভাদ্র সোমবার ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রাত্রী ১২..০০ টা থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত ১২.৪৮ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমীর পূজার সময় কাল ধরা হয়। অর্থাৎ এখানে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমী পূজার হয়। জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণ জন্মাস্টমী মূলত পূজা এবং উপবাস থাকার মাধ্যমে হিন্দুধর্মের মানুষেরা এটি পালন করে থাকেন।
শুভ জন্মাষ্টমী 2024 সময়সূচী বাংলা পঞ্জিকা
প্রিয় পাঠকবৃন্ধ আপনারা অনেকেই জন্মাষ্টমীর ‘Krishna Janmashtami’ বাংলা পঞ্জিকা পাওয়ার জন্য অনেকজনের কাছে হাত পাতা লাগে। কিন্তু এখন আর তা করতে হবে না, আপনাদের জন্য ২০২৪ সালের আপডেট বাংলা পঞ্জিকা নিয়ে এসেছি। নিম্নে তা উপস্থাপন করা হলোঃ
শুভ জন্মাষ্টমী 2024 উপবাসের সময়সূচী
জন্মাষ্টমীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে একটি হলো উপবাস থাকা আর এর সঠিক সময়সূচী আমাদের অবশ্যই জানা দরকার। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নিবো জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণের জন্মদিনের উপবাসের সময়সূচীর সঠিক তথ্যগুলো। জন্মাষ্টমী 2024 উপবাসের সময় সূচী হলো 26 আগস্ট সোমবার এবং 27 আগস্ট মঙ্গলবার। মূলত 06 সেপ্টেম্বর 3 টা বেজে 1 মিনিট হতে পূজা যোগ শুরু করতে হয়।
এই সময়কে পড়বে অষ্টমীতে রোহিনী নক্ষত্রের বৃশ রাশি বলা হয়। 26 আগস্ট 3.00 টা হইতেই কৃষ্ণ ভক্তরা উপবাস থাকবেন এবং 07 সেপ্টেম্বর ভোর রাত্রে থেকে বা সকাল বেলা স্নান করার পরে উপবাস ভাংবেন। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শুভ জন্মাষ্টমী 2024,2025 ও 2026 পূজা পদ্ধতি
জন্মাষ্টমী বা ‘Krishna Janmashtami’ পূজা পদ্ধতিতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সে সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত জেনে নেব। অষ্টমী পূজাতে বেশ নিয়ম বা পদ্ধতি রয়েছে তা হলোঃ জলশুদ্ধি, পুষ্পশুদ্ধি, ব্রত নিয়ম, ব্রতফল, শ্রীকৃষ্ণের পূজার জন্য পদ্ধতি বা মন্ত্রপাঠ সহ পূজা। জন্মাষ্টমী পূজা শুরু করার আগে গণেশের প্রনাম, গুরু প্রনাম, দুর্গা প্রনাম, নারায়নের দেবের প্রনাম এবং শিবের প্রনাম মন্ত্র পাঠ করে শুরু করতে হয়। আর এ জন্য বেশ কিছু মন্ত্র পাঠ করতে হয়।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্ত্র হচ্ছে সমর্পণ মন্ত্র, শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্র, শ্রীকৃষ্ণের পদক্ষেণ মন্ত্র এবং সর্বশেষ শ্রীকৃষ্ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। এছাড়াও আরো জন্মাষ্টমী পূজা পদ্ধতি হলোঃ পুষ্প, চন্দন, মাল্য, তুলসী, ধুপ এবং প্রদীপ দ্বারা শ্রীকৃষ্ণের পদতলে নিবেদন করা। জন্মাষ্টমীর পূজা িপদ্ধতি পালন করার মধ্যে ব্রত পালন করা একটি গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়। আর এভাবেই জন্মাস্টমী পূজা পদ্ধতি পালন করা হয়ে থাকে। তাহলে আশা করি, এখন আপনি জন্মাষ্টমী পূজা পদ্ধতি ২০২৪, ২০২৫ ও ২০২৬ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে গেছেন।
শুভ জন্মাষ্টমী আসন শুদ্ধি মন্ত্র
