ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - driving license check 2025

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - driving license check 2025 নিয়ে সম্পূর্ন পোষ্টটি বিশদভাবে আলোচনা করবো। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩টি মাধ্যমে Driving License check চেক করা যায়। খুব অল্প সময়ে ঘরে বসে নিজে নিজেই চেক করতে পারবেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025 চেক করার নিয়ম। চলুন জেনে নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025 চেক করার নিয়ম।         
 
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025 করতে এখন আর BRTA সার্কেল অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইনের এই যুগে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন যেমন অনলাইনে করতে হয়, তেমনি আবেদন প্রক্রিয়ার সমস্ত কাজ শেষ করার পর অনলাইনের মাধ্যমেই জানা যাবে কবে নাগাদ লাইসেন্সটি হাতে পাওয়া যাবে।   

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - driving license check 2025

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। আর নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্ট্যাটাস বা অবস্থা কিভাবে জানা যাও তাও আলোচনা করা হবে। তো চলুন শুরু করা যাক,ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - driving license check 2025 চেক করার নিয়ম। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক- driving license check 2025 চেক করার নিয়ম  

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া খুব জটিল। কিন্তু নিজে একটু কষ্ট করলে সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়। এতে কোন দালালের প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজন ইচ্ছা, সাহস ও একটু পরিশ্রমের।

ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাইয়ের জন্য আপনার মোবাইলের মেসেজ আপশনে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর [যেমন: DK023456L00001 ] লিখে 01912263311 এ মেসজ পাঠিয়ে দিলেই ২- ৫ মিনিটের মধ্যেই ফিরতি মেসেজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য পেয়ে যাবেন ।   

আরো পড়ুনঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক-পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় ধৈর্য সহকরে অপেক্ষা করতে থাকি কবে পাবো আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স। এসময় আমরা অনেকেই জানার চেষ্টা করি যে, লাইসেন্সটি কি অবস্থায় রয়েছে।

এছাড়া অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করতে হয় যে, সেটি ভূয়া কিনা। বিশেষ করে ড্রাইভিং চাকরীর ক্ষেত্রে লাইসেন্স চেক করা একান্ত জরুরী।

এসব বিষয়কে সামনে রেখে BRTA বা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে বিআরটিএ) ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা যাচাই করার ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই প্রক্রিয়া আগের থেকে অনেক সহজ ও দ্রুত হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025 করার মাধ্যম 

বর্তমানে, Driving Licence Check করার জন্য তিনটি মাধ্যম রয়েছে। যথা-
  • DL Checker App এর মাধ্যমে।
  • সরাসরি BRTA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। 
  • মোবাইল SMS এর মাধ্যমে।
আজকে আমরা উপরের এই তিনটি মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরবো।  আশা করি, আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে এখান থেকে আপনি সহজেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম জানতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক- driving license check করতে যা যা প্রয়োজন 

উপরের তিনটি মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে কিছু বিষয় জানা থাকতে হবে বা প্রয়োজন হবে। লাইসেন্স চেক করতে যে সব বিষয় আপনার জানা থাকতে হবে তা হলো-
  1. ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর (পুরাতন ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করার জন্য প্রয়োজন)।
  2. DL রেফারেন্স নম্বর(আবেদনের পর অবস্থা জানার জন্য প্রয়োজন)।
  3. জন্ম তারিখ। 
ঐ তিনটি তথ্য আপনার জানা থাকতে হবে। প্রথমটি আপনি যদি কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা যাচাই করতে চান তাহলে বেশি প্রয়োজন।

আর দ্বিতীয়টি শুধু আপনার আবেদনের পর BRTA থেকে প্রদান করা স্লিপের মধ্যে থাকে। সেখানে আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর থাকেনা।

জন্ম তারিখ প্রয়োজন হয় BRTA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং DL Checker App এর মাধ্যমে চেক করতে প্রয়োজন হয়। তাছাড়া  মোবাইল SMS এর মাধ্যমে চেক করার জন্য জন্ম তারিখ দরকার নেই।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক- driving license check  করার নিয়ম  

