গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান

ছোট্ট সোনা মনিরা, তোমাদের সাথে আজকে আমি শেয়ার করতে চলেছি- ‘গরুর রচনা’ - কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান এ বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করবো আজকের এই পোষ্টে। গরুর রচনাটি সুন্দর ভাবে সহজেই মুখস্থ করতে চাইলে সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ো ছোট্ট সোনা মনিরা। 


আজকের পোস্টে গরুর রচনাটি মূলত Class 1-5 এর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপণ করা হয়েছে। প্রিয় ছোট্ট খোকা সোনা মনিরা, গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান এ পোষ্টটি সম্পূর্ন পড়ো তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবে ও পরীক্ষার খাতাতে সহজেই গরুর রচনা লিখতে পারবে।         

কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায়

কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায়- গরুর রচনা মুখস্থ না করে, একটি গরুর চিত্রায়ণ করে, তারপর গরুর বিষয়ে বর্ণনা করতে হবে। কীলক পদ্ধতির দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে হ্যামারিং করা বা হাতুড়ির ঘা-মারা। অর্থাৎ খোদাই করতে হলে, আপনাকে নরুন বা এজাতীয় কিছুর উপরে বারবার হাতুড়ি ঠুকতে হয়। আমরা আমাদের ছোটবেলায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে, নামতা মুখস্ত করতাম।       
মুখস্থ বিদ্যা কম করার জন্য একটি উপায় হল সহজে পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল রপ্ত করা। টাস্ক পুরো করার জন্য পড়া নয়, একমাত্র আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসা।ভিডিও গেম খেলা, টিভিতে খেলা বা মুভি দেখার সময় যতটা আগ্রহ নিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখি ঠিক তেমনি কোনো কিছু বিষয় নিয়ে পড়ার সময়ও নিজের ভিতর থেকে আগ্রহ তৈরি করা।

পড়াটা কঠিন বা মনে থাকে না বা বুঝিনা অথবা আমায় দ্বারা হবেনা এসব পূর্বধারণা থেকে বেরিয়ে মনদিয়ে পড়তে বসা।   
পড়তে পড়তে মেন পয়েন্ট সংক্ষেপে একটি কাগজে লেখা বা সন বা তারিখ যেটা আটকে যাচ্ছে তারকিছু সেটা একটা ছোট কাগজে লিখে তারপর পড়তে থাকা। সেটা কয়েকবার আবার মনে মনে বলা। মুখস্থ নয় মূল বিষয়কে জানা বা সেটা আরও বিশদে জানতে গুগলে সার্চ করে বা youtube এর সেই সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যানেলের ভিডিও দেখা ভালো ভাবেআরো জানার জন্য।

গরুর রচনা           

প্রিয় ছোট্ট সোনা মনিরা, এই আর্টিকেলে শুধু গরুর রচনাই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ও এ জাতীয় আরো অনেক লিংক দেওয়া হয়েছে যদি তুমি সে পয়েন্টগুলো কলিংগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে চাও তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে মনোযোগ সহকারে পড়ো। 

========গরুর রচনা শুরু========

সূচনাঃ 

গরু একটিগৃহপালিত পশু। গরুর গৃহপালিত পশু ।গৃহস্থলীর কাজে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী.। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে। আমরা লাঙ্গল চাষ করে থাকি।এর দ্বারা আমরা গাড়ি বহন করি মালামাল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া আসা করি এছাড়াও অনেক কাজে আমাদের লাগে। গরু প্রাণী হিসেবে শান্ত শিষ্ট ও নিরীহ প্রাণী।

আকার ও আকৃতি

গরুর চারটি পা রয়েছে । যেইপা দিয়ে গরু চলাচল করে । দুটি সিং রয়েছে। যে সিং দিয়ে নিজের আত্মরক্ষা করে অর্থাৎ কোন প্রাণী আক্রমণ করলে গরুর শিং দ্বারা সে প্রতিহত করে । গরুর দুইটি লম্বা কান রয়েছে যে কান দ্বারা শ্রবণ করে ,একটি দীর্ঘ লেজ রয়েছে। যেই লেজ দিয়ে গরু তার শরীরকে রক্ষা করে অর্থাৎ মশা মাছি পোকামাকড় থেকে তার শরীরকে রক্ষা করে ।

