কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- সবার বহুল পরিচিত ‘কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা’ এ সম্পর্কে। সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই উপকরী। কারণ কিসমিসে থাকে আয়রন সম্বৃদ্ধ বিভিন্ন উপাদান। 


কে না জানে, কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিসমিস না-খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেলেও ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে প্রবেশ করে। তো চলুন জেনে নিই- কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি ? ‍So, let's Start- 

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা 

প্রিয় ভাই-বোন ও মুরব্বি, আপনি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন । কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা  জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি কিসমিস এর উপকারিতা এবং কিসমিস ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।      

আমরা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ১০ থেকে ১২ টা কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ঘুম থেকে উঠে কিসমিস আর ভিজিয়ে রাখা পানি একসঙ্গে ব্লেন্ডার করে। তার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে শরবত করে খেলে। যাদের হাতে পায়ে জ্বালাপোড়া করে, ও পেশাব জ্বালাপোড়া করে।

তাদের জন্য এই কিসমিসের শরবত অনেক উপকারী। কিসমিস ভেজিয়ে খেলে, যাদের চোখের সমস্যা বা চোখ ব্যথা করে বা মাথা ব্যথা করে তাদের জন্য এই কিসমিস অনেক উপকারী। যারা কিসমিস সরাসরি খেতে পারে না গ্যাসের সমস্যা হয় তারা পানিতে ভিজিয়ে এভাবে খেলে। কিসমিস খেলেও গ্যাসের সমস্যা হবে না।

কিসমিসে আছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং আপনার চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
এবার জানবেন কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়। সারা রাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকাল বেলা সেই পানি খান। আগেও বলেছি ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিসমিস ভেজা পানির ভূমিকা রয়েছে।

ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
   
রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমায়
রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমাতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন। দিন পনেরো পরেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।  

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান। তাহলে ভেজা কিসমিস ও তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানিও খেতে পারেন।        

কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন। তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান। তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখুন। শিগগিরেই সুফল পাবেন।

খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের পেশার লো থাকে তাদের জন্য খেজুর ও কিসমিস অনেক উপকারী।

নিয়মিত খেজুর ও কিসমিস খেলে লোপেশার ঠিক হয়ে যায়। খেজুর ও কিসমিস অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি।আমরা যদি নিয়মিত কিসমিস ও খেজুর খাই, তাহলে এই কিসমিস আর খেজুর আমাদের ব্রেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত সকালে খেজুর ও কিসমিস খেলে ছোট অথবা বড় সকলেরই ব্রেন আস্তে আস্তে ভালো হবে। কিসমিস খেলে শরীরের অনেক দুর্বলতা কাটে। হাত পা ব্যথা করলে কিসমিস খেলে আস্তে আস্তে হাত পায়ের ব্যথা ভালো হয়ে যায়। তাই কিসমিস ও খেজুরের উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না।

দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

আমরা জানি দুধের উপকারিতা অনেক এবং কিসমিস এর উপকারিতা অনেক, তাই দুধ আর কিসমিস আমাদের শরীরের জন্য একটি উপযুক্ত খাবার। যা আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ভালো রাখে। এবং দুধ ও কিসমিস আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটানোর মহা ওষুধ।

যেভাবে দুধ আর কিসমিস একসঙ্গে খেলে ভালো উপকার হয়। এক গ্লাস দুধ ভালো ভাবে গরম করে, নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে । এবং ৮-১০টা কিসমিস অল্প এ পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে বা পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর সকালে খালি পেটে।

এক গ্লাস দুধের সাথে কিসমিস এর পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে এবং সেবন করতে হবে। তাহলে আমাদের শরীরের জ্বালাপোড়া, হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া, প্রসাবের জ্বালাপোড়া ইত্যাদি আরো অনেক শরীরের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আমরা আরো বিভিন্নভাবে এই দুধ ও কিসমিস খেতে পারি।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমরা ৭-৮ টা কিসমিস চিবিয়ে খেতে পারি। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং ঘুম ভালো হয়। আমাদের ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর বাচ্চারাও ঘুমাতে যাবার আগে কিসমিস খেতে পারে।

এতে বাচ্চাদের ব্রেন ভালো হতে সাহায্য করে। কারণ রাতে বাচ্চারা ছোটাছুটি কম করে।শরীরে ভালোভাবে কাজে লাগে। এবং বাচ্চারা ভালোভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। এবং বাচ্চাদের ঘুমটাও ভালো হয়।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস বিভিন্ন রোগের সেফা। কিসমিস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। যেমন, কিসমিস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কিসমিসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন নিয়মিত কিসমিস খেলে। যে সকল বাচ্চারা কম বাড়ে, নিয়মিত কিসমিস খাওয়াতে বাচ্চারা বড় হতে থাকে। এবং তার পাশাপাশি তাদের ব্রেনো পরিষ্কার থাকে। এতে বাচ্চারা পড়াশুনা করতে ভালো পারে।
প্রতি নিহত কিসমিস খেলে যাদের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় হাত-পা ঝিনঝিন করে এবং হাত-পায়ে বল পায় না। তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে থাকলে তাদের এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন কিসমিস খেতে হবে।     