এতো সময় আমরা জানলাম কি কি মাধ্যমে এবং কি কি বিষয় দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। এখন আমরা জানবো কিভাবে বা কোন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায়। চলুন আলোচনা করা যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম।

DL Checker App এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

DL Checker App এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন। যাতে থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ।

এরপর মোবাইলের Play Store থেকে সার্চ বাটনে DL Checker App লিখে সার্চ করতে হবে। DL Checker লেখার সাথে সাথে নিচের ইন্টারফেইসটি চলে আসবে। এরপর অ্যাপটি ইন্সটল করে open করতে হবে।

এবার DL Checker App টি ওপেন করলে নিচের ইন্টারফেইসটি চলে আসবে।


এখানে উপরে দুটি অপশন দেখা যাচ্ছে, যথা-
  • DL NO./BRTA Ref. No.
  • Date of Birth
প্রথম অপশনে আপনার DL NO./BRTA Ref. No.(যে কোন একটি) বসাতে হবে। আর দ্বিতীয় অপশনে আপনার জন্ম তারিখ বসাতে হবে। এরপর নিচে সবুজ চিহ্নিত Search বাটনে প্রেস করতে হবে। কিছুখন অপেক্ষার পর আপনার সামনে ছবি সহ নিচে ইন্টারফেইসের মতো আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চলে আসবে।


এখন ঐ তথ্যের সাথে আপনার হাতে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য বা স্লিপের তথ্যের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন। আর আপনি যদি নতুন আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার লাইসেন্সের বর্তমান কি অবস্থা তা দেখা যাবে। নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখাবে। যেমন-
  • Ready to Print(প্রিন্টের জন্য প্রস্তুত)।
  • Ready to Delivery(আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পূর্ণ প্রস্তুত)।
  • Shipment received to circle Office(সার্কেল অফিসে পাঠানো হয়েছে)
  • Ready to yet print( প্রিন্ট সম্পূর্ণ হয়নি), ইত্যাদি।

সরাসরি BRTA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে

BRTA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চাইলে আপনার NID  ও মোবাইল নম্বর দিয়ে BRTA পোর্টালে নিবন্ধন করতে হবে।

নিবন্ধন করে একটি পাসওয়ার্ড নিতে হবে। এরপর সেই পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বর নিয়ে BRTA Portal এ প্রবেশ করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত যে কোন সেবা গ্রহন করতে পারবেন।

তবে মনে রাখতে হবে, আপনি যে মোবাইল নম্বর ও NID  নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করছেন ঐ মোবাইল নম্বরটি উক্ত NID নম্বর দিয়ে রেজিষ্ট্রারী হতে হবে।

মোবাইল SMS  এর মাধ্যমে।

বর্তমানে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্সটোকেন ও রুটপারমিটের মেয়াদউর্ত্তীণের তারিখ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স -এর সঠিকতা যাচাই করা যাবে।

আপনার মোবাইলের মেসেজ আপশনে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাইয়ের জন্য DL<space> ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর/DL.Ref. নম্বর লিখুন।

অথবা মোটরযানের তথ্যের জন্য VR<space> মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ইংরেজিতে ট্যাক্সটোকেন সনদে যেভাবে আছে) লিখে পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে অথবা এই 01552146222 নম্বরে মেসজ পাঠাতে পারেন।  

মেসেজ পাঠানোর ২- ৫ মিনিটের মধ্যেই ফিরতি মেসেজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য বা মোটরযানের তথ্য পেয়ে যাবেন । বর্তমানে শুধু মাত্র স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বা লাইসেন্সের আবেদনের তথ্য যাচাই করা যাবে ।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক (ইন্ডিয়া) 

আপনাদের মধ্যে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন নি বা ডাউনলোড করতে পারেন নি। তারা চাইলে নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার বের করে নিতে পারবেন। নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য ফোনের ডাটা সংযোগ চালু রেখে যেকোন ব্রাউজারের সার্চবারে ‘Parivahan’ লিখে সার্চ করুন এবং সার্চ রেজাল্টে আসা প্রথম সাইটে প্রবেশ করুন। এটি হলো ভারত সরকারের Ministry of Road Transport & Highways ওয়েবসাইট।