গরুর শরীর লমে ঢাকা থাকে লোমের কালার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোন গরুর লোম সাদা , কোন গরুর লোম লাল , কোন গরুর লম বাদামী , কোন গরুর লোম ছাই কালার ইত্যাদি । ৪ থেকে ৫ হাত দৈর্ঘ্য আকৃতি হয়ে থাকে ও প্রস্তু তিন চার তিন চার হাত হয়ে থাকে । তার সামনে একটি মাথা রয়েছে। গরু এমন একটি প্রাণী যা বিশ্বের কম বেশি সব দেশেই পাওয়া যায় ।

প্রকারভেদ  

গরু বিভিন্ন প্রকার এবং বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। কিছু কিছু সাদা, কিছু কিছু লাল, কিছু কিছু কালো এবং কিছু কিছু মিশ্র বর্ণের হয়।

গরুর বর্ণনা

গরুর চারটি পা, দুটি চোখ, দুটি কান, দুটি শিং এবং একটি লম্বা লেজ আছে। এর নিচের মাড়িতে এক পাটি দাঁত আছে। এর ক্ষুরগুলো দু'ভাগে বিভক্ত। এর শরীর নরম এবং ছোট ছোট লোমে আবৃত থাকে। এর একটা লম্বা লেজ আছে যার শেষভাগে একগুচ্ছ লোম আছে।

গরুর রোগ

গরু সাধারণত পেট ফুলা, তড়কা, খুড়ারোগ, গোবসন্ত, গলাফুলা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

প্রকৃতি

গরু একটি শান্ত খুব নিরীহ প্রাণী ।তার গলায় মাথায় গায়ে হাত বুলালেই সে পোষ মেনে যায় , তাকেএকটু খাবার দিলে মালিকের ভক্ত হয়ে যায় , গরু গাড়ি চালানোর সময় যেদিকে নির্দেশ করা হয় সেদিকে সে চলতে থাকে । লাঙ্গল বহন করার সময় সে ,সুন্দরভাবে রাখালের কথা মেনে নাঙ্গল বহন করে। কি অপরূপ দৃশ্য আল্লাহর। গরু চাইলে মানুষকে ডিস মেরে মেরে ফেলতে পারে কিন্তু সে তা করে না ।সে মানুষের কথাই শুনে চলে।

খাদ্য

গরু সবুজ শ্যামল ঘাস খায় ঘাস খায় , এখন আধুনিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ঘাস পেরিয়েছে যেমন নেপিয়ার আরো অনেক ধরনের ঘাস যেগুলো গরুকে খাওয়ালে গরু স্বাস্থ্য ভালো থাকে , খরকুটা , ভাতের মার অত্যন্ত পছন্দ করে । চাল ধোঁয়া পানি, ভাতের মাড় , পানির মধ্যে লবণ বিভিন্ন ধরনের ভুসি মিশিয়ে দিলে খুব ভালো খায় ।শুকনো জাতীয় দানা খেয়ে থাকে।

গরুর স্বভাব

গরু খুব শান্ত অক্ষতিকারক প্রাণী। এটি বছরে একটিমাত্র বাচ্চা দেয়।

উপকারিতা

গৃহপালিত পশু গরু থেকে আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি। আমরা গরু  লালন পালন করে ও মোটাতাজা করে বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারি। এছাড়াও দুধ থেকে ছানা, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি , বিভিন্ন ধরনের পায়েস , বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে আমরা খাই ও বাজারে বিক্রি করে থাকি। বলদ বা ষাঁড় গরু দ্বারা আমাদের জমির চাষের কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি লাঙ্গল বহন করে থাকি।

