ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা এ সম্পর্কে। আগে কার দিনে ছিল MRP Passport তবে যুগের পরিবর্তনে ও আধুনিক সভ্যতায় তথ্য প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে এবং তার সাথে মানুষও আরো ডিজিটাল হয়ে গেছে। আমরা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি যে, আমাদের দেশের মতোন একটি দেশে ই-পাসপোর্টের ব্যবহার পরিলিক্ষিত হবে। এ সেবাটি চালু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইলেকট্রনিক বা ই–পাসপোর্টের (E-Passport) যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই–পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কী লাগে, ই–পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও খরচ, কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি।
কেননা, একটি ই–পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার (সাবমিট করা) পর যদি দেখেন, কোথাও ভুল হয়েছে, তাহলে আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। সেই সঙ্গে, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই–পাসপার্টের জন্য আবেদন করা যায়।
ই-পাসপোর্ট (E-Passport) করার নিয়ম আপডেট-২০২৫
নিজে নিজে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট (E-Passport) আবেদন করতে পারলেও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা অনেকেই জানেন না। এর ফলে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এতে করে বাধ্য হয়ে দালালের শরণাপন্ন হতে হয়। তাই ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫ জেনে নিন এখানে।
বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট (E-Passport) কার্যক্রম চালু রয়েছে। ই-পাসপোর্ট (E-Passport) করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে আবেদন সংক্রান্ত কাগজ, ফি পরিশোধের রশিদ প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বয়স ও পেশার উপর ভিত্তি করে অন্যান্য কাগজ লাগে। ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫ নিচে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ই-পাসপোর্ট কি?– ই-পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। এখন ই-পাসপোর্টে থাকা চিপ রিড করে সহজেই সেকেন্ডের মধ্যে সকল তথ্য স্টোর বা সংগ্রহ করা যায়।
বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম কি? ই-পাসপোর্টের জন্য শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্যই অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রথমে অনলাইনে আবেদন করুন। এরপর পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার পর, চালান কপি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণত একজন শিশুর পাসপোর্ট আবেদন ২ ভাবে হতে পারে, ১) বাবা/মায়ের পাসপোর্ট আবেদনের সাময় একই সাথে শিশুর পাসপোর্ট এর আবেদন অথবা ২) আলাদাভাবে শুধুমাত্র শিশুর পাসপোর্ট আবেদন করা যেতে পারে। পিতা-মাতার সাথে একসঙ্গে পাসপোর্ট আবেদন করলে অনেকটা হয়রানি কম হয়। তবে উভয়ক্ষেত্রেই আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি’র পরিমাণ একই।
ই-পাসপোর্ট (E-Passport) আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।
প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যায়। এ ছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
যা করতে হবে
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নেবেন। তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন। এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
ই-পাসপোর্টের জন্য যে যে কাগজপত্র সাথে করে আনতে হবেঃ
- অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
- বর্তমান পাসপোর্ট
- কোরিয়ান রেসিডেন্স কার্ডের রঙিন ১ কপি (উভয় পাশ এক পেজে)
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ড বা তার রঙিন ১ কপি (উভয় পাশ এক পেজে) অথবা, https://everify.bdris.gov.bd/ ওয়েবসাইট কর্তৃক ভেরিফাইড ইংরেজি জন্মনিবন্ধনের ১ কপি
- বিবাহিতদের ক্ষেত্রে "বিবাহিত" সংযোজনের জন্য অবশ্যই কাবিননামা অথবা ম্যারেজ সার্টিফিকেট এর আসল বা রঙিন ১ কপি। এবং তার সাথে স্বামী / স্ত্রীর পাসপোর্ট অথবা, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর আসল বা রঙিন ১ কপি অথবা, https://everify.bdris.gov.bd/ ওয়েবসাইট কর্তৃক ভেরিফাইড ইংরেজি জন্মনিবন্ধনের ১ কপি
- শিক্ষার্থীদের (শুধুমাত্র D-2/D-4 ভিসাধারি দের) ক্ষেত্রে অবশ্যই Student ID কার্ড অথবা, Enrollment Certificate এর আসল ইংরেজি কপি
- ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রশিদ* [(শুধুমাত্র ব্যাংক রশিদ অথবা ATM রশিদ গ্রহণযোগ্য) (অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়)] # টাকা জমা দিতে: KEB Hana Bank, A/C no.166-890000-59001, A/C name: 주한 방글라데시 대사관 # পাসপোর্ট ফি জানতে এখানে ক্লিক করুন। অথবা ভিজিট করুনঃ Consular Service Fee Chart (https://seoul.mofa.gov.bd/en/site/page/Consular-Service-Fee-Chart-2)
- পোস্ট অফিসের 4,000ওনের ডেলিভারি স্টিকার/ডাকটিকেট সহ খাম (শুধুমাত্র যারা ডাকযোগের মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে চান) (অবশ্যই খামের উপরে নিজের নাম এবং মোবাইল নাম্বার সহ বর্তমান কোরিয়ান ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে)- (খাম সাইজঃ 19cm × 27cm)
বিঃদ্রঃ
০১। ই-পাসপোর্টে ভাল ছবির জন্য রঙিন জামা পরিধান আবশ্যক।
০২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা দক্ষিন কোরিয়ার ঠিকানা হতে হবে এবং, স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশের হতে হবে।