এখন একটু নিচের দিকে স্ক্রোল করলে ‘Licence Related Services’ অপশন পেয়ে যাবেন। যেখানে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন। এখন নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য নিচে থেকে ‘Drivers/Learners Licence’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে আসা হবে। এখন শুরুতে ‘Select State name’ অপশনে ক্লিক করে আপনি যেই রাজ্যের বাসিন্দা সেই নাম সিলেক্ট করুন। 
রাজ্যের নাম সিলেক্ট করার সাথে সাথে অনেক গুলো অপশন চলে আসবে। এখন সেগুলোর উপরে ‘Others’ একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আরোও কত গুলো অপশন চলে আসবে এখন সেখান থেকে ‘DL Search’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার সামেন একটি ফর্ম Open হয়ে যাবে। যেখান থেকে সর্বনিম্ন যেকোন দুটি অপশন পূরণ করে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করতে পারবেন। 

এখন নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য ‘licence Holder Name’ অপশনে বড় হাতের অক্ষরে আপনার নামটি বসিয়ে দিন। তারপর ‘Date of Birth’ অপশনে আপনার জন্ম তারিখ সিলেক্ট করুন। আপনি চাইলে দুইয়ের অধিক তথ্যও দিতে পারেন যেমন: আপনার মোবাইল নম্বর, Issued date ইত্যাদি। তবে সর্বনিম্ন অবশ্যই দুটি তথ্য দিতে হবে। দুটি তথ্য পূরণ করার পর ‘Search’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্য দেখতে পাবেন।


এভাবে খুব সহজে কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই শুধু মাত্র নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। আশা করি, বুঝাতে পেরেছি কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন। জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি, ভিসা, Bmet কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ব্যাংক, লোন, অনলাইন ইনকাম সহ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন বঙ্গভাষা ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ!

নোট: ইন্ডিয়ানদের ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত কিছু সিস্টেম কাজ না করার সম্ভাবণা রয়েছে। কারণ কিছু সিস্টেম পূর্বে চালু ছিল যা বর্তমানে বন্ধ আছে। কিন্তু এই পোস্টে ঐ সব বিষয় তুলে ধারার কারণ হলো। যদি সিস্টেম গুলো আবারও চালু হয়ে যায় তাহলে আমাদের দেখানো পদ্ধতিতে driving licence check চেক করতে পারবেন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়  

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনাকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বরাবর একটি ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র বিআরটিএর অফিসে জমা দেওয়াসহ আবেদনের জন্য একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। 

যেকোনো গাড়ি চালাতে গেলে লাইসেন্স থাকতেই হবে। নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এটি জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স এখন এনআইডি স্মার্ট কার্ডের মতো একটি কার্ড যেটি সবসময় বহন করা যায়। কিন্তু অনেক যত্ন করে রাখার পরও ছোট এই জিনিসটি হারিয়ে যেতে পারে। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই, এটির ডুপ্লিকেট কপি তোলা যায়। বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে এটি পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কী করতে হবে-

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আপনাকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বরাবর একটি ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। 

এজন্য আপনাকে লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র বিআরটিএর অফিসে জমা দেওয়াসহ আবেদনের জন্য একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। 

এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় যে জিডি করেছেন সেটির একটি কপি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। সেইসঙ্গে নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ এবং লাইসেন্সধারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।

আবেদন দুইরকমভাবে করা যায়। একটি সরাসরি বিআরটিএ অফিসে গিয়ে (এ ক্ষেত্রে তারা যে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী আবেদন করতে হবে)। অন্যটি অনলাইনে।

অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়াঃ

১. প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে লগইন করার জন্য। যদি আগের অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। যদি আগের কোনো একাউন্ট না থাকে, তবে নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য মোবাইল নাম্বারসহ একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে হবে।
২. একাউন্ট তৈরির পর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
৩. লগইন করার পর ওপরে মেনু বার থেকে ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
৪. এরপর ফরমটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
৫. ফরম পূরণের পর ফি পেমেন্ট করতে হবে (মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে)।
৬. এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো স্ক্যান করে আপলোড করে দিন।
৭. সবকিছু করা হয়ে গেলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
৮. আবেদন ফি ৮৭৫/- (আটশত পঁচাত্তর) টাকা মাত্র। 