আমরা গ্রামগঞ্জে মালামাল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসারজন্য গরুর গাড়ি ব্যবহার করে থাকি । এছাড়াও গরুর গোবর আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করে থাকি , এতে ফসল খুব ভালো হয়ে থাকে । আমরা বাঙালি গরুর গোশত খুব পছন্দ করি যার কারণে দাম ৭০০ টাকা হলেও আমরা কিনে খেয়ে থাকি।
গ রু খুবই উপকারী প্রাণী। চারটি পা ও একটি লেজ থাকলেও গরু পশু নয়, সম্মাননীয় ব্যক্তি। এ জন্য অনেকে আবার গরুকে ‘মাতা’ বলে ডাকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লিখেছেন, ‘মা-গো আমায় ছুটি দিতে বল।’ কিন্তু গুরুদেব বললেও কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়, গরু আসলে মায়ের চেয়েও বড়। গরুর গোবর হয়, মায়ের হয় না। মায়ের দুধে ছানা হয় না, গরুর দুধে হয়। মায়ের হাগু কোনও কাজে লাগে না, কিন্তু গোবর খুব উপকারী খাবার। প্রায়শ্চিত্তের সময় কাঁচা খেলে শরীরের উপকার হয়। রান্নার সময় ঘুঁটে বানিয়ে এবং চাষবাসে সার হিসেবে দিয়ে খাদ্যসমস্যার সমাধান হয়। মাটিতে গোবর দিলে তা থেকে ধান আমড়া রজনীগন্ধা ইত্যাদি নানা ফল ও ফুল ফলে। এই কারণে ফলের রাজার অন্য নাম ম্যাং-গো এবং ফুলের রানিকে গো-লাপ বলে।

গরু গোবর ছড়িয়ে এবং শিং দিয়ে গুঁতিয়ে পৃথিবীকে ফুলে ফলে ভর্তি করে রাখে। এখান থেকেই সংস্কৃতে ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গো-রিয়সী’ কথাটি এসেছে। এর অর্থ হল, জননীরা জন্মভূমিতে থাকে, আর গরুরা স্বর্গে দাপাদাপি করে। এই জন্য ভগবানের অন্য নাম গো-বিন্দ। এ নিয়ে বাংলায় হাজার হাজার গান-কবিতা লেখা হয়েছে। তাদের একটির নাম গীত-গো-বিন্দ। গরুর স্ত্রীলিঙ্গ ‘গাই’। একটি বিখ্যাত বাংলা ভক্তিগীতির প্রথম লাইন ‘আমি বাংলায় গান গাই।’

পুজোকে ভক্তিমার-গো বলে, তাই গরুকে আমরা বিশেষ সম্মান দিই। ভাল লোকেদের আমরা বং-গো-ভূষণ বলে থাকি। ফর্সা মেয়েদের গো-রি বলা হয়, তাদের ভাল ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়। পছন্দের জিনিস হারানোকে ‘গরু হারানো’ এবং প্রাণপণ খোঁজাকে ‘গরু খোঁজা’ বলা হয়।

আমাদের জন্মভূমিকে প্রায়ই কেটেকুটে পিস পিস করা হয়, একে দেশভাগ বলে। পাহাড়-জঙ্গল নরখাদকে ভর্তি, তারা মানুষ পেলেই কেটে খায়। জিম করবেট এই নিয়ে তাঁর বিখ্যাত গা-ছমছমে বই ‘ম্যানইটার্স অব কুমায়ুন’ লিখেছেন। নিজের মাতাকেও অনেকেই আহার করে, জাপানি ভাষায় এদের ‘মাতাহারি’ বলা হয়। কিন্তু মা এবং জন্মভূমির চেয়েও বড় বলে, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সহ পৃথিবীর কোথাও কোথাও গরুকে হত্যা করা এবং খাওয়া হয় না। এই ধরনের ভয়ানক খারাপ কাজকে গো-খুরি বলা হয়। আইন এই বাজে লোকেদের কঠোর শাস্তি দেয়।

