অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন এর সকল কিছুর বিস্তারিত আলোচনা করবো। অ্যালোভেরা বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারী। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ। ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। চুল ও ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও উপকারী এ উদ্ভিদ।        

অ্যালোভেরা এক ধরণের আয়ুর্বেদিক ঔষুধ। এটি অনেক রোগ নিরাময়ে করতে সক্ষম । অ্যালোভেরা এর গুণাবলীর জন্য খুব জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা ভারতের সাথে বহু দেশে এলোভেরা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ। এর পাতা কেটে দেওয়া এটিকে জেল বের করা হয়। এটি অনেক মারাত্মক রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া এটি কুষ্ঠরোগও  নিরাময় করতে সক্ষম।  এই নিবন্ধে আপনি অ্যালোভেরার লাভ এবং অসুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। 

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন জেনে নিন

এই আর্টিকেলে পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা, অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন, রাতে এলোভেরা ব্যবহার,চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। 

পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা

যদি শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই এলোভেরা চুল খাওয়া শুরু করুন। এই এলোভেরা খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে বয়স ছাপ পরবে না। আর যৌবন ধরে রাখতে ও সাহায্য করবে। এখন পুরুষদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তারা যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেতে পারে তাহলে তাদের ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর এবং কোমল থাকবে ।

এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে , এবংত্বকের সকল সমস্যা দূর করতে এলোভেরা ভীষণ উপকারী। আর এই প্রাকৃতিক উপাদানটি কাজে লাগিয়ে আরো শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম অনুসারে সময়মতো খেতে হবে তাহলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।

পুরুষদের অ্যালোভেরার উপকারিতা জেনে নিনঃ

(১) এলোভেরা টক্সিন নির্মূল করতে সাহায্য করেঃ যদি আপনাদের শরীরে টক্সিন এর মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে তাহলে আস্তে আস্তে আপনাদের শরীরের অঙ্গ-পতঙ্গ অচল ও প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। আর অ্যালোভেরা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিজেনের পরিমাণ এত বেড়ে যায় যে শরীরের মধ্যে কোনায় কোনায় থাকা টক্সিন বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এবং আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে আপনাকে আরো শক্তিশালী এবং কর্মার্থ করে তুলে।

(২) হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়াতেঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে,এলোভেরার জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রভাব বাড়তে থাকে, এর ফলে আপনাদের সমস্ত শরীরের কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায় তার পাশাপাশি আপনাদের হার্টের কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এবং তার ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা রাশ পাই । এর এবং হাতের যে কোনো সমস্যা বা রোগ থেকেও মুক্তি মিলে ।ফলে আপনাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

(৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আপনি যদি সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে চান। যদি মনে করেন যে আপনার অসুখ বিসুখ কম হোক। তাহলে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত এলোভেরার জুস খান। কারণ এলোভেরার জুস খেলে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সর্দি-কাশি জ্বর এবং ছোট বড় সকল অসুখ আপনাকে সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। সে সাথে সংক্রমণে আক্রান্ত হবারও সম্ভাবনা কমে যায়।

(৪) বয়স কমাতেঃ অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ,ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন এ আমাদের ত্বককে ভিতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এলোভেরা ভিটামিন বি এবং বিটা ক্যারোটিনের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ । যা আপনাদের ত্বককে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ফলে আপনাদের ত্বকের ওপর পড়া বয়সের ছাপ এবং বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা পাপায়েন নামক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে ত্বককে ভেতর থেকে টানটান করতে সাহায্য করে। আর এর ফলে আপনাদের ত্বক থাকবে অনেক সুন্দর এবং আপনি সবসময় থাকবেন চির তরুণ।
(৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেঃ আপনাদের শরীরে যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে। তাহলে নিয়মিত এলোভেরা খাওয়ার ফলে আপনার পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে এলোভেরা জুরি মেলে ভার। তাছাড়াও লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে, এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তারা নিয়মিত এলোভেরা জুস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। অনেক গরমে আপনাদের শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এলোভেরার জুস ভীষণ উপকারী। স্কিন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

