পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। অনেক বয়স্ক লোক আছে যারা দীর্ঘদিন ধরে পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে ভুগছেন। কিন্তু কোনো ঔষুধ খেয়ে সমাধান পাচ্ছে না। পায়ের গোড়ালি ফাটা আজকাল যেন একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু বয়স্ক লোক না, ইয়াং জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদেরও পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা যায়। তবে এটি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই আাজকের পোষ্টে আপনাদের জন্য পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই আর্টিকেলটিতে। পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।    


ফাটা গোড়ালি কারোরই ভালো লাগে না। এ কারণে কেউ মোজা দিয়ে লুকিয়ে রাখে, কেউ জুতা পরে। ফাটল গোড়াসি থাকার কারণে, কেউ কেউ আবার খোলা জুতো পরতে পারেন না, হীনমন্যতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোড়ালি ফাটা (Cracked Heels) হলে এতে শুধু আত্মবিশ্বাসই কমে না, এর থেকে আরও নানা সমস্যার জন্ম দিতে পারে।    

পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম

​গ্লিসারিন-ময়েশ্চারাইজার-গ্লিসারিন হল অন্যতম সেরা ময়েশ্চারাইজার, যা ফাটা গোড়ালি (Cracked Heels) দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করতে, একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন নিন এবং তাতে দুই চা চামচ গোলাপ জল যোগ করুন। এর সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মেশান।

একটি ভারী, তেল-ভিত্তিক ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি (ভ্যাসলিন, অ্যাকোয়াফোর হিলিং মলম, অন্যান্য) প্রয়োগ করুন, তারপর ময়শ্চারাইজারকে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য শোবার সময় একজোড়া পাতলা সুতির মোজার উপর স্লিপ করুন। শুষ্ক, ফাটা হিল উপেক্ষা করবেন না, কারণ সময়ের সাথে সাথে আপনার গভীর ফাটল তৈরি হতে পারে, যা আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

গোড়ালি ফাটার জন্য কোন টিউব ভালো?

‘‘অ্যাকোয়াফোর হিলিং মলম’’

"এই মলমটিতে পেট্রোলাটাম এবং গ্লিসারিন রয়েছে, যা শুষ্ক, ফাটলযুক্ত ত্বককে হাইড্রেট এবং রক্ষা করতে একসাথে কাজ করে," বলেছেন ডাঃ অ্যানি চিউ, একজন বোর্ড-প্রত্যয়িত প্রসাধনী এবং সাধারণ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ডার্ম ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা৷

গোড়ালি ব্যথার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যথার ঔষধ কোনটি?
প্রথমে, এটি কয়েক দিনের জন্য পায়ে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে এবং - আঘাতটি কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে - এটির উপর না বা সামান্য ওজন রাখুন। যদি এটি যথেষ্ট না হয়, ব্যথানাশক সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (NSAIDs) যেমন ibuprofen, diclofenac এবং ASA (অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধের ওষুধ)।  

গোড়ালি ব্যথার জন্য কোন ক্রিম ভালো?

Treatment & Home Remedies for Foot & Ankle Pain | Voltaren AU
আপনি ভোল্টারেন ব্যবহার করতে পারেন পায়ের ব্যথার জন্য, পাশাপাশি গোড়ালির ব্যথার জন্য, আপনাকে আবার আনন্দের সাথে চলতে সাহায্য করতে। পায়ের ব্যথা উপশম এবং গোড়ালি ব্যথা উপশমের জন্য Voltaren পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে: Voltaren Emulgel ।  


গোড়ালি ব্যাথার জন্য ‘Krack cream’ এই ক্রিমটিও ব্যবহার করতে পারেন। 

গোড়ালি ফাটার জন্য নিম তেল কি ভালো?
হলুদের সাথে মেশানো নিম পাতার ছত্রাক বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি আপনাকে নরম এবং মসৃণ হিল দিতে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। এমনকি আপনার হিল ফাটা এবং রক্তপাত হলেও নিম এবং হলুদের ভেষজ প্যাক এটিকে মসৃণ করে তুলবে। আপনার গোড়ালিতে হলুদের সাথে নিম বা নিমের তেল মিশিয়ে পেস্ট করুন।

পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

এই আর্টিকেলে পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়, পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়,গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়, শীতে পা ফাটা দূর করার উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়

আমাদের মধ্যে কম-বেশি সবারই এই পা ফাটার সমস্যা রয়েছে। আর এই সমস্যাটা সবচাইতে বেশি শীতের সময় দেখা যায়। আর পা ফাটার ফলে আমাদের পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের আঙ্গুল ফেটে রক্ত বের হতে থাকে এর ফলে আমাদের পায়ে অনেক ব্যথা হয় হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যাটা বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের হয়ে থাকে। কারণ গ্রামের মানুষেরা শীতের সময় বাইরে কাজ করে।
এবং অনেক ময়লা মাটি পায়ে লেগে যাবার ফলে বেশি পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেক সময় অনেক ঠাণ্ডার ফলে পায়ের মশ্চারাইজার কমে যায় এর ফলে পা রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই শীতের সময় পা সহ সমস্ত শরীরের বিশেষভাবে যতœ নেওয়া প্রয়োজন। কথায় আছে যতœ ছাড়া কোন কিছুই অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব হয় না। তাই অবশ্যই আমাদের শীতের সময় হাত পা সহ শরীরের এক্সট্রা কেয়ার করা প্রয়োজন।

শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। এ সময় প্রকৃতির নিয়মেই এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে হাতে-পায়েও।

শীতের রুক্ষতায় অনেকের পায়ের গোড়ালি ফাটতে শুরু হয়। অনেক সময় পায়ের ফাটা গোড়ালি দিয়ে রক্ত ঝরতেও শুরু হয়। অথচ ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
 
চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হচ্ছে, ত্বকের গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ হয়। যেকারণে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবেই থাকে চকচকে ভাব। কিন্তু শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠলে গ্রন্থি থেকে আর তেল নিঃসরণ হয় না। যেকারণে ত্বক ফেটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফাটতে শুরু করে পা-ও।
 
চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে পানির অভাব আর ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া ময়েশ্চারাইজারের অভাব, অতিরিক্ত দূষণের প্রভাবে পায়ের গোড়ালি ফাটতে পারে। একজিমা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের মতো অসুখের কারণেও পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।
 
তবে যে কারণেই পা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিক না কেন সমাধানের উপায় কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে ঘরোয়া উপায়েই। আসুন, একে একে তা জেনে নিই-
 
১। স্ক্রাবিং: পা ফাটা সমস্যার দ্রুত সমাধান পেতে ভালো করে সে স্থান স্ক্রাবিং করে নিন। এর জন্য কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। ত্বক নরম হতে শুরু করলে সুতির কাপড়ে সামান্য পরিমাণ চিনি নিয়ে পা ঘষতে থাকুন। এ স্ক্রাবের মাধ্যমে জমে থাকা ময়লা, ত্বকের মৃত চামড়া দূর হবে।
 
তারপর পায়ে মধু ও অ্যালোভেরা মেশানো পেস্ট লাগিয়ে বসে থাকুন ২ মিনিট। এবার স্বাভাবিক পানিতেই পা ধুয়ে নিয়ে আবারও কুসুম গরম পানিতে দুই ফোটা গোলাপ জল মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১ মিনিটের মতো।
 
২। ময়েশ্চারাইজার: স্ক্রাবিং হয়ে গেলে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। এতে পা কোমল থাকবে। তবে খেয়াল রাখবেন, ময়েশ্চারাইজার পায়ে ব্যবহার করার পর হাঁটা চলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে ময়েশ্চারাইজার পায়ে বেশি সময় স্থায়ী থাকতে পারে না। যদি হাঁটা চলা করতেই হয় তবে পায়ে মোজা পরে নিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সেরা সময় হলো রাত। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রাব করে পায়ে মেখে নিন ময়েশ্চারাইজার।
 
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পায়ে মাখতে পারেন-
 
১। নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগানও দেয়। একইসঙ্গে ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো সরিয়ে ত্বককে আরও সজীব করে তোলে।
 
পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠেকাতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল সামান্য কুসুম গরম করে নিন। এরপর পুরো পায়ে ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত এ উপায় মেনে চললেই শীতজুড়ে পা ভালো থাকবে।
 
২। পেট্রোলিয়াম জেলি: পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এটি শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, ত্বককে রাখে নরম। এটি ফাটা গোড়ালি সারিয়েও তোলে দ্রুত। তবে দ্রুত উপকার পেতে কুসুম গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজের পর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাবেন। প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চললে মাত্র ১ সপ্তাহেই গায়েব হয়ে যাবে পা ফাটা সমস্যা

শীতে আমরা যেভাবে পা ফাটা দূর করবঃ
 
(১) শীতের সময় আপনারা যখন গোসল করেন। তখন গোসল করার সময় আপনারা কুসুম গরম পানির সঙ্গে তিন চামচ নারিকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে একটি গামলার মধ্যে নিয়ে দুই পা তিরিশ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবং ৩০ মিনিট পর একটি খসখসে কালো ইটের টুকরো অথবা বাজারে পা পরিষ্কার করার জন্য যে কোন জিনিস দিয়ে আপনি ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন।
এরপর -পা ভালোভাবে ধুয়ে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন দিন বা পরিষ্কার করলে আপনাদের পা ফাটার সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এবং আপনাদের পায়ের উজ্জ্বলতা ও বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনারা অবশ্যই গোসলের আগে এটি ব্যবহার করে দেখবেন আপনারা অনেক উপকার পাবেন।

(২) পা ফাটা ভালো করার জন্য আমি আপনাদের একটি প্যাক তৈরির নিয়ম জানাবো।যেটা ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনাদের হাত পা ফাটা বন্ধ হবে।ও হাত পা মশ্চারাইজার থাকবে এবং হাত পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। একটি পাত্রে ৫ চামচ চালের গুড়া, তিন চামচ মধু, তিনটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল, তিন চামচ গ্লিসারির এবং এক চামচ শ্যাম্পু এবং পরিমাণমতো কুসুম গরম দুধ দিয়ে মিশ্রণ গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে সমস্ত পায়ে এবং হাতে যেখানে যেখানে ফাটা রয়েছে অথবা ফাটা না থাকলেও ব্যবহার করতে পারবেন এরপর ৩০ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট পর, হালকা হাত ভিজিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।এবং দেখুন আপনার পায়ের যত ময়লা বের হয়ে গেছে এবং অনেক মশ্চারাইজার হয়েছে এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে। চিরদিনের জন্য আপনাদের পা ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।

গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়

আমরা সব সময় মনে করি যে শীতের সময় শুধু পা ফাটে কিন্তু গরমের সময়ও অনেক মানুষ আছে যাদের হাত-পা অনেক রুক্ষ তাদের পা ফেটে যায়। কিন্তু অনেকে মনে করে যে গরমের সময় পা হাটে না সেজন্যে পায়ের যতœ নেয় না এর ফলে পা ফেটে পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এবং পা একদম খসখসে হয়ে পড়ে। তাই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে গরমের সময় কিভাবে পায়ের ফাটা দূর করবেন সেই বিষয়েই আমি আপনাদের সুন্দরভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আর গরমের সময় পা ফাটা বন্ধ করতে চাইলে অবশ্যই আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন তাহলে সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।    
স্ক্রাবিং: পা ফাটা সমস্যার দ্রুত সমাধান পেতে ভালো করে সে স্থান স্ক্রাবিং করে নিন। এর জন্য কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। ত্বক নরম হতে শুরু করলে সুতির কাপড়ে সামান্য পরিমাণ চিনি নিয়ে পা ঘষতে থাকুন। এ স্ক্রাবের মাধ্যমে জমে থাকা ময়লা, ত্বকের মৃত চামড়া দূর হবে।

গরমের সময় খুব কম পা ফাটে আবার অনেকের শীতে এবং গরমে সবসময়ই এই সমস্যা দেখা দেয়। আর এ পা ফাটা কমানোর জন্য আপনারা আপনাদের পায়ের অনেক যতœ নিবেন। এবং সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে তাহলে আপনাদের পা ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে ও পা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে আর যদি কারো অতিরিক্ত পা ফাটে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে পারেন।

তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় যা পা ফাটা বন্ধ হতে সাহায্য করে। তাই আপনারা ইচ্ছে করলে বিভিন্ন উপায়ে এই পা ফাটা রোধ করতে পারেন। আর সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো আপনাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে পা যেন সব সময় মশ্চারাইজার অথবা নরম থাকে এতে আপনাদের পা ফাটা বন্ধ হবে।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যে,পা ফাটার কারণে অতিষ্ট হয়ে যায়। আর এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পাই না তাই আপনারা চাইলে আজ এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে অনায়াসে পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারবেন। নিচে যে সকল নিয়মগুলো বলা হয়েছে, এইভাবে ব্যবহারের ফলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তাই আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলে সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন।
  • আপনি যখন গোসল করবেন তখন অবশ্যই ধুন্দল-এর খোসা ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে ঘষে ঘষে পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করবেন এতে আপনাদের পায়ের ফাটার মধ্যে যে ময়লা থাকে তা বেরিয়ে আসবে এবং পা ফাটা কমাতে সাহায্য করবে।
  • তারপর গোসল শেষে গ্লিসারিন দিয়ে পায়ের গোড়ালি হালকা হাতে মাসাজ করে ব্যবহার করবেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এলোভেরা জেল গ্লিসারিন এবং অলিভ অয়েল এর সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে পায়ের ফাটা জায়গায় মাসাজ করুন। এতে আপনাদের পা ফাটা কমে যাবে এবং পা মশ্চারাইজার থাকবে।
  • সন্ধ্যার সময় একটি পাত্রে কুসুম গরম পানি এবং ৫ চাম চ নারিকেল তেল দুই চামচ গ্লিসারিন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে এক ঘন্টার জন্য পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে এভাবে আপনারা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করবেন তাহলে আপনাদের পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • একটি পাত্রে তিন চামচ মধু এবং দুই চামচ সাদা তিল বাটা অথবা কালো তিল হলেও হবে ও এক চামচ এলোভেরার পাতা বাটা সকল উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ফাটা স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে নিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবং ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অলিভ অয়েল তেল ফাটা স্থানে লাগিয়ে রাখবেন অনেক ভালো কাজ করবেন।
  • বাইরে থেকে আসার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু অথবা সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে পা পরিষ্কার করে ফাটা স্থানে লোশন অথবা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিন।
  • আর সব সময় চেষ্টা করবেন পায়ের গোড়ালি যেন মশ্চারাইজার থাকে এর ফলে পা ফাটার সম্ভাবনা কমে যায়।
পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সংক্ষেপে
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা বাইরের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চায় না আবার অনেক মানুষ আছে পা ফাটা ভালো করার জন্য বাইরের প্রোডাক্ট কিনার সামর্থ্য থাকে না সেক্ষেত্রে আপনারা পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
আর পায়ের গোড়ালি ফাটা ভালো করতে আপনার হাতের কাছেই অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা অনায়াসে আপনার পায়ের গোড়ালি ফাটা বন্ধ করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে আপনাদের কিছু উপায় সম্পর্কে জানাবো যা আপনাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
একটি পাত্রে এক কাপ গরুর দুধ, ২ চামচ গ্লিসারিন এবং দুই চামচ মধু ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে ফোটানো হয়ে গেলে সহ্য করার মতো গরম অবস্থায় মিশ্রণটি আপনার পায়ের ফাটা স্থানে অথবা যেখানে যেখানে ফেটে যায়, সেখানে সেখানে ভালোভাবে লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর একটি পাত্রে কুসুম গরম পানি এবং শ্যাম্পু গুলিয়ে একটি পা ঘষা দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন এভাবে আপনারা এক সপ্তা করে দেখবেন আপনার পা ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।

পা ফাটার  ‍উল্লেখযোগ্য  স্থায়ী সমস্যা-সমাধান

শীতে পা ফাটার সমস্যা নতুন কিছু নয়। শুষ্ক হাওয়ায় এই সমস্যা আরো বাড়তে থাকে, তখন খোলা স্যান্ডেলে ফাটা গোড়ালি দেখিয়ে চলা মুশকিল। তাই ত্বকের বিশেষ যতœ শীতের শুরু থেকেই নেয়া দরকার।