আগে এদেরকে পাহাড়ে জঙ্গলে নির্বাসন দেওয়া হত, যে জন্য সুদূর উত্তরবঙ্গের এক গভীর জঙ্গলের নাম হল ‘গরুমারা’। এখন অবশ্য শাস্তির নতুন পদ্ধতি বেরিয়েছে, ধরা পড়লেই বেধড়ক পিটিয়ে একেবারে মেরে ফেলা হয়, কারণ গরুর চেয়ে মানুষের দাম অনেক কম।

এই জন্য সব মানুষই গরু হতে চেষ্টা করে। কেউ এঁড়ে হয়, আর কেউ বকনা। কেউ বলদ হয়, কেউ ষাঁড়। কবি বলেছেন, ‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে গাই।’ এ কারণে ভূ-ভারতকে অং-গো, বং-গো, কলিং-গো, আর পৃথিবীভর্তি ভালমানুষকে গো-বেচারা বলা হয়।

উপসংহার

গরু আমাদের অনেক উপকারে আসে এত উপকার পাওয়া সত্ত্বেও আমরা গরুর প্রতি অনীহা ভাব সৃষ্টি করে থাকি , আমরা গরুর ঠিকমতো যতœ নিই না। তাকে ঠিকমতো খাবার দিই না আমাদের উচিত যে প্রগতি সহনশীল ও সদয় আচরণ করা তা যতেœর প্রতি খেয়াল রাখা , খাবারের প্রতি খেয়াল রাখা , তাকে কষ্ট না দেওয়া ।কারণ সে একটি মাখলুক নবী বলেন যে জমিন ওয়ালার উপর দয়া করবে আল্লাহ তাআলা তার উপর দয়া করবে। অতএব আমাদের গরু পালনের উপর উৎসাহিত হতে হবে তাহলে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হওয়ার সাথে সাথে আর্থিকভাবেও উপকৃত হতে পারব।

========গরুর রচনা সমাপ্তি========

 গরু প্রাপ্তির স্থান

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গরু দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের গরু অন্যান্য দেশের গরুর তুলনায় একটু ছোট। ভারদ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকার গরু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ  ও বলিষ্ঠ। তাছাড়া বুনেগরুও আছে। এরা সাধারণত হিংস্র প্রকৃতির হয়। বাংলাদেশের সুন্দর বন ও অন্যান্য স্থানে এ সমস্ত বুনোগরু দেখা যায়। তার মধ্যে নীল গাই অন্যতম।  


বাংলাদেশের বড় কিছু গরুর হাটের নাম ও হাটবারঃ   

আপনি গরুর খামার করতে গেলে প্রথমেই যে বাধার সম্মুখিন হবেন তা হলো এর প্রাপ্তিস্থান এবং মুল্য। এটি সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা না থাকলে আপনার বিনিয়োগ শুরুতেই বিফলে যেতে পারে অথবা মনোবল ভেংগে যেতে পারে। খামার করার আগে প্রশিক্ষনের পাশাপাশি গরুর প্রাপ্তি স্থান জেনে নিনঃ

(১) আপনার বাজেট যদি ৪০,০০০-৪৫,০০০ টাকার মধ্যে হয় তাহলে আপনি কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারী, নাগেশ্বরী, যাত্রাপুরা,

লালমনিরহাটের বড়বাড়ী হাট থেকে নিতে পারেন। এখানকার বেশীরভাগ বাছুর লাল খুব সুন্দর কিন্তু ১২ থেকে ১৮ মাস মেয়াদী প্রজেক্ট হলে ওখান থেকে বাছুর কিনা ভাল।
(২) আপনি যদি ৫০,০০০-৫৫,০০০ এর মধ্যে শাহীওয়াল ষাড় কিনতে চান তাহলে বগুড়ার বুড়িগন্জ, ঘোড়াধাপ, মহাস্থান, ডাকুমারা, জয়পুরহাট, পাবনার চতুর্বাজার।

(৩) বাজেট যদি ৫৫,০০০ টাকার উপরে হয় তাহলে অবশ্যই কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গার হাট, বাইল্যাপারা, চুয়াডাঙ্গার শিয়ালমারী উত্তম।