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা অনেকেই আসন শুদ্ধি মন্ত্র জানেন না। জন্মাষ্টমী বা‘Krishna Janmashtami’ পূজা করতে আসন শুদ্ধি মন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মন্ত্র ছাড়া পূজাই হবে না। তো চলুন জন্মাষ্টমীর আসন শুদ্ধি মন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিইঃ প্রথমে হাতে দু-এক ফোঁটা জল নিয়ে ‘ঔঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে পান করবেন। আসন শুদ্ধির জন্য ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র হলোঃ
জলশুদ্ধি
অঙ্কুশমুদ্রা দ্বারা কোশার জলে তীর্থ আবাহন করিয়া পাঠ করিবে-
ঔঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহম্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
পুষ্পশুদ্ধি
পুষ্পাঞ্জলি যথাসম্ভব স্পর্শ করিয়া পাঠ করিবে-- ঔঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্পসম্ভবে। পুষ্পচয়াবকীর্ণে চ হূং ফট্ স্বাহা।।
কর শুদ্ধি
‘ঔঁ’ মন্ত্র দ্বারা একটি রক্তবর্ণ পুষ্প গ্রহণ করিয়া ‘ঔঁ’ এই মন্ত্রে ঐ পুষ্প করদ্বয়ে পেষণ করতঃ ‘হ্সৌঁ’ মন্ত্রে ঐ পুষ্প ঈশানকোনদেশে প্রক্ষেপ করিবে।
শুভ জন্মাষ্টমীর আগের বছরগুলি
এখন আপনাদের সাথে জন্মাষ্টমীর আগের বছরগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
বছর | তারিখ | বার (দিন) | ছুটি |
2023 | 06 সেপ্টেম্বর | বুধবার | শুভ জন্মাষ্টমী (শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন) |
2022 | 19 আগস্ট | শুক্রবার | শুভ জন্মাষ্টমী (শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন) |
🙏🙏 শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী 🙏🙏
🙏বসুদেবসুতং দেবং কংস চাণুর মর্দনম।
দেবকী পরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগৎগুরুম |
🙏সবাইকে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা🙏
🙏🙏জন্মাষ্টমী। কৃষ্ণের জন্মোৎসব। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা অষ্টমীতে মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ৷ সেই পূণ্য তিথির স্মরণে দেশজুড়ে পালিত হয় জন্মাষ্টমী৷ শুধু মথুরা নয়, শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন এবং দ্বারকাতেও জন্মাষ্টমী পালিত হয় ধুমধাম করে৷ সেই সঙ্গে বাংলার ঘরে ঘরে চলে বালগোপালের পুজো। এবছর জন্মাষ্টমী তিথির বিস্তার ২ দিন ধরে। তাই ভক্তদের মনে সংশয় কবে তাঁরা রাখবেন জন্মাষ্টমীর উপোস । পঞ্জিকা অনুসারে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর পড়েছে জন্মাষ্টমী তিথি।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টা ৩৭ মিনিটে। অষ্টমী তিথি শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪.১৪ য়তে।
পুরাণ অনুসারে, রাত্রি বারোটায় রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই বিশ্বাস অনুসারে, ৬ সেপ্টেম্বর গৃহস্থরা জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করতে পারেন। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুসারে তাঁরা শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালন করছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ।
যেহেতু জন্মাষ্টমীর পুজো রাতে হয়, তাই ৬ সেপ্টেম্বর তারিখটিই অনেকে বেছে নিচ্ছেন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালনের জন্য। জন্মাষ্টমী পুজোর শুভ ক্ষণের কথা যদি বলেন, তবে তা মাঝরাত ১২টা ২ মিনিটে শুরু হবে। চলবে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
