জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি- জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে। জমি খারিজ/নামজারি আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো আজাকের পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 


জমি খারিজ/নামজারি কিভাবে করতে হয়, কোথায় গেলে খারিজ করা যায় অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই পোস্টটি সম্পূর্ন জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক। So, Let's Start- 

জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট

আপনি কি নিজের নামে কিছু জমি ক্রয় করেছেন? ওয়ারিশ সূত্রে কি কিছু জমির মালিকানা আপনি লাভ করেছেন? তো ভাবছেন কিভাবে এই জমি আপনার নামে খারিজ করবেন। আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি। আজ আমরা আলোচনা করবো জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট। ই নামজারীর আবেদন করার নিয়ম। চলুন জেনে নেই জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপপেট।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বুঝে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে। এই আর্টিকেল থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনি নিজে নিজে অনলাইনে জমি খারিজ করার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা।

দালালদের কারণে অথবা আমরা নিজেরা কোন রকমের চেষ্টা না করায় বর্তমান বাংলাদেশে যে নামজারী বা খারিজ করতে খরচ হওয়ার কথা মাত্র ১১৭০/- সেখানে খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে নিজে নিজে চেষ্টা করে অথবা ঘরে বসে অনলাইনে জমির খারিজ করবেন তার বিস্তারিত।

এই প্রক্রিয়ায় আপনাকে বেশি শিক্ষিত বা বুঝার দরকার হবে না। শুধুমাত্র দরকার সাহসের এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের। আপনি নিজে কম্পিউটারের কাজ বুঝলেতো সবচেয়ে ভালো। আর যদি না বুঝেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকানে অথবা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি আপনি অনলাইনের কাজ না বুঝেন বা নিজের কোন কম্পিউটার না থাকে তাহলে ইউনিয়ন বা স্থানীয় ভূমি অফিসের যে কোন একজনের সহযোগীতায় অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাকে দিয়ে আবেদন করাবেন তাকে আপনি খুশি হয়ে ৫০০-১০০০ টাকা দিলেই হয়ে যাবে। কেননা তারাই আপনার আবেদন যথাযথ ভাবে করতে পারবে।

খারিজ বা নামজারি কি?

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৩ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি যদি কোন জমির মালিকানা লাভ করে, অতঃপর পূর্বের মালিকের নাম পরিবর্তন করে তার নিজের নাম সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় বা তার নিজের নামে নতুন খতিয়ান খোলে তবে তাকে নামজারি বা খারিজ বলে। ইংরেজীতে যাকে মিউটেশন (Mutation) বলে।

ই নামজারি কি?

পূর্বে জমির খারিজ বা নামজারি করা হতো একমাত্র সরাসরি আবেদন ফরম পূরণ করে। এখন ভুমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনলাইনে জমি খারিজ করার ব্যবস্থা করেছে, যাতে ঘরে বসেই নাগরিকগন তাদের জমির খারিজ বা নামজারির আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে জমির খারিজের আবেদনের মাধ্যমে যে নামজারি করা হয় তাকেই ই নামজারি বলা হয়।

এখন অনলাইনে জমির খারিজ বা নামজারি করা, খাজনা বা ভূমি কর পরিশোধ, জমির খতিয়ান দেখা, খতিয়ান যাচাই সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ঘরে বসে করা যাবে। আমরা এই লেখার মাধ্যমে জানাবো কিভাবে অনলাইনে জমি খারিজ করা যায় বা ই নামজারি করার নিয়ম সম্পর্কে।

জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ২০২৫।

অনলাইনে ই-নামজারি বা খারিজের আবেদন করার  পদ্ধতি আপডেট ২০২৫ বা ই নামজারি/জমির খারিজ কিভাবে করতে হয়, ই নামজারির ফি পেমেন্ট করার পদ্ধতি, ই নামজারির আবেদন যাচাই কিভাবে করতে হয় এসকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই এই আর্টিকেলের সকল তথ্য ভালো করে পড়ে ই-নামজারি আবেদন করুন ঘরে বসে।