(৪) শুধু গাভীন গাভী কিনতে চাইলে বগুড়ার দুপচাচিয়া থানার ধাপের হাট উত্তম।প্র‌তি র‌বিবার ও বৃহঃস্প‌তি বার।

(৫) শুধু ইন্ডিয়ান বলদ ও নেপালী বড় বড় গরু কিনতে চাইলে অবশ্যই বেনাপোলের পুটখালী এবং সাতক্ষীরার বৈখালী যেতে হবে।

(৬) যদি দেশী লাল বলদ গরু কিনতে চান তাহলে প্রতি শনিবার জয়পুরহাট।

(৭) যদি শুধু দেশী বাছুর কিনতে চান তাহলে যেতে হবে চাঁপাই এর সোনাইচন্ডী ও তর্তিপুর হাট।

(৮) মহিষ কিনতে হলে কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গা এবং চাঁপাই এর সোনাইচন্ডী হাট।

(৯) যদি শুধু অষ্টেলিয়ান এবং ক্রস বাছুর কিনতে চান তাহলে পাবনার ঈশ্বরদীর অরনখোলার হাট। পুরা হাট ভরা শুধু ক্রস বাছুর।

(১০) এছাড়া রাজশাহীর সিটি হাট, যশোরের সাতমাইল ভাল গরু আগে উঠত কিন্তু ইন্ডিয়ান গরু না আসাতে ওখানে এখন তেমন ভাল গরু উঠে না।

(১১) কেউ যদি দেশী জাতের খাটো বুট্টী টাইপের গরু কিনতে চান তাহলে অবশ্যই দিনাজপুর এবং রংপুর এর হাট গুলো থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই জাতের গরুর খামার খুব লাভবান কারন ২-৩ মাসের মধ্যে গরু বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়, খাবার কম লাগে, তাদের মুখে অনেক রুচি, রোগবালাই হয় না বললেই চলে, মধ্যবিও যারা একা কোরবানী দেয় তাদের জন্য। ৩ মাসের বেশী পুষলে লস কারন এগুলো সাইজে বড় হয় না শুধু মোটা হয়।
(১২) জঈঈ ঈড়ি কিনতে হলে যেতে হবে চট্টগ্রাম এর সাতকানিয়া, আনোয়ারা উপজেলায়। এই জাতটা দীর্ঘমেয়াদের জন্যে ভাল।