🙏রোহিণী নক্ষত্রের সূচনা- ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৯:২০ সকাল। রোহিণী নক্ষত্র শেষ হয় - ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , সকাল ১০.২৫ মিনিট।।
জন্মাষ্টমীর শুভ মুহূর্ত :
শ্রী কৃষ্ণ পূজার সময় - মধ্যরাত ১২.০২ - মধ্যরাত ১২.৪৮ (৭ সেপ্টেম্বর 2022)
পূজার সময়কাল - ৪৬ মিনিট
উপবাসের সময় - ৭ সেপ্টেম্বর ৬.০৯ পর্যন্ত
🙏🙏কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ব্রতের তাৎপর্যঃ
পৃথিবীতে কংসের ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের অবসান এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এইদিনটিই জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত। কৃষ্ণকে শ্রী হরি বিষ্ণুর সবচেয়ে অপরূপ অবতার বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে , জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের পুজো করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না এবং পরকালে স্বর্গে স্থান হয়। শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় জগতের সকল সুখ লাভ হয়। সন্তানের মঙ্গলের জন্য এই দিনে কৃষ্ণ পুজো করেন অনেকে। বিশ্বাস করা হয়, যাঁরা জন্মাষ্টমীতে বালগোপালকে মাখন, মিছরি, নিবেদন করতে পারেন।
🙏 গত ০৬/০৯/২০২৩ ইং বুধবার ১৯শে ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯ তম শুভ আর্বিভাব তিথি জন্মাষ্টমী।দুপুর ৩টে ৩৮ মিনিটে অষ্টমী তিথির সূচনা হবে। শেষ হবে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে। কৃষ্ণ মাঝরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মাষ্টমীর পুজোও মাঝরাতে হয়। জন্মাষ্টমী পুজোর শুভ সময় মাঝরাত ১২টা ২ মিনিট থেকে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, এমন তিথির কারণে স্মার্ত ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের জাতকরা পৃথক পৃথক দিনে জন্মাষ্টমী পালন করবেন। গৃহস্থ অর্থাৎ স্মার্ত সম্প্রদায়ভুক্তর জন্মাষ্টমী পালন করবেন ৬ সেপ্টেম্বর। এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই উৎসব ৭ সেপ্টেম্বর পালন করবেন। পারণ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা ৯ মিনিটের পর।
🙏পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী মহোৎসব""
মধ্য রাত্রি পর্যন্ত নির্জলা উপবাস ব্রত। রাত ১২ টার পর অভিষেক করে অনুকল্প প্রসাদ। পরদিন সকালে সূর্যোদয়ের পর পারণ। সারা বিশ্বের সকল স্থানে একই দিনে জন্মাষ্টমী মহোৎসব পালিত হবে।
🙏🙏কিভাবে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন?
🙏 জন্মাষ্টমীর আগের দিন থেকে নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হয়। সংযম অর্থাৎঃ ইন্দ্রিয়কে ভোগ্যবস্তু অবাঞ্চিত আশা-প্রত্যাশা,কামনা-বাসনা থেকে দূরে রাখা। মৈথুন, আমিষ আহার, প্রজল্প, পরচর্যা-পরনিন্দা পরিত্যাগ করতে হবে। সেই জন্য আমাদের সব সময় শ্রীহরি কে স্মরণ করতে হবে। শ্রীকৃষ্ণের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নিতে হবে যেন নির্জলা ব্রত সুসম্পন্ন ভাবে উদযাপন করতে পারি।
