তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না এ সম্পর্কে। পাকা তালের রস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে এটা অতিরিক্ত খেলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।   


গরমের সময় পাকা তালের খুব আনাগুনা দেখা যায়। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে সবচাইতে বেশি তালের গাছ দেখা যায়। তালের রস যেমনি মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনি তালের গাছের বড় বড় পাতা আমাদেরকে এই গরমে রোদের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই দিতে সক্ষম। 

তালের রসের উপকারিতা

পাকা তালের তৈরি খাবার কমবেশি সবারই বেশ পছন্দের। ইতোমধ্যে বাজারে পাকা তাল চলে এসেছে। পাকা তালের রস থেকে নানা ধরনের পিঠা-পায়েস তৈরি হয়। তালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তালের পুষ্টিগুণ

পাকা তালের খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৭৭.২ গ্রাম, খনিজ০.৭ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম শর্করা ২০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ও খাদ্য শাক্তি ৮৭ কিলোক্যালরী রয়েছে। তালের রস শ্লেষ্মানাশক। এটি মূত্রকর , প্রদাহ ও কোষ্ঠাঠিন্য নিবারণ করে। রস থেকে তৈরি তালমিসরি সর্দি কাশির মহৌষধ, যকৃতের দোষ নিবারক ও পিত্তনাশক।

তালের উপকারিতা 

সদ্য আহরিত তালের রস  পানীয়। প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটায় তালের কচি শাঁস ও এর ভেতরের সুমিষ্ট পানি। পাকা তালের রস দিয়ে নানা ধরনের পিঠা, গুড়, মিশ্রি, ইত্যাদি তৈরি করা যায়। কচি তালের শাঁস খেতে মিষ্টি ও সামান্য গন্ধ আছে। আজকাল তাল দিয়ে জিলাপি, রসমালাই, রোল, পুলি পিঠা, তালের বড়া ইত্যাদিও তৈরি করতে দেখা যায়। তাল-দুধ, তাল-মুড়ি, আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস খুবই মুখরোচক খাবার। এসব খাবার খেলেও মুখের রুচি বাড়ে। হজমও হয় ভাল। পাকা তালের রস  কনফেকশনারীতে শুকনো খাবার প্রস্তুত করনের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তালের পিঠা

বর্ষার বিকেলে, কি স্যাঁতসেঁতে সন্ধ্যায় তালের পিঠার চেয়ে মজাদার আয়োজন আর হয় না। কিন্তু পাকা তাল ছেঁকে তা থেকে রস আলাদা করার ঝামেলার জন্য অনেকেই এই আয়োজনে হাত দিতে দু’বার ভাবেন।
বলাই বাহুল্য, তালের পিঠার সবগুলো রেসিপি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- যত ঝামেলা ঐ তাল ছেঁকে কাঁথ বের করাতেই। ধৈর্য ধরে একবার রস তৈরি করতে পারা মানে অর্ধেক কাজ গুছিয়ে ফেলা। বাকি থাকল কেবল অন্যন্য উপকরণগুলো ঠিকঠাক মেশানো। এরপর পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া একদম পান্তা ব্যাপার। তালের রস থেকে যেসব পিঠা তৈরি হয় তার মধ্যে তালের বড়া, কলাপাতায় তালের পিঠা, তালের পাটিসাপটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  

তালের রসের অপকারিতা

তালের রসে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। অতিরিক্ত তালের রস পান করলে শরীরে ক্যালোরির পরিমান বেড়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।। 

তালের রসে প্রচুর পরিমান চিনি থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিকস আছে তাদের না খাওয়াটাই উত্তম। 

অতিরিক্ত ক্যালোরি: তাল ফলে সাধারণত উচ্চ ক্যালোরি থাকে, যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা ওজন কমাতে চান বা ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য তাল ফল সংখ্যার মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

অ্যালার্জি: কিছু মানুষের জন্য তাল ফলের সাথে অ্যালার্জি সম্ভব হতে পারে। যারা তাল ফলের সম্পর্কে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেন, তাদের এটি সেবন করা উচিত না।

এই তথ্যগুলি সাধারণত প্রযোজ্য হয়, তবে প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের প্রতিক্রিয়া ও অনুকরণ ভিন্ন হতে পারে। তাই কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যারা আপনার নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।

পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না 

চলছে ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাস মানেই পাকা তালের মৌসুম। অন্য ফলের মতো তালও বেশ উপকারী ফল। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায়ও এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাছাড়া তাল দিয়ে তৈরি নানা ধরনের সুস্বাদু পিঠা ও খাদ্য উপাদান আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য।

বাঙালির বাঙালিয়ানা খাবারগুলোর জনপ্রিয়তায় তাল অনেকটা জায়গাজুড়ে আছে। সুস্বাদু এই ফলটি কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে খাওয়া যায়। পাকা তাল থেকে রস বের করার পর দীর্ঘদিনের বিরতিতে বীজ মাটিতে রেখে দিয়ে তা থেকে পাওয়া শাঁসও বাঙালিদের কাছে বেশ প্রিয় একটি খাবার।
পাকা তালের রস দেখতে বেশ কমলা রঙের হয়ে থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যগুণেও অনন্য। পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।

পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলো ক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। তাই অনেক রোগেরই মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে পাকা তাল।

পাকা তাল খেলে যে সব রোগ হবে না-

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে ভিটামিন বি-র ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ কিংবা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।

১. তাল খাওয়ার অভ্যাসে পুরুষত্বহীনতায় উপকার পাওয়া যায়। বমিভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন। যদি পুরোনো কোনো কাশি কোনোভাবেই আপনার পিছু না ছাড়ে, তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।

২. তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে পাকা তাল।

৩. কচি তালের শাঁসে আছে প্রায় ৯৩ শতাংশ জলীয় অংশ। এছাড়াও এতে আছে জেলাটিন, যা খাওয়ার পর পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি দেয় এবং ক্ষুধাভাব কমিয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে৷

৪.  শরীরের কোষের মধ্যে ইলোকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে কচি তালের শাঁস খুবই উপকারী। বমি ভাব বা ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের জন্য এটি বেশ উপকারী একটি খাবার।
৫.  বাতের ব্যথা দূর করতে তালের রস বেশ উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তাল কোনো চিনি ও পানি না মিশিয়ে খান তবে আপনার বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে অনেকাংশে উপশম হবে৷

৬.  লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার কারণে তালের রস কৃত্রিম চিনির একটা স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। যা ডায়াবেটিসের সূত্রপাত প্রতিরোধে সাহায্য করে। খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে রক্তে খুব বেশি মাত্রায় শর্করা বৃদ্ধি পায় না বলে জানা গেছে। তবে ডায়াবেটিস এর রোগীদের কম মাত্রায় খেজুরের চিনি বা গুড় খাওয়া উচিৎ।

৭.  তালের শাঁসে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করবে।

৮.  তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৯.  এন্টি অক্সিডেন্ট গুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় তাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও তাল বেশ উপকারী।

১০.  তালে আছে ভিটামিন-বি, তাই ভিটামিন-বি এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।

১১.  লিভার সুরক্ষায় তালের শাঁস এর ভূমিকা রয়েছে। তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

তালের রস কখন হয়?

তালের রস হল হল গ্রীষ্মকালে তাল গাছের ফল থেকে আহরিত একপ্রকার মিষ্টি রস। এতে ভিটামিন এ, বি, সি এবং জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন জাতীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

তালের রস খাওয়া কি হারাম?

উত্তর : মাদকতা না আসা পর্যন্ত তাল গাছের রস পানে বাধা নেই। যা মাদকতা সৃষ্টি করে কেবল সেটি হারাম (মুসলিম হা/২০২০৩; মিশকাত হা/৩৬৩৮; ছহীহাহ হা/২০৩৯)।

তালের শাঁস বেশি খেলে কি হয়?

তালশাঁস খেলে মুখের অরুচি এবং বমি বমি ভাব দূর হয়। তালশাঁসে থাকা ক্যালসিয়াস, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের অ্যালার্জি, পানি পড়া ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন থাকায় তালশাঁস রক্তশূন্যতা দূর করতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তালের মদ কি রক্তচাপ বাড়ায়?

পাম ওয়াইনের পরিমিত ব্যবহার হৃদরোগের উন্নতির সাথে যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে নিম্ন রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে গেছে।

উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ খেলে কোন ফল খেলে ভালো হয়?

কলা এবং অন্যান্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, প্লাস এসিই ইনহিবিটার। আপনি যদি কলা, অ্যাভোকাডো, টমেটো এবং শুকনো এপ্রিকট সহ পটাসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবারের সাথে রক্তচাপ-হ্রাসকারী ACE ইনহিবিটর গ্রহণ করেন, তাহলে আপনি আপনার শরীরে উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রা পেতে পারেন, যা সম্ভাব্য বিপজ্জনক হার্ট অ্যারিথমিয়াস হতে পারে, ব্রাউন সতর্ক করে।

তাল শব্দের অর্থ কি?
তাল (সঙ্গীত) - উইকিপিডিয়া
তাল হলো ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বা নৃত্যে একটি ছন্দের নিয়ামক এবং ছন্দের অংশাদির আপেক্ষিক লঘুত্ব বা গুরুত্বের নির্ধারক।

তাল খেলে কি কাশি বাড়ে?

পাকা তালের রস থেকে তৈরি তালমিসরি সর্দি কাশির মহৌষধ, যকৃতের দোষ নিবারক ও পিত্তনাশক। কচি তালের শাঁসের ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে আছে, খাদ্যশক্তি ২৯ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৯২ দশমিক ৩ গ্রাম, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, খাদ্য আঁশ শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ গ্রাম, ভিটামিন- সি ৪ মিলিগ্রাম।

শেষ কথাঃ তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না      

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না  এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘তালের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা-পাকা তাল খেলে যেসব রোগ হবে না’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।    

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url