ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয়
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত। অনেক মানুষ আছে যারা এত পরিমানে ঋণ করেছে যে, সে ঋণ আর সহজে পরিশোধ করতে পারছে না। তাই আপনাদের জন্য ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয় এ দোয়াটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও দেখুন। দেখবেন ঋণ থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়ে যাবেন।
এই আর্টিকেলটির, মধ্যে আমি আপনাদের খুব তাড়াতাড়ি ঋণ পরিশোধ হওয়ার জন্য দুইটি আমলের কথা জানিয়েছি এবং এই আমল করলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ হয় এবং ঠিকঠাক আমল করার নিয়ম ও আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কিছু কথা তুলে ধরেছি। তাই আপনারা যদি ঋণ মুক্তির দোয়া এবং আমল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন এবং আমল করুন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ঋণ মুক্ত করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। এবংআর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
ঋণ মুক্তির দোয়া
ঋণ মানুষের জীবনের একটি অভিশাপ, যে ঋণগ্রস্থ আছে সেই বুঝে ঋণ করা কত জ্বালা। ঋণ করলে মানুষের জীবনের মান সম্মান ইজ্জত কিছুই থাকে না। ঋণ নিয়ে যদি ঠিকমতো দিয়ে দিতে পারেন তাহলে ঋণ নিবেন না। কারণ ঋণ নেওয়ার পর ঋণ যদি দিতে না পারেন তাহলে আপনার জীবনে সব সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যার থেকে ঋণ নিবেন তার ঋণ যদি সময়মতো পরিশোধ না করতে পারেন তাহলে তার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সে আপনাকে অভিশাপ দিতে থাকে। আর আপনার জীবন সেই অভিশাপে আপনার জীবনের সকল সুখ-শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আপনারা ঋণ নেভার আগে ৫০ বার ভেবে দেখবেন আমি যে ঋণ করছি পরিশোধ করার ক্ষমতা আমার আছে কিনা। যদি দেখেন আপনার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে তাহলেই আপনি ঋণ নিবেন। এবং সময়মতো টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন। আর অনেক চেষ্টা করার পরও আপনি দেখলেন আপনার আর কোন উপায় নেই ঋণ পরিশোধ করার তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে চাইতে থাকুন আল্লাহর কাছে আপনি এমন ভাবে চাইতে থাকুন যে আল্লাহ আপনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি চাওয়া থামাবেন না।
আর আপনি ঋণ পরিশোধ হওয়ার দোয়া গুলো নিয়ম অনুযায়ী আমল করতে থাকুন এবং আল্লাহর ওপর এমনভাবে ভরসা করবেন যেন আল্লাহ আপনাকে দিবেই কিভাবে দিবে সেটা শুধু আল্লাহ তালাই জানেন। এইভাবে মনকে দৃঢ় করে আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে আপনি অঝোরে কাঁদতে থাকুন এবং সবচেয়ে ভালো হয় আপনি শেষ রাতে তাহাজ্জুতের সময় উঠে আল্লাহর কাছে দুই ফোটা চোখের পানি ফেলে ঋণ পরিশোধের দোয়া এবং আরো বিভিন্ন দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন।
তাহলে আল্লাহতালা অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দিবে। আল্লাহ তায়ালা গায়েবী মাধ্যমে কিভাবে যে ঋণ পরিশোধ করবে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না, কিন্তু একিন একদম দিরো হতে হবে। একিন যদি দৃঢ় থাকে তাহলে আপনার গায়েবী মাধ্যমে সাহায্য অবশ্যই আসবে ইনশাআল্লাহ।
ঋণ মুক্তির দোয়া : আমরা জানি মানুষকে ঋণ দেওয়া ভালো ।কিন্তু কারো থেকে ঋণ নেওয়ার সময় তাকে ভালো ভাবে ভেবে ঋণ নেওয়া উচিত। যেন তার কষ্টের টাকা তাকে ফেরত দিতে পারি এবং ফেরত দেয়ার ক্ষমতা আছে। তাই ঋণ নেওয়ার পর থেকে আপনারা এই আমলটি করতে থাকবেন যেন আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দান করেন। আল্লাহ তা'আলা হয়তো আপনার সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার তৌফিক দান করবে।
আরবি উচ্চারণ : اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।’ (তিরমিজি)
আমল করার নিয়ম : এই দোয়াটি আপনারা সকাল সন্ধ্যায় ১১ বার করে পাঠ করবে। আর যদি আপনাদের ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত তারা থাকে তাহলে সারাদিনে আপনি এই দোয়াটা আমল করতে থাকুন। সব সময় মনের মধ্যে এই দোয়াটি পাঠ করতে থাকুন। এই দোয়া পড়ার আগে (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করে নিবেন এবং দোয়া শেষেও (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করবেন। এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সহিত আমল করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল হবেই।