🙏জন্মাষ্টমীর দিন প্রাতঃকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে তিলক আদি বস্ত্র পরিধান করে আচমন করতে হবে। তাঁর পর ভগবানের শ্রীচরণে পুষ্প নিবেদন করে সংকল্প মন্ত্র উচ্চারণ করে সংকল্প করতে হবে।
🙏সঙ্কল্প মন্ত্রঃ-
অদ্য স্থিত্বা নিরাহারঃ শ্বোভূতে পরমেশ্বর।
ভোক্ষ্যামি দেবকীপুত্র অস্মিন্ জন্মাষ্টমীব্রতে ॥
অদ্য স্থিত্বা নিরাহারঃ সৰ্ব্বভোগবিবর্জ্জিতঃ।
ভ্যোক্ষে অহং পুণ্ডরীকাক্ষ শরণং মৈ ভবাচ্যুত ॥
অনুবাদঃ- হে পরমেশ্বর! হে দেবকীনন্দন! আমি অদ্য (আজ) জন্মাষ্টমীব্রত উপবাসী থাকিয়া পরদিন আহার করিব। হে পুণ্ডরীকাক্ষ! অদ্য সর্বভোগ বর্জনপূর্বক উপবাসী থাকিয়া কল্য (কাল) আহার করিব। হে অচ্যুত! আপনি মদীয় শরণস্থান হোন।
যে সকল ভক্তদের গৃহমন্দির নেই উনারা মানসিকভাবে পুষ্প নিবেদন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে সংকল্প করবেন।
🙏 সারা দিন উপবাস থেকে অধিক সংখ্যা হরিনাম জপ করতে হবে ও ভাগবত শ্রবণ-কীর্তন এবং নীলা পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণের লীলা স্মরণ, করতে হবে। শ্রীকৃষ্ণের শ্রীকৃষ্ণের অষ্টশত নাম, পাঠ গীতা ভগবানের শ্রীবিগ্ৰহ দর্শন, ভক্ত সঙ্গে হরিনাম সংকীর্তন, করবেন ও ইত্যাদি। রাত বারোটার পর মন্দিরে অথবা গৃহমন্দিরে পঞ্চমৃত পুষ্প মাল্য দিয়ে অভিষেক করতে হবে তাঁর পর ভোগ নিবেদন করতে হবে।
🙏যাঁদের উপবাস পালনে সমস্যা, অসুস্থ, তাঁরা দুপুর ১২ টার পরে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, একাদশী দিনের মত অনুকল্প প্রসাদ নিতে পারেন। একটু দুধ, বা ফল খেতে পারবেন। তবে এই ব্রত একাদশীর মতোই সকল প্রকার অন্ন পঞ্চ রবি-শস্য বর্জনীয়।
🙏পরদিন সূর্যোদয়ের পর একাদশীব্রতের মতো করে ব্রত পারণ সম্পন্ন করতে হবে।
🙏পারন মন্ত্রঃ-
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতে নানেব কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞান দৃষ্টি প্রদো ভব ॥
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥
🙏জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে কি ফল হবে?
মহাপাতকসংযুক্তঃ করোতি ব্রতমুত্তমম।
সর্বপাপবিনির্মুক্তশ্চান্তে
শেষ কথাঃ শুভ জন্মাষ্টমী 2024, 2025 ও 2026 এবং আসন শুদ্ধি মন্ত্র
শুভ জন্মষ্টমীর সময় অনেকে নাটকীয় নৃত্যে যোগ দেন বা অংশগ্রহণ করেন। যেগুলো কৃষ্ণের জীবনের ঘটনার উপর পুনঃনির্মাণ করা। আর এই জন্মষ্টমী কে গোপাল পূজার অংশ হিসাবেও ধরা হয়। ঢাকা শহরের ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বিশেষ শোভাযাত্র বের হয় এবং শহরের পূরনো অংশের মধ্য দিয়ে বের হয়। এই শোভাযাত্রা ১৯০২ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সংঘটিত হতো, কিন্তু সমাপ্তি ঘটে যখন বাংলাদেশ প্রথম মুসলিম শাসনের অধীনে আসে। যদিও এটি ১৯৮৯ সালে আবার শুরু হয়েছিল।
জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানটি হিন্দুধর্মের একটি তাৎপর্যপূর্ন অনুষ্ঠান। জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মের মানুষরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে আশির্বাদ চান। হিন্দুধর্মে বলা হয়ে থাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বশ্রেষ্ট। শুভ জন্মাষ্টমী ২০২৪, ২০২৫ ও ২০২৬ এবং জন্মাষ্টমীর প্রয়োজনীয় মন্ত্র উপরের দিকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সঠিক তথ্যটি পেয়েছেন।
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url