হাটবার ও হাটের নামঃ

১. টাঙ্গাইল এর মির্জাপুর দেওহাটায় প্রতি মঙ্গলবারে বড় গরুর হাট হয়, উন্নত জাতের গাভী এবং বাছুর পাওয়া যায় এই হাটে ।
২. কুমিল্লার চান্দিনা তে শনি ও মঙ্গালবার হাট, ষাঁড় গরু বেশী উঠে।
৩. নোয়াখালি, রামগঞ্জ। সোনাপুর বাজার অনেক দেশী গরুর সমাহার।
৪. মিটাপুকুর থানা, জেলা রংপুর, বৈরাতি হাট, বিশাল গরুর হাট। হাটবার শনিবার মঙ্গলবার, বেশীরভাগ দেশী গরু পাওয়া যায়।
৫. চাপারহাট সোম এবং শুক্র বার।
৬. গাজীপুর কাপাসিয়া থানা আমরাইদ হাট প্রতি মঙ্গলবার।
৭. রাজবাড়ী জেলা প্রতি রবি ও বৃহঃস্প‌তি বার বিশাল গরুর হাট।
৮. গোবিন্দগঞ্জ (গোলাপবাগ) হাট প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার হাট। দেশি বিদেশি গরু পাওয়া যায়।
৯. আশুলিয়া হাট প্রতি বুধবার।
১০. নাটুয়ারপাড়া হাট। হাটবার প্রতি সপ্তাহের শনিবার।
১১. ঝিনাইদহ জেলার ভাটই বাজার, প্রতি রবিবার, দেশি গরু পাওয়া যায়।
১২. নেত্রকোনার সিধলি বাজার, শুধুমাত্র সোমবার , অনেক দেশি গরু পাওয়া যায় ৷
১৩. সুনামগঞ্জ জেলার ধরমপাশায় বিশাল হাট। হাটবার প্রতি বৃহস্পতিবার, নেত্রকোনা থেকে ৩২ কিলোমিটার।
১৪.
নরসিংদীতে শনিবারে "পুটিয়া" নামক জায়গায় গরুর হাট বসে।
জংলী শীবপুর, রায়পুরা, নরসিংদী (রবিবার)। বেলাবো,নরসিংদী (শুক্রবার)। নারায়নপুর, বেলাবো,নরসিংদী (নারায়ণপুর, বেলাব, নরসিংদী'র হাট শনি ও মঙ্গলবার বসলেও গরুর হাট কেবল মঙ্গল বার)) পোড়াদিয়া, বেলাবো, নরসিংদী (বৃহস্পতিবার) শ্রীরামপুর, রায়পুরা, নরসিংদী (সোমবার)।
১৫. কুষ্টিয়ার ভাদালিয়া হাট,শনিবারে
১৬. সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া।
১৭. চান্দাইকোনা, শেরপুর, বগুড়া প্রতি মঙ্গলবার।
১৮. জয়পুরহাট জেলা হাট, শনিবার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট মঙ্গলবার
১৯. গোবিন্দাসী টাঙ্গাইল যমুনা ব্রিজের কাছে।
২০. সাগরীকা চট্রগাম, বৃহস্পতিবার।
২১. হাতিরদিয়া নরসিংদী রবিবার।
২২. পুটিয়াহাট, শিবপুর, নরসিংদী।
২৩. বনানী হাট। সোমবার,,শুক্রবার। বগুড়া, সদর।
২৪. ওমরপুর হাট নদীগ্রাম বগুডা । এখানে অনক অল্প দামে ষার পাওযা যায।
২৫. গাইবান্ধা গরুর হাট গাইবান্ধা বাজার, ইসলামপুর, জামালপুর। হাট বার : সোম ও শুক্র
২৬. গজারিয়ায় শুধুমাত্র মঙ্গলবার হাট বসে ।
২৭. নওগাঁ,তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ। বৃহস্পতিবারে হাট বসে।
২৮. এনায়েত পুর, সিরাজগঞ্জ। শুক্রবার হাট বসে, দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়। কিছু ইন্ডিয়ান এবং নেপালি গরু ও পাওয়া যায়।
২৯. ডাকুমারা, শিবগঞ্জ (রবিবার)।
৩০. মহাস্তান হাট (বুধবার)।
৩১. ধাপের হাট, দুপচাচিয়া, বগুড়া। হাটবার প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার।
৩২. মহিমাগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ (শনিবার)।
৩৩. ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা। হাটবার প্রতি মঙ্গলবার।
৩৪. আরিচা হাট প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার। (আরিচা হাট থেকে গরু ক্রয় করার কিছু সুবিধা
আছে। এই গরুগুলো বেশিরভাগ আসে চর এলাকা হতে। গরুগুলো শুধুমাত্র চরের ঘাস খাওয়ায়
অভ্যাস্ত। চরের এই গরুগুলো মোটাতাজা করন প্রকল্পের জন্য বেশ সুবিধাজনক।)
