টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা এ সম্পর্কে বিস্তারিত। অনেক মানুষ আছে যারা টক দই পছন্দ করে না। কিন্তু তারা জানে না যে, টক দই কতটা উপকারী স্বাস্থের জন্য। টক দই এর অনেক উপকার রয়েছে। টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা এ পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।        


এই আর্টিকেলে টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা, টক দই দিয়ে ফর্সা,টক দই এর ফেস প্যাক ,লেবু দিয়ে টক দই রেসিপি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।  

টক দই কি জিনিস ? 

টক দই কী? টক দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাকটোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের উপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ এবং এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে। মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে।

টক দই দিয়ে ফর্সা

টক দই যে আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারিতা আমরা বলে শেষ করতে পারবো না। অতিরিক্ত গরমের কারণে বাইরে থাকার ফলে আমাদের ত্বকে ময়লা জমে যায়। এর ফলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। আর এই ক্ষেত্রে আপনারা বাইরে থেকে এসে ত্বকে নরমাল ফ্রিজে রাখা টক দই ব্যবহার করতে পারেন।এতে আপনাদের ত্বক ভালো থাকবে এবং ত্বক ভিতর থেকে ক্লিক হবে। প্রতিটা মানুষের প্রয়োজন তার ত্বককে ভালো রাখা সারাদিন কাজের শেষে কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় নিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা প্রয়োজন। কারণ সবাই চাই তার ত্বক যেন সুন্দর থাকে।
তাই সারাদিন কাজের ব্যস্ততার ফলে সময় যদি নাও মিলে তাও রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে ত্বকের পরিচর্যা করা প্রয়োজন। তাই আপনারা সারাদিন ত্বকের যতœ না করতে পারলেও রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ত্বকে টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাব্নে। এতে আপনারা সারাদিন মুখের যতœ না নিতে পারলেও ত্বকের ক্ষতি হবে না। আর তাই আজ আমি আপনাদের টক দই দিয়ে কিভাবে ত্বককে ফর্সা করতে পারবেন সেই বিষয়ে সুন্দরভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আপনারা টক দই দিয়ে ত্বককে ফর্সা করার উপায় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

টক দই দিয়ে প্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নিন

(১)প্যাক তৈরিঃ একটি পরিস্কার পাত্রে দুই চামচ টক দই, এক চামচ মধু, এক চামচ বেসন এবং এক চামচ এলোভেরা জেল একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি দশ মিনিটের জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন, ১০ মিনিট পর নর্মাল ফ্রিজ থেকে বের করে। দুই থেকে তিন মিনিট পর সমস্ত ত্বকে ভালোভাবে আলতো হাতে মাসাজ করে ব্যবহার করুন।এরপর মিশ্রণটি তিরিশ মিনিটের মত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করবেন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনাদের ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হচ্ছে তার পাশাপাশি ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার ও ত্বক নরম ও সফট হয়।

(২)প্যাক তৈরিঃ অতিরিক্ত গরম পরলে আপনারা বাহির থেকে এসে ১০ মিনিট রেস্ট নিবেন। ১০ মিনিট পর ২ চামচ টক দই একটি বাটিতে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিবেন। ভালোভাবে ফেটানো হয়ে গেলে। সমস্ত ত্বকে ভালোভাবে এপ্লাই করবেন এবং তিরিশ মিনিটের জন্য এটি ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ।৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আপনারা বাইরে থেকে এসে শুধু এভাবে টক দই ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে বাইরে বের হলে আপনাদের ত্বকের ওপর রৌদ্রের রশ্মি পরার জন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়, এক্ষেত্রে যদি আপনারা এভাবে শুধু টক দই ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ত্বকে রোদ লাগলেও ত্বক কালো হবে না।