বিভিন্ন রেসিপিতে কিসমিসের ব্যবহার

আমরা বিভিন্ন রান্নার কাজে এ কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। আমরা মিষ্টি কিছু বানালে তার মধ্যে কিসমিস দিয়ে থাকি। যেমন, লাচ্ছা, সেমাই, পায়েশ ইত্যাদি অনেক কিছুতে এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। আরো বিভিন্ন রান্নায় আমরা এই কিসমিসের ব্যবহার করে থাকি।

যেমন আমাদের বাসায় মেহমান আসলে আমরা সকলে সচরাচর পোলাও বিরিয়ানি করে থাকে। এই পোলাও বা বিরিয়ানিতে এই কিসমিস দিয়ে রান্না করলে। পোলাও বিরিয়ানির স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যা আমরা সবাই পছন্দ করে থাকি। আরো বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই কিসমিসের ব্যবহার করে থাকি।  

যেমন যেকোনো ডেজার্ট বানানোর পর আমরা ডেকোরেশনের কাজে এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। যেমন, সুজির বরফি ডেকোরেশন করতে আমরা এই কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। ওপরে কিসমিস দেবার কারণে সুজির বরফি দেখতে আকর্ষণীয় হয়।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

আমরা জানি যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। পরিমাণ মতো না খেলে আমাদের শরীরের জন্য সেটা উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। যেমন আমরা যদি ওষুধ খাই কিন্তু ওষুধের পরিমাপ না জানে তাহলে ওষুধ খেলে যেমন আমাদের কোন উপকার হবে না।

তেমন কিসমিস কতটুক আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বা কতটুক খাওয়া উচিত তা জেনে নিব। আমরা দিনে ৫০ গ্রাম কিসমিস খেতে পারি। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য ১০ থেকে ১৫ টি। কারণ অতিরিক্ত কিসমিস খেলে, পাতলা পায়খানা হয়ে যেতে পারে। তাই আমরা নিয়ম অনুসারে এই কিসমিস খাব।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলিঃ     
কিসমিসের পানি খেলে কি উপকার হয়?
হজমে সহায়তা: কিশমিশ আঁশসমৃদ্ধ তাই পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণে এটা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। ভেজানো কিশমিশ হজমের সমস্যা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। ৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কিশমিশ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ, যা শরীরের লবণাক্ততার ভারসাম্য বজায় রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

কিসমিস খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সব মিলিয়ে ছোটো একমুঠো কিশমিশ খাওয়াই যায়, তবে শুধুমাত্র কিশমিশ খেলেই কিছু ওজন বাড়ে না। তবে কোনোকিছুই বেশি মাত্রায় সেবন স্বাস্থ্যকর নয়। এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে এর মধ্যে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরির কারণে অযাচিতভাবে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোন কিশমিশ সবচেয়ে ভালো?
সুলতানা কিশমিশ , কখনও কখনও সোনালি কিশমিশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, সাধারণ স্বাস্থ্য উপকারের জন্য কিশমিশের সেরা জাত। উচ্চ ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানের কারণে তারা বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে।
কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি সুগার কমে?
রক্তে শর্করার ভারসাম্য: যদিও কিশমিশে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, ভিজিয়ে রাখা রক্তের প্রবাহে তাদের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিদের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এটি স্পাইক এবং ক্র্যাশ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
 
কিসমিস বেশি খেলে কি ক্ষতি হয়?
যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে অত্যধিক কিশমিশ খাওয়া হজমের সমস্যা, ভাল কোষগুলির অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার কারণ হতে পারে।

প্রতিদিন ১০টি কিসমিস খেলে কি হয়?
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা পর্যাপ্ত পটাসিয়াম এবং খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সরবরাহ করতে পারে, যা রক্তচাপ কমাতে পারে । উপরন্তু, কিশমিশে পলিফেনল থাকতে পারে যা নাইট্রিক অক্সাইড মুক্ত করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে।

কিসমিস খেলে কি রক্ত ​​বাড়ে?
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: কিশমিশ খাওয়া আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি আয়রনের একটি ভাল উত্স। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে রক্তাল্পতা নামে পরিচিত অবস্থা হয়।

রাতে ঘুমানোর আগে কি খাওয়া উচিত?
  • গরম দুধ রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন।
  • ডিম ডিমে আছে ভিটামিন ডি। 
  • মিষ্টি আলু মিষ্টি আলুকে বলা হয় 'ঘুমের মাসি'। 
  • কাঠবাদাম কাঠবাদাম মেলাটোনিনের উৎস।
  • কলা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
  • মধু মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে।
  • সাদা ভাত 
  • তেলযুক্ত মাছ

শুকনো ফলের রাজা কিসমিসের উপকারিতা

কিসমিস রান্নার কাজে অর্থাৎ সেমাই, পায়েশ, মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া কিসমিস সাধারণত এমনি কেউ খান না। কিন্তু আমাদের কি জানা আছে দেহের কি কি উপকারে আসে এই কিসমিস? একে কিন্তু শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়।

আঙুর ফলের শুকনা রূপ হলো কিসমিস। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপে ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিসমিসে।
    
প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে- ২৯৯ কিলোক্যালরি শক্তি, কার্বোহাইড্রেট ৭৯.১৮ গ্রাম, প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪৬ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ৩.০৭ গ্রাম, ফোলেট ৫ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ০.৭৬৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৮৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম।

কিসমিস রক্তে শর্করার মাত্রায় ঝামেলা তৈরি করে না। এটি খেলে শরীরে রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও অনেক উপকারি।

শেষ কথাঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা 

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।    

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url