৩৫. ছনকা বাজার, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ। শুক্রবার। চরাঞ্চলের গরু পাওয়া যায়।
৩৬. চতুরহাট,বেড়া,সি এন্ড বি বাজার,পাবনা প্রতি মঙ্গলবার (সাহিওয়াল আর পাবনার লাল গরুর জন্য বিখ্যাত )
৩৭. বনগাওহাট ,পাবনা প্রতি মঙ্গলবার।
৩৮. পুষ্পপাড়াহাট ,পাবনা প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার।
৩৯. হাজিরহাট,পাবনা প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার।
৪০. আওতাপাড়া,পাবনা প্রতি রবি ও বুধবার।
৪১. চাটমোহর রেলবাজার, প্রতি রবিবার ( গাভীর জন্য বিখ্যাত )
৪২. অরোনকুলা হাট, ইশ্বরদী ,পাবনা প্রতি মঙ্গলবার ( ফ্রিজিয়ান ও ক্রস গরুর জন্য বিখ্যাত)
৪৩. সখিপুর হাট... প্রতি বুধ ও শুক্রবার (সখিপুর থানা, শরিয়তপুর জেলা) সখিপুরের হাটটি খাশি
এবং ষাড় গরুর জন্যে ভাল।
৪৪. ঘরিষার হাট... প্রতি সোমবার (নড়িয়া থানা, শরিয়তপুর জেলা)
৪৫. ভোজেশ্বর হাট...প্রতি শুক্রবার (নড়িয়া থানা, শরিয়তপুর জেলা) ভোজেশ্বর হাটটি খাশি এবং
গরুর জন্যে মোটামুটি ভাল।
৪৬. লাউখোলা হাট...প্রতি বৃহস্পতি বার (জাজিরা থানা, শরিয়তপুর জেলা) লাউখোলার হাটটি দুধের
গরুর জন্যে নামকড়া তবে বুঝে শুনে না কিনলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৪৭. মনোরা হাট, হাটবার সোমবার (পালং থানা, শরিয়তপুর জেলা)
মনোরার হাটটি শুনেছি দুধের গরুর জন্যে খুবই ভাল তবে তথ্য দাতা এখনো হাটে যাননি।
৪৮. হযরতপুর হাটবার প্রতি শনিবার ঢাকার কাছের হাট।
৪৯. পাড়াগ্রাম (সেরুমিয়া) হাটবার প্রতি বুধবার। ঢাকার কাছের হাট।
৫০. চালাকচর মনোহরদী নরসিংদী সোমবার।
৫১. মনোহরদী নরসিংদী বুধবার।
৫২. নেত্রকোনা জেলা শহরের রাজুরবাজার নামক স্থানে প্রতি শনিবার বিশাল গরুর হাট বসে।
৫৩. রাজশাহী সিটি হাট। হাটবার রবিবার ও বুধবার।
৫৪. আজমীরিগন্জ, হবিগন্জ জেলা। প্রতি রবিবার। ৯৫%দেশি গরুর সমাহার ।
৫৫. ফরিদপুর টেপাখোলা হাট প্রতি মঙ্গল বার।
৫৬. তেবাড়িয়া, নাটোর সদর। দেশি গরুর বিরাট হাট। রবিবার।
৫৭. মৌখাড়ার হাট, বড়াইগ্রাম, নাটোর, শুক্রবার, দেশি জাতের গরুর জন্য।
৫৮. হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর, হাটবার শুক্রবার। এখানে নাকি সারা রাত ক্রয়-বিক্রয় হয়।
৫৯. বৈরাতি হাট মিঠাপুকুর, রংপুর। হাটবার শনিবার ও মঙ্গলবার।
৬০. চাঁপাই নবাবগঞ্জ এর মল্লিকপুর শনিবার, বটতল ‘র হাট শুক্রবার ও মঙ্গলবার।
৬১. দিনাজপুর জেলা চিরিরবন্দর থানা, রানিরবন্দরের বিশাল গরুর হাট, হাটবার সোমবার ও
বৃহস্পতিবার।
৬২. রংপুর জেলা বদরগঞ্জ থানা হাট, সোমবার ও বৃহস্পতিবার।
৬৩. পাবনা (হাজীর হাট)...শুক্রবার ও মঙ্গলবার।
৬৪. সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর শুক্রবার এবং বেলকুচি বুধবারে বিশাল হাট।
৬৫. গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা। হাটবার বৃহস্পতিবার।
৬৭. নারায়ণপুর বাজার, মতলব দক্ষিণ। হাটবার প্রতি রবিবার।

শেষ কথাঃ গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান  এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। গরুর রচনা- কিভাবে সহজেই গরুর রচনা মুখস্থ করা যায় এবং গরু প্রাপ্তির স্থান এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।     

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url