(৩)প্যাক তৈরিঃ একটি ছোট বাটিতে দুই চামচ টক দই, দুই চামচ বেলের পাতার রস, এক চামচ আতপ চালের গুড়া এবং হাফ চামচ অলিভ অয়েল তেল এক সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ৫ মিনিট পর প্যাকটি সমস্ত ত্বকে ভালোভাবে অ্যাপ্লাই করে ২৫ মিনিটের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, ২৫ মিনিট পর ত্বক হালকা হাতে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন, এভাবে ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বক অনেক ফর্সা হবে এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা ত্বকের যেটা দেখা যায় সেটা হল ব্রনের সমস্যা সেটা কমিয়ে দিবে ইনশাল্লাহ। আপনারা সপ্তাহে নিয়ম করে তিন দিন ব্যবহার করবেন দেখবেন অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। এটা কয়েক মাস ধৈর্য ধরে ব্যবহার করে দেখুন ভালো ফলাফল পাবেন। নিজে পরীক্ষিত।

টক দই এর উপকারিতা

সারা বিশ্বব্যাপী টক দইয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। রন্ধন শিল্পে টক দই ছাড়া অনেক সুস্বাদু পদই অসম্পন্ন প্রায়। বিদেশে তো রীতিমতো টক দইকে প্রতিদিনের ডেজার্ট হিসেবে খাওয়া হয়। কিন্তু, কেবল কি স্বাদের জন্যই টক দইয়ের এমন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা? উত্তর হলো- না। টক দই আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে, অনেক বাঙালি না জেনেও প্রতিদিনের রান্নায় টক দই ব্যবহার করেন। যেমন- রোস্ট, বিরিয়ানি, কারি, দই বড়া, ইত্যাদি রান্নায় টক দই আমরা হরহামেশাই ব্যবহার করি। কিন্তু, এই টকদই সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকেই জানি না। তো, ডেইলি লাইভের আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব— টক দই কী, টক দইয়ের প্রস্তুত প্রণালি, টক দইয়ের ব্যবহার, টক দইয়ের পুষ্টি উপাদান এবং টক দইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন শুরু করা যাক।

রোজকার পাতে দই থাকে অনেকেরই। অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা বিকল্প হিসাবে টক দই খান। টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকার ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। টক দই শরীরে ক্ষতিকর বর্জ্য জমতে দেয় না। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম শক্তিও উন্নত করে। টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে টক দই যেমন উপকারী তেমনই এটি খাওয়ার সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তাতে শরীরের উপর অযথা বাড়তি চাপ পড়বে না।
      
আপনারা সকলেই টক দই কমবেশি খেয়ে থাকেন । কিন্তু এর উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে অতটা জানা থাকে না। আপনারা প্রতিদিন ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করতে দুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না যে, দুধের চেয়ে টক দইয়ে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। আপনারা অনেকে জানেন যে টক দইয়ের মধ্যে উপকারি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তাছাড়াও রয়েছে মিনারেল, ফসফরাস ,প্রোটিন,ভিটামিন আরো অনেক উপকারী উপাদান। তাই যদি আপনারা টক দই প্রতিদিন নিয়ম মত খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকারিতা লাভ করবে।
অনেক মানুষ আছে যারা দুধ খেতে পারে না, দুধ খেলে হজম হতে চায় না এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। তারা দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত টক দই খেতে পারেন এতে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে টক দই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। যে টক দই আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তাই এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।

টক দইয়ের উপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ আপনারা যদি নিয়মিত টক দই খেতে চান তাহলে অবশ্যই বাড়িতে বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে উপকার বেশি পাবেন।