খারিজের আবেদন করতে যে সব কাগজপত্র প্রয়োজনঃ 
  • আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
  • জমির মালিকানার দলিল।
  • ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হলে ওয়ারিশান সনদ।
  • জমির সর্বশেষ খতিয়ান(আর.এস/বি.এস/সিটি জরিপ খতিয়ান)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • জমির মামলা থাকলে মামলার রায়ের কাগজপত্র।  
আপনি যদি অনলাইনে জমি খারিজ করতে চান তাহলে উপরোক্ত কাগজ পত্র শুরুতেই স্পষ্টভাবে স্ক্যান করে কম্পিউটারের একটি ফোল্ডারে সংরক্ষন করতে হবে। পরবর্তীতে এই স্ক্যানকৃত কাগজপত্রসমূহ অনলাইনে ই নামজারি আবেদনের নির্ধারিত স্থানে আপলোড করে দিতে হবে। ফাইল গুলো অবশ্যই JPG অথবা PDF ফাইল আকারে সংরক্ষন করতে হবে।

জমি খারিজ করার পদ্ধতি 2025

যদি আপনি নিজে আবেদন করতে না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকানে যেতে পারেন, যেখানে ই নামজারির আবেদন করা হয়। এছাড়া আপনি স্থানীয় ভূমি অফিস বা উপজেলা ভূমি অফিসের যে কোন একজন সহকারীর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলে আপনার আবেদন তারা করে দিবে। এক্ষেত্রে তাকে সামান্য ১০০০-১৫০০/- টাকা দিলেই হয়ে যাবে। এতে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে।
জমির ই নামজারি বা খারিজ করতে আপনাকে প্রথম প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার। যাতে সংযোগ থাকতে হবে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটার এবং উপরোক্ত কাগজপত্র আপলোড করার পর আবেদন করতে নিম্মোক্ত ধাপগূলো পর্যায়ক্রমে অবলম্বন করতে হবে।

প্রথম ধাপঃ  ওয়েবসাইটে প্রবেশ।
জমির খারিজ অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে https//mutation.land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেইজটি ওপেন হবে।

উপরের পেইজ থেকে আপনাকে লাল মার্ক করা “নামজারি আবেদন” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপঃ আবেদন ফরম পূরণ।
আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে চারটি পেইজ বা ধাপ রয়েছে। যথা-
  1. প্রথম পেইজে আবেদনকারীর ঘোষনা।
  2. দ্বিতীয় পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য।
  3. তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড।
  4. চতুর্থ পেইজে ফি পরিশোধ বা পেমেন্ট অপশন।
প্রথম পেইজ আবেদন কারীর ঘোষনাঃ 
প্রথম ধাপের “নামজারি আবেদন” বাটনে ক্লিক করার পর আবেদন ফরমের পেইজ নিচের ছবির মত ফরমটি প্রদর্শিত হবে।


এই আবেদন ফরমে যে সব তথ্য দিতে হবে তা হলো-

  1. জমির মালিকানার সূত্র।
  2. ক্রাতা/বাদী বা গ্রহীতার তথ্য।
  3. মৌজার নাম সিলেক্ট।
  4. আবেদন সংক্রান্ত ঘোষনা।
৪ নং কলামে ১০টি ঘোষনা রয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে সিলেক্ট করতে হবে। সকল তথ্য প্রদান করার পর নিচে সবুজ চিহ্নিত “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

দ্বিতীয় পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য প্রদানঃ
১ম ঘোষনা সম্বলিত পেইজের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরনের পর নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে আবেদন ফরমের দ্বিতীয় পেইজে। এই পেইজে জমির তফসিল ও গ্রহিতার তথ্য প্রদান করে নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে।

তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোডঃ
২য় পেইজের নিচে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করার পেইজে। এখানে প্রথমে দাতার তথ্য অর্থাৎ আপনি যার থেকে জমির মালিকানা লাভ করেছেন তার তথ্য দিতে হবে।