০৩। পাসপোর্টে কোন তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন করতে উল্লেখিত নির্দেশনা জেনে নেওয়া আবশ্যক। পাসপোর্টে তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন সংক্রান্ত নোটিশ
০৪। যারা পোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে ইচ্ছুক, তারা পোস্ট অফিসের 4,000ওনের ডেলিভারি স্টিকার সহ খাম (সাইজঃ 19cm × 27cm) জমা দেয়ার জন্য অবহিত করা হল। অবশ্যই খামের উপরে নিজের নাম এবং মোবাইল নাম্বার সহ বর্তমান কোরিয়ান ঠিকানা উল্লেখ থাকতে হবে। এবং সাথে Passport Delivery Form পূরণ করে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল।
ই-পাসপোর্টের সুবিধা
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
ই-পাসপোর্ট (E-Passport) করতে কি কি লাগে
ই-পাসপোর্ট (E-Passport) করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা নির্ভর করে আবেদনকারীর বয়স ও পেশা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী,
পাসপোর্ট করতে- জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পেশার প্রমাণপত্র, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, অনলাইন আবেদনের প্রিন্টেড কপি, আবেদন সামারি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ ইত্যাদি কাগজপত্র লাগে।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO অথবা NOC লাগে। এছাড়াও নানা বয়স ও পেশার জন্য ভিন্ন কাগজপত্র লাগে।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
সাধারণত ই পাসপোর্ট করার জন্য নিম্নোক্ত ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয়ঃ
- জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card);
- ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি (Application Summary);
- পাসপোর্ট আবেদনের ফরম (Application Form);
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ ব্যাংক ড্রাফট কপি;
- নাগরিকত্ব সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট;
- পেশাগত সনদের ফটোকপি;
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে ইউটিলিটি বিলের কপি (গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ)।
- তবে এছাড়াও বয়সভেদে পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ভিন্ন হয়। তাছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং পাসপোর্ট ফি ভিন্ন হয়। তাই সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিচে ধাপে ধাপে জেনে নিন।
পাসপোর্ট (Passport) করতে কি কি জমা দিতে হয়?
বর্তমানে ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ও পেশাগত পার্থক্যের কারণে প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র লাগে। তবে কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলো হলোঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রকাশিত ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং যাদের এনআইডি কার্ড হয়েছে তাদের পাসপোর্ট করতে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। ১৮-২০ বছর বয়সী হলে কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড হয়নি এমন ব্যক্তিদের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে হবে।
১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহারযোগ্য। ২০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ই পাসপোর্ট করতে ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
পাসপোর্ট আবেদনের সামারি ও আবেদনের কপি
অনলাইনে এই পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করার পর অ্যাপ্লিকেশন সামারি ও আবেদনের কপি পাবেন। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে- সে প্রসঙ্গে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক প্রদানের সময় এসকল কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট ফি প্রদানের চালান
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় পাসপোর্ট ফি অফলাইনে/ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করলে ব্যাংক থেকে একটি চালান কপি দেওয়া হবে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক প্রদানের সময় এটি জমা দিতে হয়।
অনলাইন আবেদনের সময় সরাসরি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি দিলে আবেদনের অ্যাপ্লিকেশন সামারিতে তা উল্লেখিত থাকে। এক্ষেত্রে বাড়তি পেমেন্ট স্লিপ প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি চাইলে অনলাইন পেমেন্ট করেও ডিজিটাল চালানের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
নাগরিকত্ব সনদ
পাসপোর্ট আবেদনের পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন হয়। আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা থেকে নাগরিকত্ব সনদ/চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য গোয়েন্দা বিভাগ থেকে যোগাযোগ করা হলে এটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হতে হবে।
প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন
অতি জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে, পাসপোর্ট এর Super Express Delivery- এর জন্য সরাসরি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে হয়। সাধারণত সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৪-৭ দিন বা সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। তাই আবেদনের পূর্বে পুলিশ ভেরিফিকেশন করে প্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন লেটার জমা দিতে হয়।
এছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্রগুলো বয়স ও পেশা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে হয়।
শিশুদের ই পাসপোর্ট (E-Passport) করতে কি কি লাগে?