  • অনেকের পেটের সমস্যার কারনে কোন কিছু খেলেই হজম হয়না। তারা টক দই এবং চিরা একসঙ্গে মাখিয়ে খেতে পারেন। টক দই থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেই। এছাড়াও অনেক গবেষণায় জানা যায় টক দই খেলে আলসার হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • আপনাদের শরীরে টক্সিন (বিষ) জমতে বাধা দেয় টক দই। এর ফলে আপনাদের অকালবার্ধক্য রোদ করতে সাহায্য করে। তাই নিজের ফিটনেস এবং সুন্দর্য অনেকদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে নিয়মিত টক দই খেয়ে দেখতে পারেন।
  • টক দই আপনাদের রক্তের শ্বেতকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এমনটাই গবেষণা থেকে জানা যায়। আর শ্বেতকণিকা রোগের প্রতিরোধ করতে টক দইয়ের উপকারিতা অনেক বেশি। তাই বলাই যায় যে নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • এখনকার সময়ে সবাই শরীরকে ফিট এবং সুন্দর রাখতে চাই। আর আপনাদে ওজন থাকার কারণে শরীরের এবং ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে আপনাদের ওজন কমানো জরুরী হয়ে পড়ে। আর ওজন কমাতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। কারণ টক দই খেলে আপনাদের মনে হবে পেট সবসময় ভর্তি আছে। আর পেট ভর্তি থাকলে ক্ষুধা ও কম লাগে ফলে খাবার চাহিদা কমে যায়। তাই খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিজেদের খাদ্য তালিকায় টক দই যোগ করতে পারেন।
  • আপনাদের মধ্যে অনেকের মুখে আলসার অথবা ঘা আছে, তারা সারা দিনে দুই থেকে তিন বার করে টক দই সেই ঘায়ের ওপর লাগিয়ে রাখবেন। তাছাড়াও আপনারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর টক দই এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এভাবে খেলেও মুখের ঘা দূর হবে বলে জানা গেছে।
  • যারা সব সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। শরীল অনেক ক্লান্ত থাকে, তারা নিয়মিত টক দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন গবেষকরা দেখেছেন, যে টক দইয়ে থাকা এমন কিছু উপাদান যা আপনাদের বিষন্নতা এবং মানসিক চাপ কমাতে ও মেজার ভালো হতে সাহায্য করে।
  • টক দই এর মধ্যে যে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে তা আমাদের দাঁত এবং হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।আরথ্রাইটিসের আমাদের হারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক ভালো ভূমিকা পালন করে।
  • আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের চর্মরোগ রয়েছে। আর চর্মলোক প্রতিরোধে একটি ভালো উপাদান হলো টক দই। আর টক দইয়ের থাকা প্রাকৃতিক ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনাদের ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আপনাদের ত্বকে বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ দেখা দেয় এ সকল রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
  • যাদের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তাদের জন্য টক দই একটি মহা ওষুধ। আর কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা বাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে পালসের সমস্যা হয়ে যাবে। তাই আপনারা প্রতিদিন খাবার তালিকায় টক দই রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আশা করি আপনাদের কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

টক দই এর ফেস প্যাক

আপনারা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে টক দই দিয়ে বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। টক দই এ থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। আর আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকে জানে না যে কিভাবে বাড়িতে টক দই দিয়ে বিভিন্ন রকমের প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করা যায়। তাই তাদের জন্য আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি প্যাক বানানোর নিয়ম জানাবো। এতে আপনাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, যেমন রোদে পড়া ত্বক, চোখের নিচের কালো দাগ, ত্বক ফর্সা হওয়া, ব্রণের সমস্যা,ত্বকের তেল দূর করা এবং ত্বক কোমল রাখে।
ফেস প্যাক তৈরির নিয়মঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে তিন চামচ টক দই, হাফ চামচ হলুদ, হাফ চামচ জাফরান, এক চামচ এলোভেরা জেল, হাফ চামচ অলিভ অয়েলএবং এক চামচ কনফ্লাওয়ার এই সকল উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাবেন যেন ক্রিমের মতো হয়ে যায়। এরপর প্যাকটি ১৫ মিনিটের জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন ১৫ মিনিট পর নরমাল ফ্রিজ থেকে বের করে হালকা ঠান্ডা করে নিন।

এরপর হাতে পায়ে গলায় এবং মুখে ভালোভাবে এপ্লাই করুন। এরপর দুই হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে আলতো হাতে ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না ত্বক শুকিয়ে টানটান ভাব না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। মোটামুটি ৩০ মিনিট রাখলেই এনাফ তিরিশ মিনিট পর ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো হাতে মাসাজ করে করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন দিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করে দেখবেন আপনার ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