সমস্ত তথ্য সঠিক থাকলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পুনরায় সংগ্রহের জন্য আপনাকে জানাবে। নির্ধারিত সময়ে গিয়ে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বিআরটির অফিস থেকে সংগ্রহ করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগবে  ও ফি কত 

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগবে ও ফি কত। তাই আজকে আপনাদের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগবে ও ফি কত এ বিষয়ে আলোচনা করবো। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করার কথা ভাবলেই প্রথমে মাথায় আসে- কাকে দিয়ে করাব? আরও খোলাসা করে যদি বলি তাহলে এভাবে বলতে হয়- কোন দালাল ধরব? সরকারি ফি এত; দালালের ফি কত? দালাল ছাড়া লাইসেন্স হয় না- এ যেন অলিখিত সত্য বা নিয়মে পরিণত করে ফেলেছি আমরা। 

সত্যি বলতে, সরকারি সেবায় দালাল বা মধ্যস্থতা যারা করেন, তাদের অসাধু মানসিকতা যেমন আছে, তেমনি আমরা যারা গ্রাহক আমাদের দোষও কম নয়। নানা ঘাটতি বা অসঙ্গতি নিয়েই আমরা লাইসেন্স করে ফেলতে চাই।

এক কথায়, নিয়মবহির্ভূত উপায়ে লাইসেন্স করার মানসকিতা আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। এটিই দালালদের সবচেয়ে বড় পুঁজি। তারা এসে অফার করে, এত টাকার বিনিময়ে আমি লাইসেন্স করিয়ে দিতে পারব।

বিআরটিএ মিরপুর শাখার রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক সচেতন হলে হয়রানি কমে যাবে। বিআরটিএকে দালালমুক্ত করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। আগে যে সিস্টেম ছিল সেখানেও যদি কেউ নিয়ম মেনে লাইসেন্স করতে চায়, তাহলেও দালালের দরকার ছিল না। আর এখন যে ডিজিটাল সিস্টেম আমরা করেছি, কেউ চাইলেও লাইসেন্স করানোর জন্য দালালি করা সম্ভব নয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিআরটিএকে আমরা নতুন আঙ্গিকে সাজিয়েছি। এখন কেউ চাইলেই ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নংঢ়.নৎঃধ.মড়া.নফ-তে ঢুকে একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করতে হবে। তারপর লার্নার লাইসেন্সের জন্য একটি ফরম আছে, সেটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। নির্দিষ্ট ফি জমা দেয়ার পর ঘরে বসেই যে কোনো গ্রাহক লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। অনলাইনে ফরম পূরণ করা মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। যে ফরমটা এতদিন গ্রাহক হাতে পূরণ করতেন, এখন সেটিই অনলাইনে পূরণ করবেন। বরং হাতে পূরণের চেয়ে অনলাইনে পূরণের ফলে এখন ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ অনেক কমে গেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাঃ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হল- লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা। আবেদনকারীকে ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাস হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর হতে হবে। আবেদনকারীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনঃ
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ যেমন- বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের ফটোকপি ইত্যাদি দেখিয়ে বিআরটিএর সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১. নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন।

২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।

৪. নির্ধারিত ফি (১ ক্যাটাগরি- ৩৪৫/- ও ২ ক্যাটাগরি- ৫১৮/- টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংকের তালিকা www.brta.gov.bd-এ পাওয়া যাবে) জমার রশিদ।      

৫. সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

৬. জে.এস.সি/এস.এসসি সনদের সত্যায়িত ফটোকপি। 

৭. বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।  

আবেদন করার দুই থেকে আড়াই মাস পর লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্যই পরীক্ষার তারিখ আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। কোথায় পরীক্ষা দিতে চান- সে স্থান অনলাইনে ফরম পূরণের সময় গ্রাহক নিজে সিলেক্ট করে দেবেন।

লিখিত, মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবার একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।

৪. নির্ধারিত ফি (পেশাদার- ১৬৭৯/- ও অপেশাদার- ২৫৪২/- টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।