শিশুদের ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের পাশাপাশি পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ;
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি;
- অ্যাপ্লিকেশন সামারি;
- আবেদনের কপি;
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের A Challan কপি;
- এক কপি 3R সাইজ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ল্যাব প্রিন্ট কালার ছবি;
- পিতা মাতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- পেশা সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে – ডিপেন্ডেন্ট দিতে হবে।
- সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট আবেদন করতে সাধারণ জনগণের তুলনায় ডকুমেন্ট বেশি প্রদান করতে হয়। তা হলোঃ NOC (No Objection Certificate) বা GO (Government Order)। এছাড়াও চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে PRL Order /পেনশন বই এর কপি দিতে পারবেন। সাধারণত পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে এই ডকুমেন্টগুলো দিতে হয়।
NOC: যদি কোনো সরকারি চাকরিজীবী নিজ প্রয়োজনে পাসপোর্ট করেন তাহলে তার কর্মস্থলের বিভাগ/ অধিদপ্তর/ মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তি সনদপত্র (No Objection Certificate) নিয়ে পাসপোর্ট আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে।
GOV: সরকারি কাজে দেশের বাইরে যেতে হলে সরকারি আদেশপত্র বা Government Order পাসপোর্ট করার সময় আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- নাগরিক সনদপত্র
- অনলাইন আবেদন ফরম
- অনলাইন আবেদনের কপি
- ব্যাংক ড্রাফটের চালান কপি
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (শিক্ষার্থী হলে)
- চাকরির কার্ড (চাকরিজীবী হলে)
- সাম্প্রতিক তোলা নির্দিষ্ট সাইজের ছবি (3R Size)
যাদের ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে গার্ডিয়ান ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই।
সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট (Passport) করতে কি কি লাগে
- ভোটার আইডি কার্ডের কপি
- নাগরিক সনদপত্র
- আবেদন ফরম
- অনলাইন আবেদনের কপি
- ব্যাংক ড্রাফট এর রশিদ
- সাম্প্রতিক তোলা ছবি (3R Size)
- NOC (No Objection Certificate)
- GO (Government Order)
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি করতে No Objection Certificate এবং Government Order প্রয়োজন হবে। রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য GO প্রয়োজন হয়। এই দুটি ডকুমেন্টস ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবে না। নিজস্ব মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর থেকে এই দুটি ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে।
বয়সভেদে – পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্ট লাগে
ই পাসপোর্ট আবেদনকারী বয়স অনুযায়ী পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সের বাংলাদেশ নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট করতে যে সকল ডকুমেন্টস লাগে তা তুলে ধরা হলোঃ
আবেদনকারীর বয়স ৬ বছরের কম হলে পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
- বাবা মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও মূল কপি;
- এক কপি 3R সাইজ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ল্যাব প্রিন্ট কালার ছবি;
- ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- পিতা মাতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- পেশা সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে – ডিপেন্ডেন্ট (Dependent) দিতে হবে। (এক্ষেত্রে পেশা প্রমাণের জন্য ডকুমেন্ট লাগবে না)।
- আবেদনকারীর বয়স ৬-১৫ বছর হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- বাবা মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও মূল কপি;
- ইংরেজি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ;
আরো পড়ুনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
- পিতা মাতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। পিতা মাতার অবর্তমানে বৈধ অভিভাবকের ছবি ব্যবহার করতে পারবে;
- পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে, শিক্ষার্থী হলে- সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি। অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত থাকলে তার ডকুমেন্ট দিতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৫-১৮ হলে পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে
- বাবা মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও মূল কপি;
- ইংরেজি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ;
- পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে, শিক্ষার্থী হলে- সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ। প্রাইভেট সার্ভিস হলে কর্মস্থল প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র।
আবেদনকারীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
যেসকল বাংলাদেশের নাগরিকদের বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে তাদের পাসপোর্ট করতে নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হবেঃ
- জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card);
- ই পাসপোর্ট আবেদনের সামারি (Application Summary);
- পাসপোর্ট আবেদনের ফরম (Application Form);
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ ব্যাংক ড্রাফট কপি;