দাতার তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আবেদন শুরু করার আগে যে ডকুমেন্টস স্ক্যান করে সংরক্ষণ করেছিলেন সেখান থেকে যথাস্থানে আপলোড করতে হবে।

চতুর্থ পেইজ ফি পরিশোধ বা পেমেন্টঃ
তৃতীয় পেইজে দাতার তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করার পর নিচের “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে ফি পরিশোধ অপশনে। এখানে প্রয়োজনীয় ফি অর্থাৎ কোর্ট ফি বাবদ ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, সব মিলিয়ে ৭০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরিশোধের মাধ্যমে আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

খারিজ/নামজারির আবেদন সাবমিটের পরের অবস্থাঃ
অনলাইনে জমির আবেদন সাবমিট করার পর আপনাকে কিছুদিন আপেক্ষা করতে হবে। এসময়ে ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করবেন। যদি আপনার আবেদন তদন্ত করার পর এসিল্যান্ড অফিস অনুমোদন করে তাহলে আপনার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আর যদি আপনাকে তারা কিছুই না জানায় বা অনেকদিন হয়েছে কিছুই জানতে পারছেননা তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিম্মোক্ত ধাপ অবলম্বন করতে হবে।

অনলাইনে খারিজের অবস্থা জানার পদ্ধতিঃ
অনলাইনে খারিজ আবেদন সম্পন্ন করার পর আপনি অনলাইনেই আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবেদনটি অনুমোদন হলো কিনা অথবা আবেদন বাতিল হলো কিনা তাও জানা যাবে এখানে।

তাছাড়া বাতিল হলে কোন কারণে বাতিল হয়েছে তাও এখানে জানা যাবে। ই নামজারির সর্বশেষ অবস্থা জানতে https://mutation.land.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।     

পূণরায় ওয়েবসাইটে প্রবেশঃ
আপনার জমির খারিজের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য আবার এই https://mutation.land.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এখানে প্রবেশ করলে নিচের অপশনটি চলে আসবে।


উপরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরোক্ত পেইজটি প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে আপনি “আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করুন।

আবেদনের সঠিক তথ্য পূরণঃ
“আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করার পর নিম্নের ছবির ন্যায় আরেকটি পেইজ আপনার সামনে চলে আসবে। এই পেইজে যেসব তথ্য দিতে হবে তাহলো-


  • বিভাগ।
  • আবেদনের আইডি(যেটি আপনার আবেদন সাবমিট করার সময় দেওয়া হয়েছে)।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার(যে নাম্বার আপনি প্রথম আবেদনের সময় দিয়েছেন)।
  • ক্যাপচা কোড পূরণ বা যোগফল প্রদান।
  • এর পর মোবাইল নাম্বার চাইবে অর্থাৎ আপনি যে মোবাইল নম্বরে আবেদন করেছেন আর যদি মোবাইল নাম্বার না জানা থাকে তাহলে নাম্বারের ঘরে শুধু 0 দিয়ে  ‘খুজুন’ অপশনে ক্লিক দেন তারপর ওকে করেন। 
উপরোক্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে নিচের সবুজ চিহ্নিত “খুজুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। “খুজুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে দেখানো হবে আবেদনের বর্তমান অবস্থা।

খারিজ/নামজারির আবেদন অনুমোদন হলে করনীয়ঃ

জমি খারিজের আবেদন এর কাজ সম্পন্ন এবং আবেদন অনুমোদন করা হলে আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর সাথে সাথে আপনাকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। শুনানিতে অংশগ্রহণ দুই ভাবে করা যায়। যথা-
  • স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে।
  • অনলাইনের মাধ্যমে।
  • স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে।        
আপনার মোবাইলে SMS পাওয়ার পর  নির্দিষ্ট  দিন ও সময় উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহন করতে হবে। সহকারী কমিশনার ভূমি আপনাকে যা যা জানতে চান তার উত্তর দিয়ে চলে আসলেই হবে।  

অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার পদ্ধতি

অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে http://oh.lams.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির ন্যায় একটি পেইজ ওপেন হবে।