৫. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

৬. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

অপেশাদার

গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পর প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স গ্রহণ করা হয়। স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

পেশাদার

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের আবার একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। স্মার্টকার্ড প্রিন্টিংয়ের সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য  প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
     
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।

৫. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।

৬. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।    

৭. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025

বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুটি তথ্যের সমন্বয় চেক করা যায়। প্রথমটি হচ্ছে রেফারেন্স নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে। আর দ্বিতীয়টি হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে। আজকের বিষয় রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম। চলুন জেনে নেই কিভাবে করা যায় রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-driving license check 2025

কিছুদিন পূর্বেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের যেকোন তথ্য জানতে আমাদের যেতে হতো BRTA এর নির্ধারিত সার্কেল অফিসে। এখন আর সেখানে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য জানতে হয় না। ঘরে বসেই আমরা সহজেই চেক করতে পারি ড্রাইভিং লাইসেন্সের অবস্থা।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক-Refference number deya driving license check-2025     

BRTA বা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি ৩টি পদ্ধতির মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার ব্যবস্থা করেছেন। যে কোন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে একটি তথ্য ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অবস্থা চেক করতে পারবেন। মাধ্যম তিনটি হলো-
  1. অনলাইন বা BRTA এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
  2. DL চেকার এপস ব্যবহার করে।  
  3. মোবাইল SMS এর মাধ্যমে।
আজ আমরা উপরের তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম জানবো। তো চলুন আলোচনা করা যাক রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম।

অনলাইন বা BRTA এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
অনলাইন বা BRTA এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে প্রথমে প্রবেশ করতে হবে এই http://my.brta.gov.bd/dl_status.php ঠিকানায়। এর পর আপনার সামনে নিচের চিত্রটি সামনে চলে আসবে। 


উপরের চিত্রে দুটি তথ্য পূরন করতে হবে। যথা-

প্রথমে DL Ref No. বা ড্রাইভিং লাইসেন্স রেফারেন্স নাম্বার টাইপ করতে হবে। আবেদনের পর আপনাকে যে স্লিপটি দেওয়া হয় সে স্লিপে রেফারেন্স নাম্বার দেওয়া থাকে।

দ্বিতীয়ত Date of Birth বা জন্ম তারিখ বসাতে হবে। জন্ম তারিখ বসাতে প্রথমে দিন এর পর মাস এবং শেষে বছর সিলেক্ট করতে হবে।

সব শেষে Submit বাটনে ক্লিক করলেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা বা স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।      

বিঃদ্রঃ বর্তমানে উপরের অনলাইনের এই মাধ্যমের সেবা সব সময় নাও পেতে পারেন। তবে নিচের ২টি মাধ্যমের সেবা সব সময় পাওয়া যায়।

DL চেকার এপস ব্যবহার করে
DL চেকার এপের মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন দরকার হবে। এবং সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

এরপর নিচের নিয়ম অবলম্বন করতে হবে

প্রথমঃ আপনার স্মার্ট মোবাইলের গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করতে হবে DL চেকার app লিখে।  DL চেকার app লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই আপনি DL চেকার app পেয়ে যাবেন।

দ্বিতীয়ঃ অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে হবে। 

তৃতীয়ঃ অ্যাপটি ইন্সটল করার পর ওপেন করে নিতে হবে। ওপেন করার সাথে সাথে নিচের চিত্রটি চলে আসবে।

চতুর্থঃ উপরের পেইজটি ওপেন হলে প্রথম বক্সে BRTA এর রেফারেন্স নাম্বার বসাতে হবে। তারপর নিচের বক্সে Date of Birth সিলেক্ট করতে হবে। দিন-মাস-বছর এইভাবে সিলেক্ট করতে হবে।

পঞ্চমঃ সব শেষে একেবারে নিচের সবুজ চিহ্নিত Search বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Search বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার সামনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা দেখা যাবে। অর্থাৎ কোন অবস্থায় আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি রয়েছে তা দেখা যাবে।