লেবু দিয়ে টক দই রেসিপি  

আপনারা লেবু দিয়ে খুব সহজে বাড়িতে টক দই বানিয়ে খেতে পারেন। আর বাড়িতে বানানো টক দই স্বাস্থ্যকর হবে এটাই স্বাভাবিক। বাড়িতে আপনারা খুব সহজে কিভাবে টক দই বানাতে পারেন সেই সম্পর্কে আমি আজ আপনাদের সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করব। তাছাড়া টক দই সম্পর্কে অনেক তথ্য এই আর্টিকেলটির মধ্যে লিখা হয়েছে আপনারা যদি টক দই সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে অনেক কিছু সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন।

লেবু দিয়ে টক দই বানানোর রেসিপিঃ চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে তার মধ্যে এক কেজি গরুর দুধ নিয়ে নিবেন। এরপর দুধ টি দুই থেকে তিন মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন, ভালোভাবে ফোটানো হয়ে গেলে এবার পাতিলটি নামিয়ে রাখুন ঠান্ডা করার জন্য, একবারে ঠান্ডা করবেন না যখন দেখবেন দুধের মধ্যে একটি আঙ্গুল দিয়ে রাখতে পারছেন তেমন অতটা গরম নেই। সেই অবস্থায় হাফ কাপ লেবুর রসের সঙ্গে হাফ কাপ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই হালকা গরম দুধের মধ্যে হালকা হাতে মিশিয়ে নিবেন।

এরপর যেই পাত্রে দই বসাবেন সেই পাত্রে ঢেলে দিন। এরপর একটি টাওয়াল দিয়ে ভালোভাবে জড়িয়ে ১২ ঘন্টার জন্য একটি গরম স্থানে অথবা চুলার পাশে অথবা রৌদ্রে রেখে দিন। আর এভাবেও যদি দই না বসে তাহলে একটি পাত্রে গরম পানি করে তার মধ্যে সেই দুধের পাত্রটি একটি স্ট্যান্ড দিয়ে বসিয়ে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে হালকা আচে ৩০ মিনিট রেখে দিবেন।এরপর একটি কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন,যদি দই বসে যায় তাহলে নরমাল ফ্রিজে রেখে খেতে পারবেন। এভাবে দই বানালে খুব সহজে সুন্দরভাবে দই বসে যাই আমি এভাবেই দই বানিয়ে থাকি।

টক দই:
দই বা  Yogurt  দুধের তৈরি একটি খাবার, যেটি দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। এটি মূলত গোরু বা গৃহপালিত প্রাণীর দুধ থেকে তৈরি করা হয়। তবে মিষ্টি দই এবং টক দইয়ে পার্থক্য এতটুকুই যে, টক দইয়ে (Sour Curd) কোনো প্রকার চিনি ব্যবহার করা হয় না। টক দইকে অনেকে ‘খাট্টা দহি’ও বলে। যেকোনো দই সাধারনত ফার্মান্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। টক দই সারা বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। কেন না, টক দই একই সাথে স্বাদ ও পুষ্টিতে ভরপুর। জানা যায়, প্রায় ৪৫০০ বছর ধরে মানুষ দই তৈরি করছে। তবে, ঠিক কবে থেকে তা সঠিক জানা যায় নি। তবে, গল্প প্রচলিত আছে- যাযাবর জাতি নোমাডিকরাই ঘটিয়েছিল এর প্রচলন। তাও অবশ্য দুর্ঘটনাক্রমে। তারা প্রাণীর চামড়ায় তৈরি করা পাত্র বা থলেতে বহন করত দুধ। আর প্রাণীর চামড়াকে ব্যাক্টেরিয়ার জন্য আর্দশ স্থান বলা চলে। ফলে সেই ব্যাক্টরিয়ার সংস্পর্শে এসে ফার্মান্টেশন (Fermentation) বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় চামড়ার পাত্রে অবস্থান করা দুধ দইয়ে পরিণত হতো।

টক দইয়ের পুষ্টি উপাদান:

আগেই বলেছি টক দই পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এতে বিদ্যমান রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরনের ভালো ব্যাক্টেরিয়া। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ইত্যাদি), ফসফরাস, ইত্যাদি।

