ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে এ সম্পর্কে। ব্রণ এখন নিত্য দিনের একটি সমস্যা হয়ে গেছে। বিশেষ করে, ১২ থেকে ২১ বৎসরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এ লক্ষণটি বেশি দেখা যায়।
কম বেশি সব বয়সের মানুষই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। শুধু যে মুখেই ব্রণ হয়ে তা নয়। শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে ব্রণ। বেশিরভাগ মানুষই অনেক চেষ্টা করেও এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পান না।
ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়
আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় ব্রণ নামক সমস্যা। ব্রণ দূর করার উপায় (Bron dur korar upay) ও রূপচর্চা জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। ব্রণের সমস্যা সৃষ্টি হয় আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে। তখন এটি আকারে বড় হয় ও ভেতরে পুঁজ জমতে থাকে। যা ধীরে ধীরে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়সন্ধীকালীন সমস্যা হিসেবে এটি চিহ্নিত করা হয়।
তবে শুধু বয়সন্ধীকালেই নয়, ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে প্রাপ্তবয়স্ক যে কারও ক্ষেত্রেই। আবার এটি কেবল মেয়েদেরই সমস্যা নয়, ছেলেদের ক্ষেত্রেও ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘরোয়া উপায়ে কিছু রূপচর্চার মাধ্যমে ব্রণ দূর করা সহজ হয়। এভাবে নিয়মিত রূপচর্চার ফলে আপনার ত্বক ব্রণমুক্ত হবে।
ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিষেক দে জানিয়েছেন, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ, লোশনের সঙ্গে কিছু খাওয়ার ওষুধও দিতে হয় সমস্যা আটকাতে। তবে ব্রণের প্রবণতা কম হলে কিছু লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যেমন- ওজন ঝরানো, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং দুধজাতীয় খাবার কমাতে হবে। এছাড়া যারা আগুনের তাপে রান্নাবান্না করেন, তাদেরও ব্রণের সমস্যা বাড়ে।
এ ছাড়া কিছু ঘরোয়া উপায় তো আছেই সমস্যা নিরসনের জন্য। তবে ঘরোয়া টোটকা কখনওই অব্যর্থ নয়! নানা মানুষের নানা অভিজ্ঞতা। কারও কোনো টোটকা কাজ করে, কারও আবার করে না। যে টোটকাগুলো তার মধ্যে বেশি ভালো কাজ করে, তার একটা তালিকা দেওয়া হলো। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেসব কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া ৭ উপায়
টুথপেস্ট
ব্রণ দূর করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। জানেন কি, টুথপেস্ট ব্যবহারে একদিনের মধ্যেই শুকিয়ে যায় ব্রণ! উপকার পেয়েছেন অনেকেই। রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন, ব্রণে অনেকটা শুকিয়ে গেছে।
নিম-তুলসির পেস্ট
নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য আর তুলসির অ্যান্টিব্যাকোটেরিয়াল প্রপার্টি। দুই পাতার পেস্ট ব্যবহার করুন ব্রণ দূর করতে।
মধু-দারচিনি
দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে রাখুন। ব্রণের ঠিক উপরে লাগান। সারারাত রেখে দিতে পারেন।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ব্রণের ওপর লাগিয়ে সারারাত শুকাতে দিন এবং পরের দিন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা
এক চামচ অ্যালোভেরার সঙ্গে চার-পাঁচটি করে তুলসী ও নিমপাতা পেস্ট করে নিয়মিত খেলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ওটস
ত্বকের তেলাভাব দূর করতে ওটস দারুণ উপকারী। ওটস অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। ব্রণ বা ফুসকুড়ির নিরাময়ে সাহায্য করে। ব্রণ-ফুসকুড়িতে মধুর সঙ্গে ওটস লাগান।
বেলের পাতা দিয়ে ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
এই আর্টিকেলে বেলের পাতা দিয়ে ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
বেলের পাতা দিয়ে ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
আমরা অনেকেই বেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানি যে বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর হয় এবং বেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও রয়েছে। কিন্ত বেলের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের অজানা। বেলের পাতা আমাদের রূপচর্চার কাজে একটি অনেক উপকারী উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা ত্বকের ভেতর থেকে ব্রণ ভালো করতে অনেক সাহায্য করে। প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ ভালো করার জন্য অনেক কিছু ব্যবহার করার পরও কাজ হয় না। আজ আমি আপনাদের সাথে বেশি না ৭ দিনের মধ্যে আপনাদের ব্রণ একদম কমে যাবে।
কারণ ব্রণ (Acne) ভালো করতে বেলের পাতা ভিশন প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এটি আপনারা ঠিকমত ব্যবহার করলে নিশ্চিন্তে আপনাদের ব্রণ ১০ দিনের মধ্যে একেবারে ভালো হয়ে যাবে। আপনারা বেলের পাতা কিভাবে ব্যবহার করলে ব্রণ ভালো হবে সেই সম্পর্কেই আমি আপনাদের ভালোভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আর ব্রণ হয় না এমন মানুষ অনেক কম দেখা যায় আর এই ব্রণ ভালো করার জন্য আমরা অনেক দামি দামি সাবান এবং অনেক ওষুধ খেয়ে থাকি কিন্তু কিছুতেই এই ব্রণ আমাদের ত্বক থেকে যায়না বা ভালো হয় না। তাই আমি আজ আপনাদের যেভাবে বেলের পাতা ব্যবহার করতে বলবো সেভাবে ব্যবহার করে দেখবেন আমি গ্যারান্টি শহীত বলতে পারি আপনাদের ত্বক থেকে ব্রণ দূর হবেই।