মোবাইল SMS এর মাধ্যমে- রেফারেন্স নম্বর দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সবচেয়ে সহজ এবং সুবিধা জনক মাধ্যম হল মোবাইল SMS এর মাধ্যম। মোবাইল SMS এর মাধ্যমে চেক করতে প্রয়োজন হয় না কোন স্মার্ট ফোন বা কোন ইন্টারনেট সংযোগের। নরমাল য্বে কোন একটি বাটন মোবাইল হলেই চেক করা যায়।

আপনি যদি মোবাইল SMS এর মাধ্যমে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে চান তাহলে আপনাকে নিম্মের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যথা-

প্রথমঃ আপনার মোবাইলে মেসেজ অপশনে যেতে হবে।

দ্বিতীয়ঃ মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে DL<space> রেফারেন্স নাম্বার। যেমন DK023456L00001

তৃতীয়ঃ রেফারেন্স নাম্বার বসিয়ে পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ এই নাম্বারে।

মেসেজ সেন্ট করার ২-৫ মিনিটের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অবস্থা জানিয়ে একটি মেসেজ চলে আসবে।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে আমরা তিনটি মাধ্যমে আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারি। চেক করার সময় বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখায়। এখন আমরা জানবো বিভিন্ন স্ট্যাটাস এর অর্থ। চলুন জেনে নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিভিন্ন স্ট্যাটাসের অর্থ।     

ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিভিন্ন স্ট্যাটাস।
  • PRINT ERROR- এই রকম মেসেজ আসলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার প্রদত্ত তথ্যে গড়মিল রয়েছে। দ্রুত BRTA এর নির্ধারিত সার্কেল অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
  • READY FOR PRINT- এর অর্থ আপনার ড্রাইভিং লাসেন্স অনুমোধন হয়ে প্রিন্টের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 
  • QUALITY CHECK(READING COMPLETE)- এই মেসেজ হলে বুঝতে হবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট হয়ে চেকিং হচ্ছে। 
  • READY FOR DISPATCH- এর অর্থ আপনার লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে প্রেরণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।
  • DISPATCHED-BRTA এর সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • SHIPMENT HAND OVER TO POST-BRTA এর সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসকে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • SHIPMENT RECEIVE IN CIRCLE OFFICE- এর মানে সার্কেল অফিস স্মার্ট কার্ডটি গ্রহন করেছে।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদনের যাবতীয় কাজ শেষ করে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় অল্প দিনের মধ্যে স্বপ্নের ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডটি হাতে পাওয়া যায়। কখনো কখনো অনেক দেরি হতে পারে। তখন আমাদের এটি চেক করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

এছাড়া লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পর এটি সঠিকতা যাচাই করার জন্য ও চেক করতে হয়। তাই সহজে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় তার ব্যবস্থা করেছে BRTA বা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি।

তাই আধুনিক এই প্রযুক্তির যুগে আমরা ঘরে বসে কোন চিন্তা না করে আমাদের আবেদন করা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অবস্থা চেক করতে পারি খুব সহজেই।

অতএব লাইসেন্সের আবেদনের সমস্ত কাজ তথা লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা, ফিল্ড টেষ্ট, বায়োমেট্রিক(ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ) দেওয়ার পর অপেক্ষা আর টেনশন না করে নিজে নিজেই চেক করে জেনে নিন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার উপরের নিয়মটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে লাইসেন্সের আবেদনের খোজ নিতে আর BRTA এর সার্কেল অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসেই আপনি চেক করতে পারবেন। আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন কিভাবে করা যায় রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক।

শেষ কথাঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - driving license check 2025

ড্রাইভিং লাইসেন্স আমাদের ব্যক্তি জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিশেষ করে যাদের রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় তাদের এটি ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই লাইসেন্সটি করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে একটু সচেতন হলে সহজেই নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজেই করা যায়।

নিজের লাইসেন্স নিজে করলে যেমন খরচ কম হয়, তেমনি দালালদের হয়রানী এবং দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। সাথে সাথে যে কোন লাইসেন্স চেক বা যাচাই করা, নিজের লাইসেন্সের অবস্থা জানা যাবে এখন অনলাইনের এবং মোবাইলের মাধ্যমে।

আশা করি উপরের লেখাটি সম্পূর্ণ পড়লে সহজেই আপনি জানতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম।       

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url