শীতে পা ফাটার সমস্যা নতুন কিছু নয়। শুষ্ক হাওয়ায় এই সমস্যা আরো বাড়তে থাকে, তখন খোলা স্যান্ডেলে ফাটা গোড়ালি দেখিয়ে চলা মুশকিল। তাই ত্বকের বিশেষ যতœ শীতের শুরু থেকেই নেয়া দরকার। শীতে ময়েশ্চারের অভাবে হাত ও পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। ফলে পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। সুন্দর সাজ, দারুণ হেয়ারস্টাইল আর দামি কাপড়ও ফাটা গোড়ালি দেখা গেলে সবই মাটি হয়ে যায়। তাই পায়ের বিশেষ যতœ নিতে শুরু করুন।

পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে গোসলের সময় বিশেষ যত্ন নিন। গোসল করার সময় ‘ধুন্দল’-এর খোসা ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করুন। এছাড়া পিউমিস থাকলে তো আরো ভালো। চেষ্টা করবেন পায়ের গোড়ালি নরম করে রাখার, অয়েলি জেল ক্রিম লাগিয়ে রাখুন। তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল তো থাকেই তা পায়ের পাতা ও গোড়ালি ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। ত্বক নরমের জন্য তিল তেল বা আমন্ড তেল ভালো। সরষের তেলও লাগাতে পারেন।  শুধু গোসলের সময় নয়, বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করে নিন। এরপর শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে চেপে পানি মুছুন। এবার ময়েশ্চারাইজার বা ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন। এর পাশাপাশি ফুট স্ক্র্যাবার ও ফুটমাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে বসে হাতের কাছের কিছু জরুরি জিনিস যে হলুদ, দই, দুধের সর, বেসন দিয়েও গোড়ালির যতœ নিতে পারেন। ফুট স্ক্র্যাবিংয়ের মাধ্যমে শুরু করুন পায়ের যতœ।

একটি পাত্রে ঈষদুষ্ণ পানি, আধা চা-চামচ নারকেল তেল, সামান্য লবণ দিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার একটা পিউমিস স্টোন দিয়ে গোড়ালি ও পায়ের পাতা ভালো করে ঘষে নিন। আর পায়ের ফাটা অংশে ময়লা জমলে দু-তিন চা-চামচ চালের গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও ভিনেগার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে কিছুক্ষণ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে গোড়ালির ডেড সেল ও ধুলো-ময়লা সহজে চলে যাবে। তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড়ে মুছে জেল বা ক্রিম লাগান। পা ফাটার সমস্যা কেটে যাবে।

পা ফাটা কমার সঙ্গে সঙ্গে পায়ের ত্বক নরম ও মসৃণ করতে হবে। শীতে ত্বক নরম রাখতে প্রয়োজন ময়েশ্চার। সুন্দর নরম গোড়ালির জন্য বাড়িতে বেসনের সঙ্গে দুধের স্বর, মধু, হলুদ বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে পারেন। গোড়ালিতে এই পেস্ট লাগিয়ে ভেজা হাত দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এর পাশাপাশি, পাকা কলা ভালো করে চটকে নিয়ে এতে সামান্য নারকেল তেল ও দুধের স্বর মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে গোড়ালিতে লাগান। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া গোলাপজল আর, গ্লিসারিন মিশিয়েও লাগাতে পারেন।    

ঈষদুষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রিল্যাক্স করুন। ক্লান্তি দূর হবে সারাদিনের। আবার গোড়ালিতে জমে থাকা ধুলো-ময়লা সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর ক্রিম, জেল বা লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করুন। অতিরিক্ত ক্রিম থাকলে পাতলা কাপড়ে চেপে মুছে নিন। ক্রিমের বদলে পেট্রোলিয়াম জেলি বা এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পা ফাটার অংশে লাগিয়ে যত্ন নিলে এ সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

শেষ কথাঃ পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়’ এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। পায়ের গোড়ালি ফাটার ক্রিম - পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url