উপরের পেইজে লাল চিহ্নিত “অনলাইনে শুনানী” বাটনে ক্লিক করতে হবে। “অনলাইনে শুনানী” বাটনে ক্লিক করার পর নিচের পাইজটি ওপেন হবে।



ফরমটি সঠিক তথ্য প্রদান করে “অনুরোধ করুন” বাটনে ক্লিক করুন। “অনুরোধ করুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলে একট OTP যাবে। OTP পরবর্তী পেইজে দিয়ে ভেরিফিকেশন হয়ে নতুন একটি পেইজ ওপেন হবে।


এই পেইজটি যথাযথ ভাবে পূরণ করে নিচের অনুরোধ করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে আপনি মামলার শুনারি তালিকা দেখতে পারবেন। তারিখ অনুযায়ী আপনাকে একটি আইডি ও একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
উক্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত দিন ও সময়ে অনলাইনে আপনি শুনানিতে অংশগ্রহন করতে পারবেন। শুনানিতে অংশ গ্রহন ও অনুমোদন হলে এর পরবর্তী কাজ DCR(ডুপলিকেট কার্বন রশিদ) কাটা।

DCR(ডুপলিকেট কার্বন রশিদ) কাটাঃ

অনলাইনে জমি খারিজ আবেদন অনুমোদন হলে, হালনাগাদ ফি বাবদ ১০০০ টাকা এবং প্রতি খতিয়ান প্রাপ্তির জন্য ১০০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। যাবতীয় ফি পরিশোধ করার পর কিউআর কোডযুক্ত অনলাইন ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) সংগ্রহ করতে পারবেন।

জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগবে

জমি খারিজ করতে কত লাগবে জেনে নিন- সঠিত তথ্য- আবেদনে কোর্ট ফী ২০ টাকা ,নোটিশ জারি ফী ৫০ টাকা, আবেদন অনুমোদন হলে খতিয়ান ফি ১০০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০/-টাকা, সর্বমোট নামজারী করতে ১১৭০ টাকা প্রয়োজন হয়।    
     
বাংলাদেশে মিউটেশন খরচ কত?
২০ টাকা কোর্ট ফি, ৫০ টাকা নোটিশ ইস্যু ফি, ১,০০০ টাকা রেকর্ড সংশোধন ফি এবং ১০০ টাকা মিউটেশন লেজার সংগ্রহ ফি বিবেচনায় নিলে, রেজিস্ট্রেশনের মোট খরচ ১,১৭০ টাকার সমান। এখন থেকে মোবাইল ওয়ালেট বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করে এই ফিগুলি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।

নামজারি বাতিলের জন্য করণীয়

নামজারী যদি কোন কারনে বাতিল করতে হয় তাহলে উক্ত নামজারী আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সঠিক কারণ বর্ণনাক্রমে উপজেলা ভূমি অফিসে বা এসিল্যান্ড অফিসে মিস কেস দায়ের করতে হবে।
        
যদি ৩০ দিন অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে বিলম্বের উপুযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত আইনের ১৫০ ধারা মতে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

জমি খারিজ করতে কি কি লাগে 

ফরম নিখুঁতভাবে অর্থাৎ নির্ভুলভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে ফলে নামধারী আবেদন নিষ্পত্তি সহজতর হয়ে থাকে। এই ফরমে বিভিন্ন ভুল বা তথ্যের ঝামেলার কারণে খারিজ না মঞ্জুর হয়ে থাকে । খারিজের আবেদনকারী কে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হলো যে ভালো ভাবে বুঝে শুনে সব তথ্য নিয়ে সঠিকভাবে এই ফর্মটি পূরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নাম্বারঃ খারিজের আবেদন সর্বশেষ যে জরিপ রেকর্ড রয়েছে সেই রেকর্ডের ভিত্তিতেই খারিজ হবে। আপনাকে আপনার এলাকার এস এ/এমআরএস , সিএস/আরএস/বিএস মহানগর , দিয়ারা যা প্রযোজ্য জরিপটি সিলেক্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলো আপনি আগেই নিশ্চিত হয়ে সিলেক্ট করবেন ।