(৬) ওজন কমাতেঃ এলোভেরার মধ্যে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা আপনাদের শরীরের বাড়তি মেদ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এলোভেরার মধ্যে রয়েছে খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দ্রুত ওজন কমাতে ও ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে। কারণ ক্ষুধা কম লাগলে খাওয়া কম হয় এর ফলে ওজন ও কমে যায়।

অ্যালোভেরার  আরো কিছু উপকারিতা

  • অ্যালোভেরাতে থাকা ল্যাকটেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ায়। অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।
  • এটির ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
  • দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
  • বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায়।
  • অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
  • অ্যালোভেরার আঠালো রস খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে পারে।
  • অ্যালোভেরার উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
  • অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যালোভেরার উপাদানগুলো হাড় ও মাংসপেশীকে শক্তিশালীকে করে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
  • ত্বকের র‍্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করে অ্যালোভেরা জেল। এই জেল ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
  • চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকের চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকি দূর করে।
কীভাবে খাবেন
অনেকেই জানেন না অ্যালোভেরা কীভাবে খেতে হবে। এটি জুস বা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। অ্যালোভেরা কিউব করে কেটে সালাদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্মুদি বা শরবতে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন এই কিউব।

সতর্কতা
  • অ্যালোভেরা খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা ও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  • নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরা রাখতে চাইলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।  

রাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার

আপনাদের ত্বককে ভালো রাখতে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অ্যালোভেরার ফেসিয়াল ব্যবহার করে ঘুমাতে যান। এতে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল অথবা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি বাড়িতে বসেই রাতে শোবার আগে এলোভেরা দিয়ে ফেসিয়াল প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন । অ্যালোভেরা আপনাদের ত্বকের নানা রকম সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যারা এলোভেরা ব্যবহার করেননি তারা অবশ্যই এলোভেরা ব্যবহার করে দেখবেন যে অ্যালোভেরা আপনাদের ত্বকে জাদুর মত কাজ করছে।

রাতে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়মঃ ত্বকে ব্যবহারের জন্য গাছের টাটকা পাতা বেশি উপকারী আর যদি না থাকে তাহলে কেনা অ্যালোভেরা জেল ও নিতে পারেন।এলোভেরা হলো ত্বকের যতেœ অনেক ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান। রাত্রে আপনি এই অ্যালোভেরার ফেসিয়াল প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বকের কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ, বয়সের ছাপ দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।

প্যাক তৈরিঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামচ এলোভেরা জেল, হাফ চামচ হলুদ গুঁড়া, বা কাঁচা হলুদ ,হাফ চামচ জাফরান, এক চামচ টক দই এবং এক চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাতে হবে যেন ক্রিমের মত হয়ে যায়। এরপর আপনি রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে ত্বক ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিবেন।

এরপর এই প্যাকটি সমস্ত ত্বকে অ্যাপ্লাই করে, এক ঘন্টা রেখে দিবেন এক ঘন্টা পর ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এভাবে আপনারা সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করবেন দেখবেন এই ফেসিয়াল প্যাকটি আপনার ত্বককে কত সুন্দর করে তুলছে। যে কোন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ব্যবহার করলে ধৈর্যের সহিত ব্যবহার করবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

অ্যালোভেরার অপকারিতা

আমাদের মধ্যে এমন কোন মানুষ নেই যে এলোভেরা সম্পর্কে জানেনা ধারণা রাখেনা। এলোভেরার গুণাবলীর জন্য এলোভেরার চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু অ্যালোভেরাই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর অপকারিতা ও রয়েছে। আর এলোভেরা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাই কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। আর যদি আপনাদের খাওয়ার পর কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ডাক্তার যদি আপনাকে খেতে নিষেধ করে তাহলে খাবেন না।

এলোভেরা পাতা যখন আপনারা কাটেন তখন সেটা থেকে এক ধরনের কস বের হয়। সেই কস আপনাদের ত্বক এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই এলোভেরা ত্বকের ব্যবহার করুন বা খান সেটাকে ছোট টুকরা করে কেটে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপরে ব্যবহার করবেন যেন কস বের হয়ে যায়।
অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে খাবেন না কারণ এলোভেরা রক্তের বৃদ্ধি করে আর এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো এলোভেরা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভবতী অবস্থায় এই অ্যালোভেরা না খাওয়াই ভালো কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
অ্যালোভেরার রস বা জুস অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরার জুস খেলে আপনাদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে গ্যাস্টিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, এর ফলে আপনাদের মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা এলোভেরা খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ মতো খাবেন।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক

এলোভেরাতে রয়েছে হাজার ও ঔষধি গুণ। অ্যালোভেরা শুধু ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে না। এটা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। এটা চুল সিল্কি এবং ঝলমলে করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি চুলের গোড়ায় থাকা খুশকি দূর করে , চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই আজ আমি আপনাদের এলোভেরা দিয়ে ত্বকের যতœ এলোভেরার উপকারিতা বিভিন্ন উপায় জানিয়েছি। এখন আমি আপনাদের অ্যালোভেরা কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন, সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানানোর চেষ্টা করব। ভালোভাবে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

(১) একটি পাত্রে ৩ চামচ এলোভেরা জেল, ২ চামচ মধু এবং হাফ কাপ টক দই নিয়ে এক সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ।৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার চুল অনেক ঝলমলে এবং মসৃণ হবে।.

(২) একটি পাত্রে ৪ চামচ এলোভেরা জেল, চার চামচ পেঁয়াজের রস একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ফুলের গোড়ায় গোড়ায় ব্যবহার করুন এবং ৩০ মিনিট পর চুল ভাবলো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এবং নতুন ভাবে চুল গজাতে তৈরি হতে সাহায্য করবে।

(৩) গোসলের সময় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো শ্যাম্পু এবং তিন চামচ এলোভেরা জেল একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মাসাজ করে ব্যবহার করুন। এবং পাঁচ মিনিট রেখে দিয়ে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল অনেক ঝলমলেও সুন্দর হবে।

(৪) অ্যালোভেরার পাতা কেটে ১০ মিনিট পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন এবং পাতা থেকে জেল বের করে ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে তার সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে স্প্রে করুন। এতে আপনাদের চুল ইস্টেট এবং সিল্কি হতে সাহায্য করবে।

(৫) ভালোভাবে চুল শ্যাম্পু করে নিবেন। এরপর একটি বাটিতে নারিকেলের তেল, নারিকেলের দুধ এবং টক দই নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগাবেন। চুল সতেজ থাকবে এবং মজবুত হবে।  

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যেমন-   
  • অ্যালোভেরার পুষ্টিকর উপাদান এবং খনিজ কী? What are the Nutrients and Minerals Found in Aloe Vera in Bengali.
  • অ্যালোভেরার লাভ কী? What are the Benefits of Aloe Vera in Bengali.
  • অ্যালোভেরার অসুবিধাগুলি কী কী? What are the Side-effects of Aloe Vera in Bengali.

অ্যালোভেরার পুষ্টিকর উপাদান এবং খনিজ কী? What are the Nutrients +and Minerals Found in Aloe Vera in Bengali.

অ্যালোভেরায় ভিটামিন এ (বিটা-ক্যারোটিন), সি, ই, ফলিক অ্যাসিড এবং কোলিন সহ অল্প পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মুক্ত র‌্যাডিক্যাল এর  বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। এটি শরীরের জন্য উপকারী।

অ্যালোভেরার লাভ  কী? What are the Benefits of Aloe Vera in Bengali.
অ্যালোভেরার নিম্নলিখিত সুবিধা থাকতে পারে।
পিম্পলস দূর করতে – ত্বকে অতিরিক্ত তেল থাকার কারণে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণর সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অ্যালোভেরা জেল দিনে দুবার ব্যবহার করা উচিত। এটি করে, পিম্পল ধীরে ধীরে অদৃশ্য হতে শুরু করে। 

ত্বকের জন্য – অ্যালোভেরা জেল ত্বক সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার জন্য খুব উপকারী। অ্যালোভেরা জেল ত্বক কে  হাইড্রেটেড এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি ত্বকের পোড়া, ক্ষত, দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এগুলি ছাড়াও এটি ত্বকের সংক্রমণও নিরাময় করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য – কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যা নিয়ে সবাই চিন্তিত। এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য অ্যালোভেরার রস পান করা  উচিত, এটি ব্যক্তিকে মল পাস করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে অ্যালোভেরার রস পান করুন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পান। 