আমি আপনাদের যে প্যাকটি তৈরি করে ত্বকে ব্যবহারের কথা বলব সেটা আপনারা অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে লাগাবেন দশ দিন ধরে। আর অবশ্যই ধৈর্যের সহিত ব্যবহার করবেন দেখবেন আপনার ব্রণ কেমন করে ভালো হয়। বেশি না আপনি তিন দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন যে বেলের পাতা আপনাদের ম্যাজিকের মত কাজ করবে। আর অবশ্যই আপনাদের যদি উপকার হয়ে থাকে তাহলে আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি সবার কাছে শেয়ার করবেন, তাহলে আপনার সাথে সাথে আরো অনেক মানুষের উপকার হবে। আর অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
ব্রণ (Acne) দূর করতে বেলের পাতা ব্যবহারের নিয়ম
আপনি কিছু বেলের পাতা ব্লেন্ডার করে নিন।এবং সেখান থেকে দুই চামচ বেলের পাতা, হাফ চামচ মধু এবং এক চামচ নিমের পাতা বাটা সকল উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। এরপর আপনার যেখানে যেখানে ব্রণ রয়েছে বা বের হয় সেখানে সেখানে ভালোভাবে এপ্লাই করুন। বা লাগিয়ে দিন এরপর ৩০ মিনিট আপনাদের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর গরমের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন আর শীতের সময় হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবে। এভাবে আপনার প্রতিদিন ব্যবহার করতে থাকুন দেখবেন আপনার ত্বকের ব্রণ ম্যাজিকের মত দূর হয়ে যাচ্ছে। আপনারা ধৈর্যের সহিত ব্যবহার করে দেখেন ব্রণ ভালো হবে ইনশাল্লাহ। আর আপনারা এই প্যাকটি তৈরি করে ৩ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন নরমাল ফ্রিজে রেখে।
এক রাতেই ব্রণ পালাবে
ব্রণ (Acne) দূর করার জন্য সঠিক উপায়ে রূপচর্চা করা জরুরি। নয়তো ভুলভাল উপায়ে যতœ নিলে তা আপনার ত্বককে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আপনি যদি ব্রণ নিয়ে সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি দূর করার সঠিক উপায় জানা জরুরি। ইন্টারনেটে আপনি অনেক ধরনের সমাধান খুঁজে পাবেন, তবে সবগুলো আপনার জন্য সহায়ক না-ও হতে পারে। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়-
মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য মুলতানি মাটি ব্যবহার একটি ভালো উপায় হতে পারে। আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব হলে দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যা। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে মুলতানি মাটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সেই পেস্ট মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে কাজ করে।
শসার রসের ব্যবহার
শসা কেবল খেলেই উপকার পাওয়া যায় না, এটি ত্বকে ব্যবহার করলেও দারুণ উপকার পাবেন। এর রস আমাদের ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করার ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী। দিনশেষে বাড়িতে ফিরে শসার রস মুখে লাগিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। এর রস দিয়ে আইস কিউব তৈরি করেও রাখতে পারেন। এতে ব্রণের পাশাপাশি ওপেন পোরসের সমস্যাও দূর হবে।
চন্দনের গুঁড়া ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
ব্রণ দূর করার কাজে অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো কাঁচা হলুদ ও চন্দনের গুঁড়া। এক্ষেত্রে দুটি উপাদানই সম পরিমাণ নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ব্রণের পাশাপাশি ব্রণের দাগও দূর করবে।
মধু ও আপেলের ব্যবহার
মধু ও আপেলের মিশ্রণ ব্যবহার করে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করা যেতে পারে। সেজন্য প্রথমে আপেলের পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে মেশাতে হবে ৪-৬ ফোঁটা মধু। মুখে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বক টানটান করে এবং গায়ের রং উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
নিমের পেস্ট ব্যবহার
নিমপাতা নানা ধরণের সংক্রমণ রোধে কাজ করে। এই পাতার তৈরি পেস্ট ব্রণের উপর লাগালেও মিলবে উপকার। আবার চাইলে এর সঙ্গে অ্যালোভেরাও যোগ করতে পারেন। নিমপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা যোগ করে নিন ভালোভাবে। এরপর সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে নিন।
তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতা কেবল শরীর সুস্থ রাখতেই কাজ করে না, এটি ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করে। ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই পাতা। তুলসী পাতা বেটে নিন। এরপর তার সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার জন্য ৫ টি সেরা প্রাকৃতিক উপায়
একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করুন অপরিশোধিত আপেলের রস ফারমেন্ট করা বা গাঁজানো হলে আপেল সিডার ভিনিগার পাওয়া যায়।
একটি জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট নিন মধু এবং দারুচিনি মাস্ক দাগছোপের জন্য টি ট্রি অয়েল আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর করার জন্য ৫ টি সেরা প্রাকৃতিক উপায়ঃ
- একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করুন অপরিশোধিত আপেলের রস ফারমেন্ট করা বা গাঁজানো হলে আপেল সিডার ভিনিগার পাওয়া যায়।
- একটি জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট নিন
- মধু এবং দারুচিনি মাস্ক
- দাগছোপের জন্য টি ট্রি অয়েল
- আপনার ত্বকে গ্রিন টি প্রয়োগ করুন
ব্রণের কারণ
নানা কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার যাদের ত্বক তৈলাক্ত ধরনের, তাদের ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যা বেশি হতে পারে। আমাদের ত্বকে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে সেবাম উৎপাদন হয় তখন ত্বকরন্ধ্র বদ্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্রণ দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
২৪ ঘণ্টায় ব্রণ কমাতে বরফ ব্যবহার করুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রণ দূর করতে চাইলে বরফের সাহায্য নিতে পারেন। নরম কাপড়ে বরফের টুকরো পেঁচিয়ে নিন। কাপড়টি আলতো করে ব্রণের ওপর রাখুন। ২০ সেকেন্ড রেখে সরিয়ে নিন। আবার রাখুন। এভাবে বেশ করেকবার করুন। ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ট্রিটমেন্টটি করলে ব্রণ কমে আসবে।
দ্রুত ব্রণ কমাবে টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলকে ব্রণের শত্রু বলা যায়। এটা দ্রুত ব্রণ কমিয়ে দেয়। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল ব্রণের ওপর লাগিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে জেগে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ কমে গেছে।
রাতারাতি ব্রণ দূর করে লেবুর রস
লেবুর রস মাখিয়ে রাতারাতি ব্রণ দূর করা যায়। সে জন্য একটি তুলার বল নিন। তাতে লেবুর রস মাখান। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে তুলাটি ব্রণের ওপরে কিছুক্ষণ রাখুন। সকালে সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
মুখের ব্রণ তাড়াতাড়ি কমায় ডিম
ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যামিউনো অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদানগুলো ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে তাড়াতাড়ি ব্রণ কমিয়ে দেয়। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে তা আঙুলের ডগার সাহায্যে ব্রণের ওপর লাগান। ৪-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি ঃ
মুখে ব্রণ দূর করার উপায় কি?
ব্রণ দূর করার উপায়ঃ
- ব্রণের কারণ নানা কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ ব্রণ দূর করার জন্য প্রথমে মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- চন্দন ব্যবহার চন্দনের রয়েছে অনেক গুণ।
- হলুদের ব্যবহার ত্বকের যত্নে হলুদের উপকারিতার কথা সবারই জানা।
- নিমের পেস্ট ব্যবহার
- তুলসী পাতার ব্যবহার
ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?
তেলতেলে ব্রণয় ভরা ত্বকের জন্যঃ তেলতেলে ব্রণয় ভরা ত্বকের জন্য সেরা ৫টি ফেসওয়াশ সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ, পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লোডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং, ফোমিং ওয়াশল্যা কমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো কিউয়ি ক্রাশ জেল ফেসওয়াশ, পন্ড'স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ।
ব্রণের জন্য কি ক্রিম ভালো?
ব্রণ দূর করার সহজ ও কার্যকরী ক্রিমের নাম!
- নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম
- নোভাক্লিয়ার একনি ক্লিনজার
- নরম্যাকনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেল
- নরম্যাকনে একনি স্পট ট্রিটমেন্ট
- ডার্মাডিকস অ্যান্টি-একনি সিরাম
- ওয়ান নাইট একনি প্যাচ
ব্রণের জন্য কোন পণ্য ভালো?
15 best products for acne-prone skin, according to experts
স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেনজয়াইল পারক্সাইড এবং অ্যাডাপালিন ব্রণ-প্রতিরোধী উপাদান হতে পারে যদি আপনি ব্রণ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
হঠাৎ মুখে ব্রণ কেন হয়?
আপনার ত্বকের অত্যধিক সিবাম (তেল) তৈরির কারণে ব্রণ হয় , যা মৃত ত্বকের কোষগুলির সাথে ছিদ্রগুলিকে আটকে রাখে - যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত জায়গা করে তোলে। হরমোন, পারিবারিক ইতিহাস এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ব্রণ বিকাশে ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে।
ব্রণ দূর হয় না কেন?
আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারা নির্ধারিত কিছু ব্রণের চিকিত্সা ব্যবহার করা আপনার এখনও ব্রণ থাকার কারণ হতে পারে । দিনে দুবার এবং ঘামের পরে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ-প্রবণ ত্বক সংবেদনশীল। দিনে দুবারের বেশি ধোয়া আপনার ত্বককে জ্বালাতন করতে পারে, ব্রণকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
শেষ কথাঃ ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে
উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘ব্রণ দূর করার আধুনিক ও ঘরোয়া উপায়-এক রাতেই ব্রণ পালাবে’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
ক্যাপশন