জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আপানদের সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সেটি হলো- জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আলোচনা করবো। জিরা পানি স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। 


আপনি যদি ‘‘জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে’’ এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তবে এ পোস্টটি আপনার জন্য। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।   

জিরা পানির উপকারিতা

জিরা পানি খাওয়া স্বাস্থের জন্য যেমন ভালো তেমনি অন্যদিক দিয়ে ক্ষতিও আছে। অনেক বছর আগ থেকে মানুষ জিরার বিভিন্ন ব্যবহার করে আসছে। জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ,ফাইবার এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত জিরা খেলে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ যে সমস্যা ভোগ করছে সেটা হল গ্যাস্টিকের সমস্যা ছোট থেকে বড় সবারই এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে ,অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার পরও এই গ্যাস্ট্রিক কমতে চায় না। সে ক্ষেত্রে আপনারা নিয়ম করে যদি জিরা খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্টিক সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। জিরা এতে যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ।তা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা অথবা জ্বর কমাতে অনেক বেশি উপযোগী কারণ এই উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমরা বিভিন্ন রকম খাবার ও পানীয় সম্পর্কে জানতে পারি, যেগুলো শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে, আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে সব খাবার সঠিকভাবে কাজ না করলেও একটি পানীয় কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী, সেটি হলো জিরা পানি। আজকের ফিচারে আমরা জিরা পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জিরের জল খাওয়া উচিৎ কারণ এটি এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে যা কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ এবং চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে । এছাড়াও এটি আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অন্যান্য বদহজম সমস্যার মধ্যে ডায়রিয়া, বমিভাব এবং গ্যাস ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

জাদুকরী পানীয় জিরা পানি

প্রতিদিনের রান্নায় কম-বেশি সবাই জিরা ব্যবহার করে থাকেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই জিরা আমাদের এই উপমহাদেশের রান্নাঘরে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই বিস্ময়কর মসলার উপকারিতা পাওয়ার সহজতম উপায় হলো জিরা পানি পান করা।  এই জিরা পানির উপকারিতার তালিকা কিন্তু বেশ বড়। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলিতে এই পানীয় সম্পর্কে নথিভুক্ত আছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা যাচাই করা হয়েছে।

কীভাবে জিরা পানি তৈরি করে?

জিরা পানি তৈরি করা কিন্তু বেশ সহজ। আপনাকে সারা রাতভর এক মুঠো জিরা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখার ফলে জিরার বীজগুলো ফুলে উঠে এবং পানিতে বায়ো অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড তৈরি করে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে পান করলে, অল্প সময়ের ভেতরেই স্বাস্থ্যের ইতিবাচক উন্নতি নজরে আসে।

জিরা পানি আমরা বিভিন্ন নিয়মে তৈরি করতে পারি। এইটা বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে তৈরি করে খায় বা পান করে। আপনারা আপনাদের রুচি মতো বানিয়ে খেতে পারেন। জিরা পানি তৈরির দুটি নিয়ম জেনে নিন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চামচ আস্ত জিরা ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে পান করুন। আপনাদের ইচ্ছা করলে গোটা জিরা গুলো উঠিয়ে ফেলেও খেতে পারেন, উপকার বেশি হয়।
তিন পোয়া পানি, জিরার গোড়া আড়াই চামচ, লেবুর রস তিন থেকে চার চামচ, আখের গুড় আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী পরিমাণ মতো নিবেন, বিট লবণ হাফ চা চামচ, শুধু লবণ হাফ চা চামচ, এই সকল উপকরণ পানির মধ্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এরপর আধা ঘন্টা অথবা ১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে তৈরি হয়ে গেল জিরা পানি। টক মিষ্টি এবং লবণ আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারেন এভাবে জিরা পানি তৈরি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
জিরা পানির উপকারিতা জানুনঃ
জিরা পানি কেন ডিটক্স (detox drink) পানীয় হিসেবে সেরা, আসুন কারণগুলো জেনে নেই।

১) কম ক্যালরি
এক চা চামচ জিরার বীজে মাত্র সাত ক্যালরি থাকে! যা অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় খুবই কম। তাই কম ক্যালরির এই পানীয় পান করলে ওজন বাড়ার কোনো চিন্তাই নেই।

২) অ্যান্টি অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ
জিরার বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি শরীরের অভ্যন্তরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে। জিরা পানি নিয়মিত পান করলে তা আপনার দেহের সিস্টেম থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে নির্মূল করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।