ওজন হ্রাসে – আপনার বর্ধিত ওজন কমাতে অ্যালোভেরার রস প্রতিদিন খাওয়া উচিত। অ্যালোভেরার জুসে এমন কিছু খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্যাট কমায়। এলোভেরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে – শরীরে কোলেস্টেরল থাকা প্রয়োজন। তবে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকার কারণে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের ক্ষতি করে। অ্যালোভেরা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।

অ্যালোভেরার অসুবিধাগুলি কী কী? What are the Side-effects of Aloe Vera in Bengali
অ্যালোভেরার অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে এই সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
অ্যালোভেরা লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।  যদি কোনও ব্যক্তি অ্যালোভেরার রস পান করতে চান তবে প্রথমে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন কারণ এর রসগুলিও ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরার রস ব্যবহার এড়ানো উচিত। কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • অ্যালোভেরা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়, এটি রক্তের বৃদ্ধি করে । তবে পাশাপাশি এটি কিডনির ক্ষতি করে।
  • অ্যালোভেরার রস বেশি পরিমাণে খাবেন না, কেবলমাত্র এটি ডোজ হিসাবে গ্রহণ করুন, অন্যথায় ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে যদি কোনও স্বাস্থ্য অনিয়ম হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ করুন এবং আপনার নিকটস্থ সাথে যোগাযোগ করুন। 

অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ

অ্যালোভেরা নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস। এটিতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩,বি৬,ও ভিটামিন বি১২ রয়েছে।  

শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এ ছাড়াও ফলিক এসিড, কোলিন, ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

উপকারী অ্যালোভেরার কিছু মারাত্মক ক্ষতিকর দিক  

বাংলায় ‘ঘৃতকুমারী’ আর ইংরেজিতে অ্যালোভেরা নামে পরিচিত এই উদ্ভিদের অনেক উপকারিতা। যার ব্যবহার বহু যুগ আগে থেকেই। অনেক গুণের কারণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে মানুষ পেয়েছেন নানা রোগের সমাধানও। কিন্তু এর রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও, যা অনেকেই জানে না।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, এই উদ্ভিদটি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব অনেক। অ্যাজমা, ড্যানড্রাফ, সেরিয়াসিসের মতো রোগগুলোর জন্য স্কিন কেয়ার চিকিৎসাগুলোতে অ্যালোভেরা খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া রসালো এই উদ্ভিদের পাতায় রয়েছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ যা মানবদেহের জন্য যে ২২টি এমিনো অ্যাসিড প্রয়োজন সেগুলো এতে বিদ্যমান। সেই সাথে এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি-ওয়ান, বি-টু, বি-সিক্স, বি-ওয়ানটু, সি ও ই। এতো গুণ যে উদ্ভিদের তা কি আবার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? 
চিকিৎসকদের মতে, অ্যালোভেরা জেল তখনই নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে যখন অ্যালোভেরার হলদে যে রসালো পদার্থ বের করা হয় তার সঙ্গে ‘অ্যালো লেটেক্স’নামের ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ল্যাটেক্স অ্যালোভেরার পাতার মধ্যেই থাকে। যা যদি খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। অ্যালো ল্যাটেক্স পেট ব্যথা, র‍্যাশসহ নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর ল্যাটেক্স এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, প্রস্রাবে রক্ত, পটাশিয়ামের ঘাটতি, পেশী দুর্বলতা, ওজন হ্রাস এবং হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা হতে পারে। এমনকি অ্যালো ল্যাটেক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্টও হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার মাধ্যমেও এর ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

অ্যালোভেরার সবুজ পাতাই সেক্ষেত্রে নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। পাতা একটু বেশি পুরাতন হয়ে হলদেভাব এলে তা বর্জন করা উচিত।