আবেদনকারীকে ফরম পূরণের সময় নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ কম্পিউটারের টাইপ করতে হবে।

আবেদনকারীকে যদি আপনি দলিল সূত্রের মালিক হন তাহলে দলিল নাম্বার ।যে তারিখে দলিল করেছেন সেই দলিলের তারিখ এবং রেজিস্ট্রি অফিসের নাম।

খতিয়ানের মধ্যে রেকডিও মালিকের বা একাধিক মালিক থাকলে মালিকগণের নাম। পিতা বা স্বামীর নাম পরিপূর্ণ ঠিকানা।

খারিজের আবেদনকারীর নাম ও পরিপূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার  (ততভাবে জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট নাম্বার) ইমেইল এড্রেস।   

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে সেগুলো সংযুক্ত করুন কোনো কাগজ ছুটে গেল কিনা খেয়াল করুন।

  • যদি জমি খারিজ আবেদনকারী কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান, বা সংস্থা হয়ে থাকে ,তাহলে প্রতিনিধির এন আইডি নাম্বার, প্রতিনিধির নাম, ফোন তারিখ , জন্ম তারিখ ,পদবি।
  • আবেদনকারী যদি যেকোনো মূলধন কোম্পানি ও ফার্ম হয় অর্থাৎ অধিদপ্তর (আর জি এস সি )এর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে  প্রতিষ্ঠানের নাম , সে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নাম , সেই প্রতিনিধির এনআইডি  নাম্বার ,মোবাইল নাম্বার , প্রতিনিধি জন্ম তারিখ ,রেজিস্ট্রেশন নাম্বার্প‌রিপূর্ণ ঠিকানা।
  • নাম জারি আবেদনকারী(আর জে এস সি) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান না হয়ে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম , প্রতিনিধির নাম , জন্ম তারিখ , প্রতিনিধি এনআইডি নাম্বার , মোবাইল নাম্বার ও পদবী।
  • যাদের যাদের নাম হতে কেটে নতুন নাম জারিতে দেওয়া হবে তাদের ,এবং যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নোটিশ দিতে হবে ।সকলের নাম এবং পুরনো ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার।
  • জমিদাতা ব্যক্তি বা জমিদাতা মারা গেলে ওয়ারিশ এবং দাতা যদি কোন প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের নাম , প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির এন আইডি নাম্বার ,মোবাইল নাম্বার , জন্ম তারিখ পদবী ,(আর জে এস সি )নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাজিস্টেশন নাম্বার ,তারিখ উপজেলা ও ঠিকানা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরোক্ত যে সমস্ত তথ্য দেওয়া হল এগুলো আপনি যে সময় আবেদন করবেন সে সময় ভুলে যেতে পারেন এজন্য আগে থেকেই আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কট প্রভাবে সুন্দরভাবে লিখে ফাইল করে রাখুন ।যখন আপনার দরকার হবে কপি করে পেস্ট করে দেবেন।

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে খেয়াল করে নিন 

যে আবেদন ফরমটি রয়েছে আবেদন ফরম পূরণের সময় আপনাকে আবেদনকারী বা আবেদন কারিগনের প্রত্যেকের যদি আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে প্রত্যেকের এক কবি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ছবির অপজিটে নিজের নাম ও নিজ নিজ স্বাক্ষর, এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি/পাসপোর্ট এর ফটোকপি।