৩) হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়
নিয়মিত জিরা পানি পান করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। জিরার বীজে থাইমল নামক একটি নির্দিষ্ট যৌগ রয়েছে, যা গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এটি প্রোটিন, ফ্যাট ও চিনির মতো জটিল নিউট্রিয়েন্ট ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমনঃ বদহজম, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব দূর করে।

৪) মেটাবলিজম ও ফ্যাট বার্ন বাড়ায়
জিরা পানি শরীরের মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। তাই পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে এই ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। তবে শুধু ডিটক্স ওয়াটার পান করলেই হবে না, সেই সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি জিরা পানি পান করলে মেটাবলিজমের হার বেড়ে যায়, যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
জিরার বীজে বায়ো অ্যাকটিভ যৌগের উপস্থিতির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ফাইবারের একটি ভালো উৎস হলো জিরা। জিরা পানি পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বাধা দেয়। এছাড়াও এটি পাচনতন্ত্র ও মলত্যাগের সিস্টেমে সংক্রমণ বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

৬) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
জিরা পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রোপার্টিজ, যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি মেটাস্ট্যাসিস প্রতিরোধ করে, যাতে করে শরীরের অন্যান্য অংশে ক্যান্সার ছড়ায় না।

৭) জিরা পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
জিরা পানি রক্তে শর্করার মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৮) শরীরকে হাইড্রেট করে
জিরা পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে।

৯) অ্যাসিডিটি উপশম করে
জিরা পানির উপকারিতা হিসেবে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। এই পানীয় অ্যাসিডিটি কমাতে ও প্রতিরোধে কার্যকরী। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন জিরা পানি পান করলে অবস্থার উন্নতি দেখতে পাবেন আশা করি।

১০) রক্তশূন্যতা কমানোতে সহায়ক
জিরার বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রনের প্রয়োজন। পানি পান করলে তা রক্তস্বল্পতার উপসর্গ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহণের জন্য আরো প্রয়োজনীয়।
১১) হার্টের জন্য ভালো
জিরার পানি আমাদের শরীরে রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

১২) ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে
সুন্দর ত্বক পেতে কে না চান? ত্বকের ধরন যেটাই হোক, জিরা পানির উপকারিতা কিন্তু সব ত্বকেই পাওয়া যায়। জিরার পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টিজ রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নিয়মিত জিরা পানি পান করা ভালো। এটি ব্রণ প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

১৩) চুল ঘন করতে সাহায্য করে
জিরার পানি আমাদের চুলের জন্যও ভালো। এটি আমাদের চুলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এর পাশাপাশি এটি খুশকি এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে।

১৪) মাসিক চক্র নিয়মিত করতে সাহায্য করে
অনিয়মিত মাসিক চক্র নারীদের একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ধরনের সমস্যার জন্য জিরা পানি পান করা বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এটি জরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্দীপিত করে, যা পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। জিরা পানি পান করলে মাসিকের ক্র্যাম্প উপশম হয়।

১৫) প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে
জিরা আয়রনে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর। এটি দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং নিশ্চিত করে যে শিশুটি সমস্ত সঠিক পুষ্টি পায়।

জিরা পানি পান করার সেরা সময়

ঘুম থেকে উঠার পর দিনের শুরুতে জিরা পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে জিরা পানি পানের উপকারিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে হজমে সহায়তা করা, ফোলাভাব কমানো এবং ওজন কমানো। এই পানীয়টি সারাদিনের যেকোনো সময় পান করা যেতে পারে, তবে দিনের প্রথম দিকে পান করা হলে এটির সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়।

জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে

জিরা পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। আপনারা অনেকে ভেবে পান না, যে কিভাবে আপনাদের ওজন কমাবেন। আপনারা খুব সহজে জিরা পানি খেয়ে ওজন কমাতে পারেন। জিরাতে যে ফাইবার রয়েছে, নিয়মিত জিরা পানি খেলে খুব সহজে ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। যেভাবে জিরা পানি খেলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে ১ চামচ আস্ত জিরা আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধাঘন্টা পর এর সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে অথবা খেতে হবে। এভাবে খেলে আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

জিরা গুড়া খাওয়ার নিয়ম

প্রথমে জিরা গুড়া তৈরি করে নিতে হবে, জিরা গুড়া তৈরির নিয়ম। ১০০ গ্রাম জিরা অথবা আপনারা আপনাদের পরিমাণ মতো জিরা নিতে পারেন। জিরা গুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে গুড়া করতে হবে,যেন দানা দানা না থাকে। অথবা শীল পাটায় বেটে ও গুড়া করে নিতে পারেন। এরপর জিরার গুড়াগুলো যেকোনো এয়ারটাইট কোটাতে রেখে সংরক্ষণ করলে পারেন। কোটাতে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত জিরা গুড়া ভালো থাকে ও অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন।
জিরা গুড়া খাওয়ার নিয়ম, দেড় গ্লাস পানির, মধ্যে দেড় চামচ জিরা গুড়া,ভালোভাবে মিশিয়ে তিন মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবং ভালোভাবে ফুটে গেলে ছেঁকে নিন, হালকা কুসুম গরম হয়ে এলে এর সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ৪ চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে,যাদের জিরাতে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। তারা সাড়ে ১১ টার দিকে পান করুন। যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই তারা সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন সকালে খালি পেটে পান করলে বেশি উপকার হয়।