- নাগরিকত্ব সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট;
- পেশাগত সনদের ফটোকপি।
- ১৮ বছরের বেশি তবে ভোটার আইডি কার্ড হয়নি এমন হলে
- যেসকল বাংলাদেশী নাগরিকদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড হয়নি তাদের ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের অনুরূপ কাগজপত্র লাগবে। তবে যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড হয়নি, সেহেতু অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করতে পারবে।
আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের বেশি হলে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
- ২০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের পাসপোর্ট করতে অবশ্যই এনআইডি কার্ড লাগবে। তবে বাংলাদেশের কোন মিশনে/ কোন প্রবাসী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে জন্ম নিবন্ধন গ্রহণ করা হবে;
- পেশার প্রমাণপত্র।
পাসপোর্টের পেশা প্রমাণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পেশা প্রমান করা অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। তবে সঠিক ডকুমেন্টস থাকলে তা পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে জমা দিতে পারবেন। বিভিন্ন পেশার জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। যেমন:
- বেকার হলে: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা থেকে চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক বেকারত্ব সনদ।
- শিক্ষার্থী হলে: সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- প্রাইভেট সার্ভিস হলে: যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানের একটি অফিসিয়াল প্রত্যয়ন পত্র।
- সরকারি চাকরিজীবী হলে: GO অথবা NOC। অথবা, চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে PRL Order /পেনশন বই এর কপি।
- কৃষক হলে: জমির পর্চার ফটোকপি।
- ব্যবসায়িক হলে: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- গৃহিণী হলে: নারীদের পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পেশাগৃহিনী দিলে কোন রকমের প্রয়োজন হয় না।
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ/ পাসপোর্ট রিইস্যু করতে কি কি লাগে?
মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা তুলে ধরা হলোঃ
- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
- ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিল)
- পাসপোর্ট হারানোর জিডি করুন (পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে)
- হারানো পাসপোর্টের জিডির নমুনা সংগ্রহ করুন।
- হারানো পাসপোর্ট পেতে কি কি লাগে?
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে স্থানীয় থানায় হারানোর কথা উল্লেখ করে জিডি করতে হবে। এবং থানার নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিতে হবে। পরবর্তীতে পাসপোর্টের তথ্য পেজের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও থানার জিডির মূল কপি সহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কি পাসপোর্ট করা যায়?
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে কিংবা ১৮ বছরের বেশি ২০ বছরের কম হলে এবং ভোটার আইডি কার্ড না হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যায়।
নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যা আপনাকে সাথে আনতে হবে। পিতা মাতার এনআইডিও কি লাগে?
- অনলাইন আবেদন ফরম এবং Appointment/ শিডিউলপত্র (Print summary) কপি।
- ব্যাংক চালান (অনলাইন কিংবা SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমাদানকারী গ্রাহক পাসপোর্ট এর আবেদনপত্রের সাথে চালানের প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করবেন) কপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (২০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে বাধ্যতামূলক) কপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (ইংরেজি ভার্সন) সনদ (১৮ বছরের নিম্নে হলে, এক্ষেত্রে পিতা-মাতার NID বাধ্যতামূলক) কপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (১৮-২০ বছরের মধ্যে) কপি।
- সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/ বিভাগ/ অধিদপ্তর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে NOC/GO, অন্যান্যদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ/টেকনিক্যাল সনদ কপি।
- NOC/GO আবেদনকারীগণ স্ব স্ব দাপ্তরিক ওয়েব সাইটে NOC/GO আপলোড করবেন।
- সরকারী চাকুরিজীবীগণ অবসর প্রাপ্ত হলে অবসর গ্রহণের প্রমাণক দাখিল করতে হবে।
- ০৬ (ছয়) বছর বয়সের নিচের আবেদনকারীর ক্ষেত্রে 3R সাইজের ০১ (এক) কপি ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ্গীন ছবি দাখিল করতে হবে।
- বর্তমান ঠিকানার স্বপক্ষে যথাযথ প্রমাণক দিতে হবে (বিদ্যুৎ/গ্যাস/ওয়াসার বিলের কপি)।
ই -পাসপোর্ট দিয়ে কি কি কাজ করা যায়?
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। সাধারণ পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্টের সুবিধার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখন পাসপোর্ট দিয়ে অনেক কাজই করা যায়, যেমন-বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও, সিম ক্রয় করা যায় এবং বেশ কিছু সরকারি সুবিধা দেশে এবং বিদেশে ভোগ করা যায়।
শেষ কথাঃ ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা
উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে গরুর রচনা- ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম আপডেট-২০২৫, কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url