আবেদনকারী নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলে নিবন্ধন সনদ ।উত্তর অধিকার সুতরে নামজারি হলে উত্তরাধিকার সনদপত্র ,সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের দাখিলা প্রভৃতি স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে ।

 pdf প্রতিটি ফাইল এর সাইজ অবশ্যই1.25 এম্বি এর মধ্যে হতে হবে সবগুলি ফাইল মিলিয়ে ২৫ এম বি এর মধ্যে হতে হবে। তুই সবমিলিয়ে ২৫ এমবির বেশি হয়।

https://www.pdf2go.com/resize-pdf বা https://www.pdf2go.com/resize-pdf অথবা অনলাইন টুলস দিয়েও পিডিএফ ফাইলে সাইজ কমিয়ে নেওয়া যায় ।
  • ক্রয় সূত্রে আবেদনের সময় মৌজা নির্ধারণ নির্ধারণ করে আবেদনকারী কে একটি অঙ্গীকার করতে হবে । যদি তথ্য প্রদানে অসত্য প্রমাণ হয় তাহলে যে কোন শাস্তি নিতে বাধ্য থাকিবে। অবদানকারীকে সত্য ঘোষণা করিতে হইবে।   
  • সর্বশেষ রেকর্ড সর্বশেষ নাম জারি হতে জমির যে মালিক সে মালিকানার ধারা জারি আছে কিনা অর্থাৎ মধ্যবর্তী যে কয়েকজন মালিক হয়েছিল তাদের প্রমাণপত্র/বায়া দলিল আছে কিনা। 
  • আবেদনকারীর দলিল মূলে মালিকানা দাবি এবং এবং তার অংশ ঠিক আছে কিনা।
  • জমির মালিকের কাছে জমি দখলে আছে কিনা ।যদি জমি দখল না থাকে তাহলে একটি ব্যাখ্যা আবেদনের সাথে প্রদান করতে হবে।
  • ক্রয়কৃত জমির সাথে আংশিক খাস জমি আছে কিনা। যদি থাকে চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং ইনফরমেশন যুক্ত করতে হবে।
  • জমিতে সরকারি কোন স্বার্থ আছে কিনা ।থাকলে কোন ধরনের স্বার্থ আছে তার নির্ণয় করে জানাতে হবে। অর্থাৎ খাস/অর্পিত/ বিনিময়/অধিগ্রহণকৃত আবেদনকৃত জমির বাইরে হলে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ আছে কিনা যদি ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ না থাকে তাহলে আবেদনকারী ধারাবাহিকভাবে পরিশোধ করবেন এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।

আবেদনে বর্ণিত তফশীল যদি কোন বিল্ডিং এপার্টমেন্টের হয়ে থাকে এবং সেখানে স্পেস বা ফ্লোর থাকে তাহলে অ্যাপার্টমেন্ট নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে যদি শুধু জমি থাকে তাহলে নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

খারিজের আবেদনকারী আবেদনকারী গণের এই মৌজায় বর্তমান কোন খতিয়ান আছে কিনা যদি থাকে তাহলে হা বলে খতিয়ান নাম্বার এন্ট্রি করতে হবে। দুটি খতিয়ানের মাঝে কমা বা সেমিকোলন ব্যবহার করবেন। এতকিছু ঘোষণা প্রদানের পর জমির তফসিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।     

আরো জানুন বিস্তারিতভাবেঃ 

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে?মিউটেশন বা নামজারি কীভাবে করবেন:---?

জমি খারিজ করতে যেসব কাগজ লাগেঃ--

১) সংশ্লিষ্ট জমির এস এ খতিয়ানের ফটোকপি
২) আর এস খতিয়ানের ফটোকপি
৩) জমির দলিলের ফটোকপি
৪) বায়া দলিলের ফটোকপি (প্রয়োজন হলে)
৫) ওয়ারিশান সনদ ( প্রয়োজন হলে)
৬) ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলার কপি
৭) ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি
৮) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

মিউটেশন বা নামজারি কীভাবে করবেন:---?
জমির মালিক হওয়ার পর মিউটেশন বা নামজারি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জমির মালিকানা দাবি করা, মালিকানা করা জমি ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির দনামজারিদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি একটু সচেতন হোন ও সতের্কতা অবলম্বন করেন, তাহলে নামজারি খুব কঠিন কিছু নয়।

অনেকে জমির নামজারি বা মিউটেশন করতে গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। অনেকে হয়ে থাকেন প্রতারিত। আবার অনেকে বহু সময় ব্যয় করেও নামজারি করানোর সুযোগ পান না। এ থেকে পরিত্রান পেতে সময়মতো মিউটেশন করা জরুরি।