রাতে জিরা খেলে কি হয়

গবেষকরা জানিয়েছেন জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জিরাতে রয়েছে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ফাইভবার ইত্যাদি। জিরার এই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরে হজম ক্ষমতা সঠিক মাত্রায় রেখে রাতে ভালোভাবে ঘুম হতে সাহায্য করে। জিরাতে যে ভিটামিন সি রয়েছে, তা আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকাকে ঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যেভাবে জিরা পানি খাবেন। 

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে হাফ চামচ জিরা গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর জিরা পানি পান করতে হবে। এভাবে পান করলে রাতে ঘুম ভালো হবে,এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে, যাদের রাতে ঘুম হয় না এবং পেট ফুলে থাকে হজম হতে চাই না তারা প্রতিদিন নিয়মিত এভাবে জিরা পানি পান করলে আপনারা এ সকল সমস্যা থেকে অনায়াসে মুক্তি পেয়ে যাবেন। কিন্তু ধৈর্য ধরে কিছুদিন জিরা পানিটা পান করতে হবে।

জিরা পানির অপকারিতা

জিরাতে যেমন ,উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যে কোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই গবেষকরা বলেছেন অতিরিক্ত জিরা খেলে মানুষের শরীলের রক্তকে তরল করতে পারে। অনেক ডায়াবেটিস রোগী জিরা খেয়ে থাকে কিন্তু জিরা পরিমাপ মত না খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। কারণ কেউ যদি অতিরিক্ত জিরা খায় তাহলে তার শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। এবং শর্করা কমে যাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যাবে। জিরার তেল অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তা প্রদাহ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যেকোনো জিনিসে যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন অপকারিতা রয়েছে তাই যে কোন জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না। 

প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে

আমি প্রতিদিন কত জিরা জল পান করতে পারি? বেশিরভাগ মানুষের জন্য, সকালে এক গ্লাস জিরা জল ( প্রায় ২৫০ মিলি ) খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। যাইহোক, আপনি এটি অতিরিক্ত না করে এটি করতে পারেন। অত্যধিক জিরা জল পান করলে পেটে অস্বস্তি বা অতিরিক্ত তৃষ্ণার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

জিরা পানিতে ভিজিয়ে খেলে কি উপকার হয়?
জিরা ভেজানো পানি পান করলে ত্বকের যে ৫ উপকার হয়
বাঙালি রান্নায় সামান্য জিরার ফোড়ন কিংবা রান্না শেষে ভাজা জিরা গুঁড়ার একটুখানি ছড়িয়ে নামিয়ে নেওয়ার দৃশ্য বেশ পরিচিত। এর স্বাদও অনন্য। 
১. ব্রণ দূর করবে
২. ত্বক পরিষ্কার করে 
৩. ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে 
৪. বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না 
৫. চুল ভালো রাখে
জিরা পানি খেলে কি রক্তচাপ বাড়ে?
জিরার পানি আমাদের শরীরে রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন ব্যাধি থেকে রক্ষা করে।

জিরা খেলে কি মেটাবলিজম বাড়ে?
জিরা আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে , কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে এবং আপনার রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করতে পারে। অধ্যয়ন নিশ্চিত করে যে জিরা খাওয়া কিছু লোককে সাহায্য করে যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন।

জিরা চা খাওয়া কি ভালো?
জিরা চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমায়। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে রক্ষা করে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায়।

দিনে ২ বার জিরা পানি খাওয়া যাবে কি?
আপনি যদি স্বাদের জন্য উপযুক্ত হন তবে একাধিক পানীয় খাওয়া আপনার খুব বেশি ক্ষতি করবে না। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য, দিনে ৩-৪ বার জিরা জল পান করুন - সকালে যখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন (একটি ডিটক্সিফাইং পানীয় হিসাবে), ভারী খাবার যেমন দুপুরের খাবারের আগে (তৃপ্তি আনতে) এবং রাতের খাবারের পরে (হজমে সহায়তা করতে) 

শেষ কথাঃ জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘জিরা পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু জিরা খাওয়া যাবে’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url