টক দইয়ের প্রস্তুত প্রণালি:
টক দই তৈরি করতে বেশি উপাদানের দরকার পড়ে না। কেবল গোরুর দুধ ও দই বীজ (পুরোনো দই) থাকলেই হবে। প্রথমে গোরুর দুধ যতটুকু নেবেন তা চুলায় জাল করে অর্ধেক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বারবার চামচ দিয়ে নাড়তে হবে, যা তলায় লেগে না যায়। এরপর দুধকে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। তবে, কুসুম বা হালকা গরম অবস্থা। কোনো মতেই একেবারে ঠাণ্ডা করা যাবে না। এরপর কুসুম গরম দুধে দই বীজ ঢেলে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে। এবার কম্বল বা ভারি কাপড় দিয়ে পাত্রটিকে পেচিয়ে সারা রাত রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে টক দই। চাইলে এভাবে তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এতে টক দইয়ের গঠন আরেকটু ঘন হবে।

টক দইয়ের ব্যবহার:
টক দইয়ের পুষ্টিগুণ ও স্বাদের জন্য এর নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। এটি সবার পরিচিত রোস্ট, বিরিয়ানি, শরবত, রেজালা রান্নায় তো ব্যবহৃত হয়ই। তাছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি ও দেশি রান্নায়ও এর ব্যবহার হয়। এটি ব্যবহারে যেকোনো খাবারই পায় আলাদা এক স্বাদ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চায় এর ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। আবার, চুলের সমস্যাতেও এর ব্যবহার করা হয়।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা জানলাম, টক দই কী, এটির রেসিপি, ব্যবহার ও পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো— টক দইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই—

টক দইয়ের উপকারিতা:  
বলা হয়ে থাকে, দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকে এই টক দইয়ে। যার দরুণ টক দই খেলে মেলে নানা উপকারিতা। যেমন—

১। হাঁড় মজবুত করতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। কেন না, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।

২। টক দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় এটি দাঁতও মজবুত করে। তাই, যারা দাঁতের সমস্যায় ভুগে তাদের ডাক্তাররা নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৩। এছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ টক দইয়ে বিদ্যমান রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। এসব ভালো ব্যাক্টেরিয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে।

৪। টক দইয়ে উপস্থিত থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে।

৫। নিয়মিত টক দই খেলে আমাদের শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমতে পারে না। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে এবং দ্রুত বার্ধক্য ধরা দেয় না।

৬। যেহেতু টক দইয়ে ল্যাকটিক আসিড বিদ্যমান, তাই টক দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও এটি খাবার হজমেও সহায়তা করে।

৭। ওজন কমাতে টক দই বেশ কার্যকর। কারণ এটিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আমিষ দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। টক দই কেবল ওজন কমায় তা নয়। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের জন্যও বেশ কার্যকর। কেবল খাওয়ার পদ্ধতি ভিন্ন।

৮। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও টক দইয়ের রয়েছে ভূমিকা।   

৯। তাছাড়াও টক দই নিয়মিত খেলে তা কোলন ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ নানা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার, টক দই খেলে কেবল দেহের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর হয় এমন নয়। এটি ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী। তাই তো বিভিন্ন ফেসপ্যাক ও হেয়ার প্যাকে অন্যতম উপাদান হিসেবে থাকে এই টক দই।

টক দইয়ের অপকারিতা   

অবাক হবার বিষয় হলেও সত্যি, এত এত উপকারিতার ভিড়ে বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে এই টক দইয়ের। তবে, অপকারিতা বলতে এটাই যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তবে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, কোনো ক্রমেই একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩০০ গ্রামের ওপরে টক দই খাওয়া ঠিক না। এছাড়াও যাদের ল্যাক্টোজ গ্রহণে সমস্যা রয়েছে, তারা খেলে তাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কেউ যদি টক দইয়ে চিনি মিশিয়ে খায়, তবে তা ডায়াবেটিসের সমস্যা বয়ে আনতে পারে। তাই, চিনির পরিবর্তে কিসমিস বা তাজা ফল মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এছাড়াও যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা রয়েছে তারা ফ্রিজের ঠাণ্ডা দই খেলে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। তাই, যেকোনো খাবার খাওয়ার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সবার শরীর এক নয়।

শেষ কথাঃ টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা  

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং টক দই দিয়ে ফর্সা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url