জমির নামজারির জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারি পদের একজন দায়িত্বে থাকে। নাজির পদের একজন ফি জমা নেন। তহশিলদাররা তদন্তের দায়িত্বে থাকেন।

কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তহশিলদারের অফিসে নামজারির আবেদন করে থাকে। এটা ঠিক নয়। সব সময় মিউটেশন বা নামজারির জন্য আবেদন করতে হবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে।

নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। আবেদনের নিচে তফসিল দিতে হয়। জমির বিস্তারিত পরিচয় দিতে হয়। খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, মৌজা ও জেলা উল্লেখ করতে হয়। আবেদনে নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রি ক্রয় দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে।

দলিলের অনুলিপি, ভায়া দলিল, পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি ওয়ারিশ সনদপত্র (ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কমিশনারের প্রদত্ত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), কর পরিশোধের দলিল, বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দিতে হবে।
এছাড়া খাসজমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে কবুলিয়ত, নিলামের ক্ষেত্রে বায়নানামা, কোনো অফিস কর্তৃপক্ষের অনুমতি জমা দিতে হবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। কোনো রায় বা ডিক্রির কারণে মিউটেশন করতে হলে ডিক্রি বা রায়ের অনুলিপি জমা দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিউটেশন করাতে গিয়ে কোনো দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন।

মিউটেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এর তদন্ত হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রথমেই মিউটেশন রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে তহশিলদারের কাছে পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত হয়। তদন্তে সাধারণত যাচাই করা হয় প্রস্তাবিত জমি দখলে আছে কি নেই। এটি খাসজমি কি-না, সার্টিফিকেট মোকদ্দমা আছে কি না, অধিগ্রহণ করা হয়েছে কি না, সম্পত্তির মূল পরিমাণ ঠিক আছে কি না, আদালতের রায় বা ডিক্রিমূলে কি না, মামলা-মোকদ্দমা চলছে কি না প্রভৃতি।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা যাচাই-বাছাই করে দেখেন। প্রয়োজনে তিনি আবারও তদন্তে প্রেরণ করতে পারেন কিংবা নিজেও তদন্ত করতে পারেন। পরে যাবতীয় কাগজপত্র, দলিল মিলিয়ে দেখে মিউটেশনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন হলে খতিয়ান খোলা হয়। পক্ষগণ হাজির হতে হয় এবং শুনানীকালে যাবতীয় দলিল পরীক্ষা করা হয়। এর ভিত্তিতে আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর হয়।

খতিয়ান খোলার পর নতুন নম্বর পড়ে। খতিয়ান তহশিল অফিসে পাঠায়। তহশিলদার রেজিস্টারে নতুন জোত খুলে ছক অনুযায়ী তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। মালিকের নামে আগে থেকে জমি থাকলে জোত নম্বরও থাকে। তাই নতুন জোত খোলার দরকার হয় না।

পুরোনো জোতে জমির দাগ ও খতিয়ান লিখে জমির পরিমাণ যোগ করে ভূমি উন্নয়ন কর হিসাব করা হয়। মোট পাঁচ কপি খতিয়ান করে এক কপি আবেদনকারীকে দেওয়া হয়। অন্যান্য কপি তহশিল অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, জেলা প্রশাসকের রেকর্ডরুম ও জেলা জজের রেকর্ডরুমে প্রেরণ করা হয়।

সরকারি আইন অনুযায়ী, মহানগর এলাকায় ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিধান। 

শেষ কথাঃ জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে 

উপরের আলোতে খুব ভালোভাবে জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়লে আপনি জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে  এ পোষ্টটি খুব ভালো ভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাই সম্পূর্ন  পোষ্টটি পড়ুন। এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ‘জমি খারিজ করার পদ্ধতি আপডেট ও জমি খারিজ করতে কি কি লাগে’ এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন এবং কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।     

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ কম্পিউটারস’র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url