অনেকে বলে আমি অনেক দোয়া করি কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয় না এর ৩ টি কারণ রয়েছে।(১) আপনার গুনহা সমূহ বেশি হয়ে গেলে দোয়া কবুল হয় না বা দোয়া কবুল হতে সময় লাগে তাই আপনি বারবার ইস্তেগফারের শহীদ আমল করতে থাকেন।(২) আপনারা দোয়া করার পর দোয়া কবুল না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, যদি আপনার সামনে একটি কঠিন বিপদ রয়েছে, সেসময় আপনি দোয়া করলেন কিন্তু আপনি যে প্রয়োজনে দোয়া করলেন।
সেটি পূরণ না হয়ে আপনার সেই কঠিন বিপদ থেকে আল্লাহতালা আপনাকে রক্ষা করবেন।(৩) আপনি দোয়া করার পর যদি দোয়া কবুল না হয়, তাহলে মনে করবেন আল্লাহ তাআলা আপনার সেই দোয়া কবুল করেছে কিন্তু সেই দোয়াটি আপনার আখিরাতের জন্য জমা করে রেখেছেন। তাই আপনারা অবশ্যই আল্লাহর প্রতি একীন ও বিশ্বাসের সহিত দোয়া করবেন এবং বারবার (ইস্তেগফার ও দুরুদ শরীফ) পাঠ করবেন দোয়া ইনশাল্লাহ কবুল হবে।
ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল
একদিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মসজিদে প্রবেশ করার পর। এবং রাসূল হঠাৎ দেখতে পেলেন রাসুলের সাহাবা আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, মসজিদে বসে আছেন। রাসূল আবু উমামা কে ডেকে বললেন, আবু মামা নামাজের সময় ছাড়া তুমি এই আটাইমে মসজিদের মধ্যে কেন বসে আছো। রাসুলের সাহাবারা যেকোন বিপদ-আপদে পড়লে মসজিদে দৌড়াইয়া যাইতেন।
আবু উমামা বললেন নবী, আমি অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি এবং ঋণগ্রস্থ রয়েছে এজন্য আমার মনটা অনেক খারাপ। আমি তোমাকে এমন কিছু কথা শিখিয়ে দেবো যা তুমি আল্লাহকে বল আশা করা যায় আল্লাহ তা'আলা তোমার পেরেশানিকে দূর করে দিবেন। তোমার ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা আল্লাহতালা করে দিবেন। আবু উমামা বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ আমার এমনই আমল দরকার যা আমার ঋণ পরিষদ করতে সহজ হয়ে যায়। নবীজির বলেছেন, কেউ যদি কারো কাছ থেকে এই নিয়তে ঋণ নাই, যে আমি ইনশাল্লাহ তার ঋণ পরিশোধ করে দিল তাহলে আল্লাহ তায়ালা যে কোনভাবে তার ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দিয়ে দিবেন।
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজা। ওয়াল আজিজী ওয়াল কাসলি। ওয়া আউযুবিকা মিনাল যুগনি ওয়াল বুখলি। ওয়া গলাবাতিন দাইন। ওয়া কহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে পানহা চাই পেরেশানি এবং দুশ্চিন্তা থেকে। অপারকতা এবং অলসতা থেকে মুক্তি চাই। হে আল্লাহ ভীরুতা এবং কাপুরুষতা এবং কৃপণতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। ঋণের প্রাচুর্যতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। মানুষের অনিষ্টতা এবং মানুষের জুলুম মানুষের ধমক এবং ধমকি থেকে আপনার কাছে পানহা চাই।
আবু উমামা বলেন রাসূল,আমাকে এই আমল শিখিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর আমার সকল পেরেশানি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার ঋণ আদায়ের সুন্দর ব্যবস্থা করে দিলেন।
আমল করার নিয়ম : রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, সকালে এবং সন্ধ্যায় সালাত আদায়ের পর এই দোয়াটি পড়ো তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে।
যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয়
ঋণ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝা বহন করা অনুচিত। রাসুল (সা.) দ্রুত ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
ঋণ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমল রয়েছে। নিম্নে একটি দোয়া উল্লেখ করা হলো-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক’।
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালালের মাধ্যমে আমাকে পরিতুষ্ট করে হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন।
অন্য হাদিসে আরেকটি দোয়ার কথাও এসেছে।
তা হলো-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দালাইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, এবং অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
হাদিস : আলি বিন আবু তালিব (রা.) বর্ণনা করেছেন, তার কাছে এক চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বলল, আমি চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন।
তখন তিনি বলেছেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না যা রাসুল (সা.) আমাকে শিখিয়েছেন? যদি তোমার ওপর পাহাড় পরিমাণ ঋণও থাকে আল্লাহ তা তোমার পক্ষ থেকে শোধ করবেন। তুমি এই (প্রথম) দোয়াটি পড়বে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৩)
ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?
ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে কত সুন্দর উপদেশ! নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম; যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ কেউ যেন ঋণ পরিশোধে গড়িমসি না করে সে জন্য নবিজী বলেছেন, ‘ঋণ পরিশোধ না করা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু একান্তই যদি কেউ ঋণ পরিশোধে অপরাগ হয় তবে তার করণীয় কী? ঋণমুক্তিতে তিনি কখন কীভাবে আল্লাহর সাহায্য চাইবেন?
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘একজন চুক্তিবদ্ধ গোলাম (ক্রীতদাস) তাঁর কাছে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দেব না; যা আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহ তাআলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি বললেন, তুমি বল-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।’ (তিরমিজি)
ঋণমুক্তির নিয়তে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ঋণমুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তবেই মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে ঋণ থেকে মুক্ত করবেন ইনশআল্লাহ।
শুধু তা-ই নয়, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভয়-চিন্তা-পেরেশানির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি চাইতেন। তাই যারা ঋণগ্রস্ত; তাদের জন্য ঋণমুক্তিতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া জরুরি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অবতরণ করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দোয়া পড়তে শুনতাম-
اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আঝযি ওয়াল কাসালি ওয়াল বুখলি ওয়াল ঝুবনি ওয়া দালায়িদ-দাইনি ওয়া গালাবাতির-রিঝালি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে আশ্রয় চাই; অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চাই; কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই; ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে মুক্তি চাই।’ (বুখারি)
বিশেষ করে দ্বিতীয় দোয়াটি ঋণ পরিশোধের নিয়ত ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি নামাজের দুই সেজদার মাঝে বসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করা। বিশুদ্ধ নিয়তে আল্লাহর কাছে ঋণমুক্তির আশ্রয় কামনা করলে মহান আল্লাহ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের তা থেকে মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঋণ পরিশোধে বিশুদ্ধ নিয়ত ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা এবং প্রত্যেক নামাজের দুই সেজদার মাঝে উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়া। আল্লাহর কাছে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক কামনা করা।
ঋণ পরিশোধের সময়ও দোয়া করা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু রবিআ আল-মাখযুমি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুনাইন যুদ্ধের সময় তার কাছ থেকে তিরিশ অথবা চল্লিশ হাজার দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তার পাওনা পরিশোধ করেন। এরপর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে (দোয়া করে) বললেন-
بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ
উচ্চারণ : ‘বারাকাল্লাহু লাকা ফি আহলিকা ওয়া মালিকা; ইন্নামা ঝাযাউস-সালাফিল হামদু ওয়াল-আদাউ।’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা তোমাকে তোমার পরিবার ও সম্পদে বরকত দান করুন। নিশ্চয়ই ঋণের প্রতিদান হলো- তা পরিশোধ করা এবং প্রশংসা করা।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। ঋণ পরিশোধ করার মাধ্যমে সবাইকে সর্বোত্তম আমলকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
শেষ কথাঃ ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয়
উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি ঋণ থেকে মুক্তির উপায় খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন পোষইট পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল-যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমান ঋণও শোধ হয় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url