ভারতীয় একটি হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান ও পুষ্টিবিজ্ঞানী অমরদ্বীপ করের মতে, অ্যালোভেরা, আমলা এবং নিম শারীরিক জটিলতায় প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তবে এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হলে কিংবা অতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে শরীরে আরো রোগ ব্যাধির বিস্তার ঘটতে পারে।

কেন অ্যালোভেরা খাবেন

অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। অ্যালোভেরার আঠালো রস খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে পারে। অ্যালোভেরার উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।

অ্যালোভেরা (Aloe Vera) বা ঘৃতকুমারী একটি রসালো ক্যাকটাস জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতির কল্যাণে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উন্নত প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে আরো ব্যাপক হারে বিভিন্নভাবে এর ব্যবহারের সুযোগ হয়েছে। তাজা অ্যালোভেরা ছাড়াও প্রসেস করা অ্যালোভেরা জেল (gel), জুস (juice), লোশন (lotion), সাবান ও তেল ইত্যাদি বিভিন্ন অবস্থায় এটি ব্যবহৃত হয়। মেয়েদের রূপচর্চায় এর কদর অনেক। তাই মেয়ে মহলে কমবেশি সবাই এর সম্পর্কে জানে। দুনিয়াব্যাপী ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে অ্যালোভেরা একটি পরিচিত নাম।

পোড়া ঘায়ে এর ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। কোথাও পুড়ে গেলে অ্যালোভেরা গাছ থেকে একটি রসালো পাতা নিয়ে তার সবচেয়ে পুরু অংশের, দুই পাশের সবুজ খোসা ছড়িয়ে এবং নিংড়ে ভেতরের সামান্য জেল বের করতে হবে। এ জেল পোড়া অংশে লাগিয়ে আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ঘষলে ব্যথা ক্রমেই সেরে যায়। দিনে দু-দুবার করে কয়েক দিন অ্যালোজেল মাখলে ঘা ধীরে ধীরে শুকিয়ে আসে এবং পোড়া চামড়া তার আগের রং ফিরে পায়। তেমনি চামড়ার কাটাছেঁড়া ও ঘষা খাওয়া (abrasion) নিরাময়ে এবং চামড়ায় র‌্যাশ (rash) হলেও অ্যালোভেরাতে বেশ উপকার হয়।

ত্বকের সৌন্দর্যচর্চায় অ্যালোভেরার কোনো বিকল্প নেই। অ্যালোজেলের ছোঁয়ায় ত্বক হয়ে ওঠে কোমল, মসৃণ, উজ্জ্বল ও টানটান। অ্যালোভেরায় আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও ২০ প্রকার খনিজ পদার্থ। অ্যালোজেল এসব উপাদানসহ এতটাই সমৃদ্ধ যে, চামড়ার কোলাজেন (collagen) ও ইলাস্টিন (elastin) আঁশগুলো পুনর্গঠিত করে ত্বককে করে সুন্দর, শক্ত ও আকর্ষণীয়। অ্যালোজেল অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে চামড়াকে উজ্জ্বল করে। অ্যালোজেল বার্ধক্য নিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং বয়স ধরে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়। অ্যালোজেল ব্যবহারে মুখের ব্রণ (acne) ও দাগ (blemish) নির্মূল হয়।

অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করলে মাথায় চুলের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস (Aelo juice) পান করলে পেটের অনেক সমস্যা থাকে না। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে অনেক কার্যকর।

অ্যালোভেরা একটি প্রয়োজনীয় ভেষজ উদ্ভিদ। বিভিন্ন উপকারে তা কাজে লাগে। আমাদের প্রত্যেকের বাসায় অন্তত একটি অ্যালোভেরা গাছ থাকা দরকার। একজন হিতকর বন্ধুর মতো বিশেষ সম্পদ হিসেবে নীরবে পাশে থেকে সাহায্য করবে। ইনডোর প্লান্ট হিসেবেও এটি একই সঙ্গে বাসার শোভাবর্ধন করতে পারে। এককথায়, অ্যালোভেরার কোনো তুলনা নেই।

শেষ কথাঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন জেনে নিন

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন জেনে নিন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে- রাতে এলোভেরা ব্যবহার,চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা-কেন অ্যালোভেরা খাবেন, পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা, রাতে এলোভেরা ব্যবহার এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url